![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১১।।
হঠাত রিয়া টের পেলো, ওর মোবাইলটা অনবরত বেজেই যাচ্ছে। বাসা থেকে ফোন করেছে। ঘড়ি দেখে বুঝলো অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে। এতক্ষন ধরে সে সামনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চুপচাপ নদীর পানি দেখছে। স্বপ্নর কথা ভাবছে আর নাদিভ ওর দিকেই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সময় কোনদিক দিয়ে গড়িয়ে গেছে কেউ খেয়ালই করেনি। নাদিভকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রিয়া আবারো ঘামতে শুরু করলো। কি ভাবছে নাদিভ? এরকম করে তাকিয়ে আছে কেন? তাড়াতাড়ি বাসায় যাওয়া দরকার। এতটা সময় পার হয়ে গেছে সে খেয়ালই করেনি। বাসায় গেলেই এখন মায়ের হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কি বলবে সে? কোনরকমে সেখান থেকে উঠে দাঁড়ালো। ওকে উঠে দাঁড়াতে দেখে নাদিভও চুপচাপ উঠে পড়লো।
- আমি যাচ্ছি। বলেই রিয়া হাটতে শুরু করলো মেইন রোডের দিকে। নাদিভ কিছুক্ষন ওর চলে যাওয়া দেখলো, তারপর পিছু পিছু আসলো। বললো,
- চলো, তোমাকে রিকশা ঠিক করে দিচ্ছি।
বাসায় গিয়ে রিয়া দেখলো বাসা ভর্তি মানুষ। আরিফদের বাসা থেকে এসেছে। কারো সাথে কথা না বলে রিয়া নিজের রুমে চলে এলো। ওর পিছু পিছু এলো ওর ফুপু।
- কিরে এমন করে চলে আসলি কেন?
- আমার ভালো লাগছে না ফুপু।
- ভালো লাগছে না মানে কি? আজকে তোর এনগেজমেন্ট। আজকে ওরা আংটি পড়াবে। তুই তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পালটে রেডি হয়ে নে।
- কথা নাই বার্তা নাই হুট করে চলে এসেছে আংটি পড়াবে। আংটি পড়াবে বললেই হলো? উনাদের কথামত সব কিছু হবে নাকি? পুতুল পেয়েছে আমাকে?
- তুই এসব কি বলছিস...
- ঠিকই বলছি।
- আরিফের বাবা অসুস্থ......
- আরিফের বাবা অসুস্থ তো আমি কি করব? উনাদের তাড়া থাকলে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করুক। আমার এত তাড়া নাই।
- কি হলো তোর? এমন করে কথা বলছিস কেন?
- ফুপু তুমি ওদের চলে যেতে বলো। আমি এই বিয়ে করবো না।
রিয়া ফুপুকে এক রকম ঠেলে বের করে দিল। কিছুক্ষন পর মা এলো। ফুপু গিয়ে মাকে বলেছে। ঘরে ঢুকেই উনি দরজা বন্ধ করে দিলেন।
- এইসব কি শুরু করছিস তুই?
- আমি এই বিয়ে করবো না।
- বিয়ে করবি না মানে কি? এতদিন ধরে কথা বার্তা চলতেছে। এতদিন তো এসব বলিসনি।
- এতদিন বলিনাই। এখন বলতেছি।
- মগের মুল্লুক পেয়েছিস? এতো ভালো একটা ছেলে, এতো ভালো একটা বিয়ের প্রস্তাব...
- মা, আমি একজনকে ভালোবাসি। আমি ওকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না।
- কাকে ভালোবাসিস তুই? কে সেই ছেলে?
- ওর নাম স্বপ্ন।
- শুধু নাম বললেই তো হলো না। ডিটেইলস বল। এই ছেলে কি করে, ওর বাবা মা কে, তারা কি করে। কোথায় থাকে।
রিয়া চুপ করে থাকলো।
- কথা বলছিস না কেন?
- ওর ডিটেইলস আমি বলতে পারবো না। আমি কিছু জানিনা।
- ফাজলামো শুরু করেছিস? যাকে তাকে ভালোবাসিস। তার সম্পর্কে কিছুই জানিস না। আবার বলছিস তাকে বিয়ে করবি।
- মা শুনো, আরো প্রবলেম আছে। আরিফ...
- আর একটা কথা শুনতে চাইনা আমি। তাড়াতাড়ী কাপড় পালটে রেডি হয়ে সিটিং রুমে আয়। সবাই অপেক্ষা করছে।
- মা একবার শুনো আমার কথা। তারপর তুমি যা বলবা, আমি তাই করবো।
- তোর কোন কথা আমি শুনতে চাইনা।
- প্লিজ মা...
- আর একটা কথা বললে তুই আমার মরা মুখ দেখবি।
রিয়া হতভম্ব হয়ে গেলো। ওর হাত পা কাঁপতে শুরু করলো। মা কি ওকে ব্ল্যাকমেইন করল? এখন সে কি করবে? সাত পাঁচ চিন্তা ভাবনার মধ্যেই ফুপু এলেন। রিয়াকে সাজিয়ে দিলেন। শাড়ি পরিয়ে দিলেন। রিয়া ফুপুকেও কিছু বলতে চাইলো। কিন্তু ফুপু শুনলো না। আজকে যেন সবাই ঠিক করেই রেখেছে যে রিয়ার কোন কথাই শুনবেনা।
আধা ঘন্টার পর ফুপু রিয়াকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে এলেন। আরিফের মা রিয়াকে কাছে ডেকে পাশে বসালেন। তারপর রিয়াকে আংটি পরিয়ে দিলেন। রিয়া মাথা নিচু করে রইলো। ওর মাথায় কিছু ঢুকছে না। মাথাটা একেবারে ফাঁকা হয়ে আছে। আড়চোখে দেখলো, আরিফও চুপচাপ বসে আছে। আরিফের চেহারা দেখে রিয়া অবাক হয়ে গেলো। কি সুন্দর লাজুক ভঙ্গিতে হাসি হাসি মুখ করে বসে আছে। সাজগোজের বাহারও সেই রকম। যেন নতুন জামাই। যে ছেলে গোপনে নিজের প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেলেছে, সে কিভাবে এই মুহূর্তে এরকম হাসি হাসি মুখ করে থাকে? কিভাবে সে আরেকটা মেয়েকে আংটি পড়াতে আসে? তার তো উচিত ছিল তার নিজের ফ্যামিলিকে ম্যানেজ করা, কোনভাবে এই বাসায় আসাটা আটকানো।
আরিফের চোখে চোখ পড়লো রিয়ার। একটা মুচকি হাসি দিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো আরিফ। আজকে নাদিভ রিয়ার সাথে দেখা করেছে, সব কথা বলেছে, এটা নিশ্চয়ই সে ভালো করেই জানে। আরিফের এই চেহারার সাথে তো নাদিভের কথার কোন মিল পাওয়া যাচ্ছেনা।সে কি তাহলে মিথ্যা কথা বলতেছে? এমনো তো হতে পারে, সে আসলে আরিফের বন্ধুই না। হয়ত কোনভাবে জানতে পেরেছে, ওর সাথে চ্যাট করা মেয়েটাই সে। এও জানতে পেরেছে যে, আরিফ নামের একটা ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক হতে যাচ্ছে, তাই বিয়ে ভাঙ্গার জন্য একটা গল্প সাজিয়েছে।
যেদিন নাদিভের সাথে প্রথমবারের মত দেখা হলো, সেদিন নাদিভকে অনেকটাই ভদ্র আর সংযত বলে মনে হয়েছে, সেই তুলনায় আজকে সে অনেকটাই এগ্রেসিভ আর পজেসিভ ছিল। হুট করে নাদিভের এমন পালটে যাবার কি এমন কারন থাকতে পারে? এখন মনে হচ্ছে, একবার আরিফের সাথে দেখা করলে, কথা বললে ভালো হতো। সত্যিটা জানা যেত।
আরিফের মা রিয়াকে প্রায় জড়িয়ে ধরে রইলেন অনেকটা সময়। বারবার বলতে লাগলেন একেবারে মনের মত একটা বউ পেয়েছেন উনি। উনার কথা বার্তায় মনে হতে লাগলো যেন আংটি পড়ানো হয়নি...বিয়েটাই হয়ে গেছে। রিয়ার ফুপু উনার মনের কথাটা একেবারে সময় মতই পড়ে ফেললেন।
- আপনি তো দেখি পারলে আজকেই রিয়াকে ছেলের বউ করে নিয়ে যেতে চান। যেভাবে ধরে রেখেছেন আমার ভাতিজিকে... মনে হচ্ছে, একটু ছাড়লেই সে পাখির মত করে উড়াল দিবে। আপনি ওর নাগাল আর পাবেন না।
- আসলেও তাই। মনে হচ্ছে, ওকে আজকেই নিয়ে যাই ছেলের বউ করে। আরিফ তো একেবারেই পাগল হয়ে গেছে। প্রতিদিন এক কথা, আম্মা, আমি একটু রিয়ার সাথে দেখা করতে চাই।
রিয়ার মেজাজ খারাপ হলো। কার উপর মেজাজ খারাপ হলো নিজেই বুঝতে পারলোনা। একবার মনে হচ্ছে, আরিফই সব নাটের গুরু। নিজে তো পালিয়ে বিয়ে করেছেই। বাবামায়ের সামনে সে কথা বলার সাহস নেই। এখন আবার এমন ভাব করছে যেন ওরই তাড়াহুড়া বেশি। এদিকে যে তলে তলে নাদিভকে পাঠাচ্ছে যাতে করে রিয়া বিয়েটা ক্যানসেল করে দেয়, সেটা এখন আর তার মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই। আবার মনে হচ্ছে, নাদিভের কথাই যে সত্যি তার কোন প্রমান নাই। আদৌ সে আরিফের বন্ধু কিনা, সেটা নিয়েও এখন ওর সন্দেহ লাগতেছে। আবার মনে হচ্ছে, পরের দোষ দিয়ে লাভ কি? সে নিজেই ঠিক নাই। নাদিভকে দেখেই মাখনের মত গলে যাচ্ছে। ওর উপর কোন রাগ করতে পারতেছেনা। ওকে ইগনোর করতে পারতেছেনা। নাদিভকে দেখে এত গলে যাবার কি হলো? সে যখন ওর হাত চেপে ধরলো, তখন ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিলেই হতো। কত্ত বড়ো সাহস, উড়ে এসে জুড়ে বসে হাত চেপে ধরতেছে। আবার বলে, কোথাকার কোন স্বপ্ন। মনে মনে নাদিভের পিন্ডি চটকাতে শুরু করলো রিয়া। তুই কি ভেবেছিস, তুই যেভাবে প্ল্যান করবি, আমিও সেভাবেই নাচবো? আরিফকেই বিয়ে করবো আমি। আমি নিজে গিয়ে তোকে ইনভাইটেশন কার্ড দিয়ে আসবো। আরিফকেও সাথে নিয়ে যাবো। আমার সাথে ফাজলামি করার শখ মিটিয়ে দিব। এক মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক করে আরেক মেয়ের সাথে টাংকি, অসভ্যতা... আবার কি সুন্দর করে বলে, আমি কি করলাম...চেহারা দেখে তো মনে হয়, ভাঁজা মাছটা উল্টায়ে খেতে জানেনা। এই রকম একটা ছেলের কিভাবে স্বপ্নর মত ভালোমানুষ টাইপ চেহারা হলো, সেটাই ভাবার বিষয়।
এসব ভাবতেই রিয়া শুনলো, মুরব্বিরা সবাই আলোচলা করছে, আজকেই কাজি ডেকে এনে আকদ করে ফেলবে। পরে সময় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবে। ওর মাথা ঝিম ঝিম করতে শুরু করলো। ওদিকে টের পেলো, ভেতরে ভেতরে স্বপ্নও অস্থির হয়ে গেছে খুব। আজকেই আকদ করবে?? মানে কি এসবের? এরকম হুড়াহুড়ির কি হলো? এখন কি হবে? রিয়া বারবার ফুপুকে ইশারা করতে লাগলো যেন ফুপু ওকে ঘরের ভেতর নিয়ে যান। কিন্তু ফুপুর সেদিকে কোন খেয়াল নেই। কতক্ষন এমন ঘোরের মধ্যে বসেছিল রিয়া জানেনা। হঠাত আরিফের মাকে বলতে শুনলো,
- আমার বৌমা মনে হয় এখানে বসে থাকতে লজ্জা পাচ্ছে। মাথা তো একেবারে নিচু করে ফেলেছে। ওকে নিয়ে যান। আকদের জন্য তো ওকে রেডি হতে হবে।
ফুপু এসে রিয়াকে নিয়ে গেলো ঘরের ভেতর। রিয়ার খুব খারাপ লাগছে। আংটি পড়ানো, আকদ এসব কি হচ্ছে সে বুঝতে পারছেনা। কোথা দিয়ে কি হয়ে যাচ্ছে? আজ সকালেও সে জানতো না বিকেলে তার জন্য এত কিছু অপেক্ষা করছে। এমনকি কলেজ থেকে বাসায় এসেও প্রথমে শুনলো আংটি পড়ানোর কথা। তখন মায়ের কথা শুনে সে বেশি একটা আপত্তি করেনি। ভেবেছে, এনগেজমেন্ট মানেই তো বিয়ে না। পরে মাকে ঠান্ডা মাথায় সবকিছু খুলে বলা যাবে। বিয়েটা ক্যানসেল করা যাবে। সে মনে মনে এমনটাও ভেবে রেখেছিল যে, আজকে রাতে বা কাল সকালে সে নিজেই আরিফকে ফোন করবে। ওর সাথে কথা বলবে। নাদিভ নামে ওর কোন ফ্রেন্ড আছে কিনা, থাকলেও নাদিভের কথাগুলো কতটুকু সত্য সেটা যাচাই করবে। আরিফের সাথে এতদিন কথা না বলে ভুল করে ফেলেছে। দোষটা ওরই। সে যদি শুরু থেকেই আরিফের সাথে সহজ হতো, ঠিকমত কথা বলতো, তাহলে আর আজকে এই ঝামেলায় পড়তে হতো না। আরিফ নিজেই রিয়াকে সব খুলে বলতে পারতো। আরে ধুর...এসব কথা যে আসলেই সত্যি তার কি প্রমান আছে?? নাহ... নাদিভকে কেন জানি মিথ্যেবাদি ভাবতে ইচ্ছে করতেছেনা। ওর কথা গুলো মনে প্রানে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে। এমনটাই যেন হয় সত্যি সত্যি। তাহলে তো সে নিজেও বেঁচে যাবে। স্বপ্নকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে সে সুখী হতে পারবেনা, এটা সে ভালো ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছে। আর স্বপ্নও হাল ছেঁড়ে দেয়নি। এখনো রিয়াকে আকড়ে ধরে আছে। সে বলেছে, যত যাই হোক, রিয়া ওকে ভুলে যাক, সে ঠিকই রিয়াকে ভালোবাসবে সারাজীবন। সারাজীবন ওকেই আকড়ে ধরে থাকবে।
কিন্তু এখন সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। আরিফের সাথে কথা বলার সুযোগ নাই আর। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে। আজকেই কাজি ডেকে এনে বিয়ে পড়ানো হবে। রিয়ার মাথা ঘুরতে শুরু করলো। এখন সে কি করবে সে জানেনা। আরিফের তো একটা পদক্ষেপ নেয়া দরকার ছিল। সে কেন এরকম লাজুক ভঙ্গিতে চুপ করে বসে আছে? সবার সামনে ভালো মানুষী ভাব ধরে আছে। যাতে কেউ তাকে ভুলেও কোন রকম সন্দেহ না করে। রিয়ার একবার মনে হলো, আরিফ ইচ্ছে করেই নিজে থেকে সামনে আসেনি, নিজের মুখে রিয়াকে কিছু বলেনি। নাদিভকে পাঠিয়েছে রিয়ার সাথে কথা বলার জন্য। যাতে কোন গড়বড় হলে সব দোষ রিয়ার উপর পড়ে। আরিফকে সবাই সম্পূর্ণ নির্দোষ জানবে।
হঠাত ফুপু আর মা এসে রিয়ার রুমে ঢুকলো। শাড়ি গহনা নিয়ে এসেছে। রিয়াকে এখন বিয়ের জন্য সাজতে হবে।
- রিয়া, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। বেশি সময় নেই। তোর মামা কাজি আনতে গেছে
- মা প্লিজ। আমি এই বিয়েটা করতে চাইনা।
- আবারো সেই কথা?
- মা আমার কথাটা শোন প্লিজ।
- রিয়া, আর একটা কথা না...
- আমার কথা তোমাকে শুনতেই হবে।
- কি কথা শুনতে হবে? তুই যাকে ভালোবাসিস, তাকে বিয়ে করবি, এই তো? ভুলে যা ঐ ছেলেকে। ওর সাথে তোর বিয়ে দিব না আমরা।
- মা, আরিফ বিবাহিত।
- কি?
- ও একটা মেয়েকে ভালোবাসে। আমেরিকায় পড়ার সময় ওরা বিয়েও করেছে। গোপনে। আরিফের বাবা অসুস্থ, তাই ও বাসায় এসব কিছু জানায়নি।
- এসব তুই কি করে জানলি?
- আজকে আরিফের বন্ধু আমার কলেজে এসেছিল। আরিফ তাকে পাঠিয়েছে আমাকে এসব কথা বলার জন্য। সে চায়, আমি যেন কিছু একটা বলে এই বিয়েটা বন্ধ করি। ওর বাবার অসুস্থতার জন্য ও বাসায় মুখ খুলতে পারছেনা।
রিয়ার মা এক মুহূর্ত চুপ করে থাকলেন। তারপর রিয়ার বাবাকে ডেকে আনলেন। তাকে সব কথা খুলে বললেন। রিয়ার বাবা এসব শুনে রিয়ার উপর খুব রেগে গেলেন।
- মিথ্যে কথা এসব। এইগুলো তোমার মেয়ে এখন বানাচ্ছে। যে ছেলে বন্ধুকে পাঠাবে এসব কথা রিয়াকে জানাতে, সে কিভাবে এখন সবার সামনে চুপ করে বসে আছে? ওকে দেখে তো এমন কিছু মনে হচ্ছেনা। আংটি পড়ানো হল, বিয়ের কথাবার্তা হলো। কাজি ডেকে আনার কথা হলো। কই, আরিফকে তো এর মধ্যে টু শব্দ করতে শুনলাম না। উলটো তাকে হাসিখুশি মনে হচ্ছে। শুধু তোমার মেয়েই এসব বলতেছে। ওকে বলো এসব বদমায়েশি ছাড়তে। কোন রকম ঝামেলা বাধালে আমি ওকে ঘরছাড়া করবো। ওর জায়গা হবেনা আমার বাসায় বলে দিলাম। (চলবে)
©somewhere in net ltd.