নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাহাড়ে মানবতা ঘুমিয়ে আছে বহুদিন ধরে\nhttps://www.facebook.com/profile.php?ref_component=mbasic_home_header&ref_page=MNotificationsController&refid=48

রুপন জুম্মো

রুপন চাকমা। বেকার যুবক

রুপন জুম্মো › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিরত কেঁদে চলেছি আমি,কাঁদছে পাহাড়

১৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

রাঙ্গামাটিতে ভুমিধ্বসে মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৩৬ অতিক্রম করেছে। নিখোঁজ এখনো অনেকে। যারা বেঁচে আছে নিজ বাড়ি ছেড়ে সবাই এখন আশ্রয় কেন্দ্র কিংবা কোন নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে। শিমুলতলি এলাকার মানুষ পার্সফোট অফিসে, ভেদভেদী এলাকার(টেনিস কোট) মানুষ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে, যুব উন্নয়ন এলাকাবাসী সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার এবং মোনঘর খেলার মাঠের পাশে একটি বৌদ্ধ বিহার(নাম মনে নেই)। বর্তমানে চারটি পয়েন্টে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে ঝুঁকি এখনো রয়েছে। প্রশাসন থেকেও বার বার সতর্ক করা হচ্ছে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য। গতকাল সাথী দি সহ আমরা কয়েকজন সেসব পয়েন্টে ঘুরে আসি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাথে কথা বলেছি, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসাসহ কিছু ঔষদপত্র এবং কিছু শুকনা খাবার বিতরন করে এসেছি। আজকে যাওয়ার কথা হলেও মোবাইলে চার্জ না থাকায় কারোর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
.
লংগদুর ক্ষতিগ্রস্থদের থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। বাড়িঘর স্বজন হারিয়ে সবাই এখন নি:স্ব। যারা বেঁচে আছেন কেউ উদ্ধার অভিযানে কেউ ভুমিধ্বসে কেউবা পালিয়ে আসতে কম বেশি সবাই আহত হয়েছে। গতকাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ কয়েকটা রোগি পেয়েছি যারা টীন এবং প্যারাকে আঘাত পেয়েছে কিন্তু ঔষুধ বা টিকা দেওয়ার অর্থও এখন তাদের কাছে নেই। যা ছিল সবই মাটির নিচে এখন। অধিকাংশই এক ড্রেস নিয়ে আছে। যেটা আছে সেটাও উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ছিড়ে গেছে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে ছাড়খার। এই মুহুর্তে খাদ্য, কাপড়চোপড়, টাকা খুবই জরুরি এবং নিহত পরিবার আত্মীয়স্বজনদের মানসিক কাউন্সেলিং এর দরকার আছে। পুনর্বাসনের চাইতে প্রাথমিক সমস্যাগুলোরর সমাধান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এবং জাতীয়ভাবে কেউ তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি এখনো পর্যন্ত। কারণ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এই মুহুর্তে কারোর সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছেনা। আআমার মোবাইলও
দুইদিন মৃত থাকার পর কোনমতে বিকালে একটু চার্জের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। তিন চার ঘন্টা পর হয়ত আমাকেও খুজে পাওয়া যাবেনা। আমার গ্রামের বাড়িতেও মোটামোটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
.
এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইলে চার্জ নেই, তীব্র পানির সংকট, শহর জুরে মোমবাতির অভাব, বিকাশ থেকে টাকা উত্তোলন সম্ভব হচ্ছেনা, ব্যাংক এবং অন্যান্য সেবা স্বাভাবিক হচ্ছেনা, ইন্টারনেট সংযোগ নেই, নেটওয়ার্ক নেই কিছু অপারেটরে থাকলেও গতি ২জির চেয়েও কম, তরিতরকারির অভাব, দ্রব্যমূল্য'র বৃদ্ধি, রাঙ্গামাটি শহরের সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন থাকায় তীব্র জালানির সংকট। ফলে তেলের দাম, গাড়িভাড়া বৃদ্ধি। দুর্গত এলাকায় আসতে পারছেনা কোন টীম, পর্যাপ্ত ত্রাণ এবং চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেনা ক্ষতিগ্রস্থরা। সরকারি বেসরকারি কোন দল বা সংস্থা ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে এখনো পৌঁছাতে পারেনি। সব মিলিয়ে রাঙ্গামাটির অবস্থা এখন খুবই খারাপ। এক বিপর্যয়ে প্রাকৃতিক এবং মানবিক অবস্থা পুরাই বিধ্বস্ত ..
শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা।
© facebook

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.