নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঐতিহ্যবাহী ঠেগরপুনি বুড়াগোঁসাই প্রসঙ্গে, ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় ঠেগরপুনির এই স্থানটি তৎকালীন আরাকান রাজ্যের অংশ ছিল। আনুমানিক ৩৫০-৪০০ বছর পূর্বে ছান্ধমা রাজার আমলে এ স্থানে একটি সুবিস্তীর্ণ দীঘি ছিল। যা ‘ছান্ধমা দীঘি’ নামে পরিচিত ছিল। কালক্রমে উক্ত রাজবংশ এ স্থান হতে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে তা পরিত্যক্ত খোয়াইল্লা (প্রচলিত শব্দ) বনে পরিণত হয়।এক সময় বাকখালী নিবাসী শ্রীধন বড়ুয়ার স্ত্রী স্বর্গীয়া নীলাকুমারী উক্ত স্থান থেকে খোয়াইল্লা অর্থাৎ কাঠের গুঁড়ি উঠাতে কোদাল দিয়ে মাটি খনন করতে থাকে। এক পর্যায়ে, এক জায়গায় প্রচন্ড আঘাত হওয়ার শব্দের সাথে সাথে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। উল্লেখ্য, কোদালের আঘাতে মূর্তির মাথার ডান পার্শ্বে আঘাত প্রাপ্ত হয়। কিছুই অনুমান করতে না পেরে উক্ত মহিলা নীলাকুমারী আতঙ্কিত হয়েচলে যান। এক সময় তাঁর উপর স্বপ্নাদেশ হয় যে, “আমি এ জায়গায় অধিষ্ঠিত আছি, তোমরা আমাকে উঠাও”। কিন্তু নীলাকুমারী নিজে তা করার জন্য সাহস করেননি। অগত্য তিনি পার্শ্ববর্তী করল গ্রামের বাসিন্দা ভগ্নি পুত্র ‘ভদন্ত হারাধন মহাস্থবির’কে এ ব্যাপারে অবহিত করেন। তাঁরই আনুকূল্যে মাটি খনন পূর্বক মূর্তিটি তোলা হয় এবং ধর্মীয় মর্যাদায় এটি স্থাপন করা হয়। এরপর মূর্তিটিকে ঘিরে গড়ে ওঠে বিহার। বর্তমানে ঠেগরপুনির এ বিহার ‘বুড়া গোঁসাই’ মন্দির নামে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত।পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধস্থানে প্রতি মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সপ্তাহকাল ব্যাপী মেলার প্রচলন হয় এবং তা এখনো বিদ্যমান। বৌদ্ধ পুরাকীর্তির নিদর্শন এ ‘বুড়া গোঁসাই’ মূর্তিটিকে প্রতি মাঘী পূর্ণিমার পূর্বের দিন ডাবের পানি, দুধ, জল দিয়ে স্নান করানো হয়।
সূত্র : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালি বিভাগ
©somewhere in net ltd.