নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখানে আছে শত বছরের পুরানো সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কুয়াকাটা বেড়িবাধেঁর পাশে খানিকটা উচুঁ টিলার উপর এর অবস্থান। মন্দিরের ভিতরে স্থাপিত রয়েছে নবম ধাতুর তৈরি সাড়ে ৩৭ মন ওজনের ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ মূর্তি। জানা গেছে , মন্দিরের নির্মান সৌন্দর্য চীনের স্থাপত্য অনুসরন করা হয়েছে। দেখে মনে হবে থাইল্যন্ড বা মিয়ানমারের কোন মন্দির । মন্দিরের ভিতরের ভাব গম্ভীর পরিবেশ । বৌদ্ধর সামনে জ্বলছে আগরবাতি আর মোমবাতি । এর পাশে ত্রিপিটক সহ অন্যান্য উপাসনার সামগ্রী সাজানো রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ফুঁট উচুঁ বেদির উপর মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে । বৌদ্ধ ধর্মের আড়াই হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে ৮৩ বছর পূর্বে এ নবম ধাতুর মূর্তিটি ওই স্থানে স্থাপন করা হয় । পৌনে ৭ ফুঁট উচ্চতার এ বৌদ্ধ মূর্তিটি স্থাপন করেন উপেংইয়া ভিক্ষু । মন্দিরের পাশেই চীনা স্থাপত্যের অনুকরনে নির্মান করা হয়েছে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার। সেখানে বসে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম সভা করে । মন্দিরের একটু পাশেই রয়েছে কুয়াকাটার সেই ঐতিহ্যবাহী কুয়া বা ইন্দিরা। এ কুয়া থেকেই আজকের কুয়াকাটার পরিচিতি । উপজাতি রাখাইন সমপ্রদায়ের লোকজন চারিদিক বাঁধানো পুরানো এ কুয়ার পানি ব্যবহার করে। কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে আর একটি উপজাতি রাখাইন সম্প্রদায়ের বসতি মিস্ত্রিপাড়া। এ পাড়ায় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে । এ মূর্তিটির উচ্চতা ৩৫ ফুট । এ মন্দিরের সামনেই সিমেন্ট দিয়ে দু'টি বাঘ তৈরি করা আছে । দেখে মনে হয় যেন জীবন্ত দুটি বাঘ মন্দিরকে পাহাড়া দিচ্ছে। কুয়াকাটা যাওয়ার পথেই সবচেয়ে রাখাইন সম্প্রদায়ের ঘন বসতি আমখোলাপাড়া নজর পড়বে। এটিও একটি চমৎকার বৈদ্ধ বিহার। এখানেও ছোট বড় মিলিয়ে ১৬/১৭ টি বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এ পাড়ায় শতাধিক রাখাইন পরিবার বসবাস করছে। উপজাতি রাখাইনদের জীবনযাত্রা দেখতে হলে এ পাড়াটিই হচ্ছে আর্দশ পাড়া । এ পাড়ায় রাখাইন নারীদের তাঁত বুনুন , পিঠা তৈরি সহ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি-কৃষ্টি সম্পর্কে জানা যায়।
©somewhere in net ltd.