নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোতে পবিত্র কুরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৩

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম



সুরা লোকমানের ২৭ নং আয়াতের অর্থ-

পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথে ও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয় , তবুও তাঁর বাক্যাবলি লিখে শেষ করা যাবেনা। নিশ্চই আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় ।



আসলে রস আলোতে যেটা বলা হয়েছে সেটা শুধু মাত্র কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়। কোরআনের আয়াত বা কোরআনকে অবমাননা করা বা হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এটা লেখা হয়নি। যিনি লিখেছেন তিনি হয়তো জানেনও না যে কোরআনে এ ধরনের আয়াত রয়েছে। যেটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এর প্রশংসা করে লেখা হয়েছে। আর তিনি যদি জেনেও থাকেন যে কোরআনে এ ধরনেরে আয়াত আছে তার পরেও উনি কোরআনকে অবমাননা করার জন্য এটা লিখেছেন মনে হয়না। কারন যদি আমরা রস আলোর ঐ কলামটুকু সম্পূর্ণ পড়ি তাহলে সহজেই বুজতে পারব ।



আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কথাবার্তা কাজকর্ম এমন রয়েছে যেটা কোরআন হাদিসের দিক থেকে বিবেচনা করলে সে সব কথাবার্তা বা কাজকর্ম আমাদের জন্য মোটেই শোভনীয় নয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেগুলো আমরা কোরআন হাদিস অথবা ইসলামকে কটাক্ষ করে বলিনা। উদাহরন হিসাবে বলা যেতে পারে-



আমরা অনেক ক্ষেত্রে বলে থাকি ডাক্তার সাহেব খুব দক্ষ ও ভাল থাকায় এবার আমি বেঁচে গেছি। এ কথাটি ইসলামের বিবেচনায় শিরকের মত। কিন্তু আমরা এ কথাটি আল্লাহর সাথে শরীক করার উদ্দেশ্যে বলিনা। কেননা আমরা মন থেকে বিশ্বাস করি আল্লাহর সাথে কারো শরীক নেই। তিনিই আমাদেরকে বাঁচান এবং মারেন।

এমনি ভাবে অনেক সময় আমরা অনেকের নাম ধরে ডাকি যে গুলো মহান আল্লাহর নামের মধ্যে রয়েছে। নিয়ম হলো যদি কেউ আল্লাহর নাম গুলোর কোন একটি নাম রাখে তাহলে তাকে ডাকার ক্ষেত্রে শুরুতে আব্দুল শব্দটি প্রয়োগ করতে হবে। যেমন আব্দুর রাহিম, আব্দুল গফুর। এ নাম দুটো আল্লাহর। যার অর্থ হল দয়ালু এবং ক্ষমাশীল, এখন কেউ যদি শুধু রহিম বা গফুর বলে ডাকে তা হলে তাকে সরাসরি আল্লাহর সাথে শরীক করা হচ্ছেনা। যদিও বলা উচিৎ ছিল আব্দুর রহিম অর্থাৎ দয়ালুর বান্দা, আব্দুল গফুর অর্থাৎ ক্ষমাশীলের বান্দা এখানে আব্দুল শব্দটি ব্যবহার না করলেও তিনি জানেন আল্লাহর একজন বান্দাকেই ডাকছি। আর দয়ালু বা ক্ষমাশীল যে মহান আল্লাহকেই বুঝি উনি সেই দয়ালু বা ক্ষমাশীল নন। ওনার নাম হতে পারে রহিম,গফুর।সুতরাং এখানে আল্লাহর সাথে শরীক করা হচ্ছনা।



আবার অনেক সময় আমরা বলে থাকি “আমি কার মুখাপেক্ষী নই আমার যেমন মন চায় সেভাবে চলব।” পৃথিবী ও আসমানের মধ্যে একমাত্র অমুখাপেক্ষী হলেন আল্লাহ। যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তা হলে আমাদের ঐ কথাটি কি আল্লাহর সাথে শরীক বা নিজেকে সমকক্ষ করা হলনা? না এর মাধ্যমে নিজেকে আল্লাহর সাথে সমকক্ষ করা হয়নি। কারন আমরা ভাল করেই জানি একমাত্র আল্লাহই হলেন অমুখাপেক্ষী। এটা আমরা আল্লাহর সাথে সমকক্ষ স্থাপন করার উদ্দশ্যে বলিনি। শুধু মাত্র কথার কথা হিসাবে অথবা হাসি তামাশা করে বলা হয়েছে।



সুতারাং এ সমস্ত কথাবার্তা আমরা কোনটিই কোরআন হাদিস বা ইসলামকে অবমাননা করে বলিনা। সুরা লোকমানের ২৭ নং আয়াতে যেটা বলা হয়েছে সেটা একমাত্রই আল্লাহর গুণকীর্তন এর উদ্দ্যেশ্যে বলা হয়েছে। অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে সুরা বনী ইসরাইলের ১০৯ নং আয়াতে যেটা শুধু মাত্র আল্লাহ রাব্বূল আল-আমীন এর জন্য প্রযোজ্য যেটা দুনিয়ার কোন মানুষ, দেশ বা সরকারের জন্য প্রযোজ্য নয়। আর এটা আমরা ভাল করেই জানি এবং মুসলিম হিসাবে বিশ্বাস করি।



আর রসালোতে যেটা এসেছে সেটা সম্পূর্ণ অর্থাৎ বিষয় শুরুতে, মাঝামাঝি পর্যায়ে – শেষ দিকে – এটা পড়লে অনায়াসেই বুঝা যায় যে এটা শুধুমাত্র কথার কথা ছাড়া কিছুই নয়। যেটা আমরা এক বন্ধু আর এক বন্ধুকে মজা করে অনেক সময় বলে থাকি তোমার গুণগান সাগরের পানি দিয়ে লিখেও (পানিকে কালি বানিয়ে) শেষ করা যাবেনা।



পরিশেষে বলব, কোন মুসলমানের জন্য শোভনীয় নয় মানুষের সাধারন কথাগুলো নিয়ে কোরআন হাদিসের উপর চাপিয়ে দেয়া এবং এর মাধ্যমে সমাজকে অস্থিতিশীল করে তোলা। আর সমাজের সাধারন ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করা।



তাই দল মত নির্বিশেষে সকলের এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ। আল্লাহ আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন এবং সকলকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান কারুন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.