![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াত-শিবির বাংলাদেশকে তথা বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে নষ্ট করার জন্য যে প্রোপাগান্ডার আশ্রয় নেয় অতি সম্প্রতি একটি ঘটনা তারই প্রমান করে। কক্সবাজারে নবাব মিয়া (৩০) নামে জামায়াতের এক কর্মীকে পুলিশ নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জামাত-শিবির দেশ বিদেশে প্রচার করে। হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনের চাপে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছিলেন এতদিন ভীষণ বেকায়দায়। নিহত বলে কথিত সেই নবাব মিয়াকে পুলিশ বুধবার রাতে উদ্ধার করেছে। এতে ভণ্ডুল হয়ে গেছে জামায়াতি অপপ্রচারের সাজানো এক পরিকল্পনা। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আজাদ মিয়া জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারী জামায়াত শিবির কক্সবাজার শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগ এর মাধ্যমে শহরে নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপরও আক্রমন করে। ওইদিন সহিংস ঘটনায় ৩ জন নিরীহ ব্যক্তির প্রানহানি হলেও জামায়াত শিবিরের দাবি ছিল, পুলিশ তাদের ৪ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করে তাদের আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করে। অথচ জামায়াত শিবির ফেসবুক সহ দেশবিদেশে প্রচার করে পুলিশ নবাব মিয়া নামে তাদের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা লাশ গুম করেছে। নিহত নবাব মিয়া কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ডিকপাড়া গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে বলে তাদের প্রচারনায় উল্লেখ করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির চরম মিথ্যাচার করে। তারা ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করে গুলিবিদ্ধ নবাব মিয়াকে পুলিশ চরম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে অপপ্রচার চালায়। ফেসবুকের মাধ্যমে এ ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা। ঘটনার ৩৩ দিন পর পুলিশ বুধবার রাত্রে মৃত বলে কথিত নবাব মিয়াকে তার বাড়ী থেকে জীবিত উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয়। নবাব মিয়া জানান, তিনি জামায়াত-শিবিরের কর্মী বা সমর্থক নন, একজন সাধারণ কৃষক। ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ায় খালার বাসায় বেড়াতে এসে শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করেন রুমালিয়ার ছড়া মসজিদে। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুদিক থেকে আসা জামায়াত-শিবিরের মিছিলের মাঝখানে পড়ে যান তিনি। তখন এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মিছিলকারিদের। এ সময় তিনি দৌড়ে পিটিআই স্কুল বাজারের কাছে একটি দোকানের সামনে আশ্রয় নেন। এর কিছুক্ষন পর হঠাৎ একটি গুলি এসে লাগে তার পায়ে। কে বা কারা তাকে উদ্ধার করে আল ফুয়াদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরী চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামের ন্যাশনাল হাসপাতালে। ৪-৫ দিন আগে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কক্সবাজার সদর থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, নবাব মিয়ার অবস্থা মারা যাওয়ার মতো গুরুতর ছিল না। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সে মারা গেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে। সাজানো ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে দেশ-বিদেশে অপপ্রচার করেছে। নবাব মিয়াকে জীবিত উদ্ধার করার ফলে গুজবের অবসান হয় এবং জামায়াত-শিবির প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে যে ওস্তাদ এই ঘটনায় এটাই প্রমানিত হল।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: মন্ডল বেটার তো ভাগ্য ভালই আমি বলব । কারন তারা যে নিজেরাই এই বেটারে মাইরা লুকায়া না থুয়া জীবত লুকায়া থুইছে এইটাই অনেক ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
কয়েস সামী বলেছেন: বিডিও চিত্রটা কি সাজানো ছিল? কিভাবে করল কাজটা এতো নিখুতভাবে? আজ আমাদের সময় পত্রিকাতেও খবরটা দেখলাম। পত্রিকাগুলা তবে কেন মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছে? আমাদের সময় ব্যান করার দাবী জানাই।