নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলাম আজম জামায়াতের প্রান ভোমরা। (পর্ব-২)

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

জামায়াত-শিবির এর ত্বাত্তিক গুরু গোলাম আজম এর মামলার রায় যে কোন দিন হতে পারে। গত ১৭ এপ্রিল মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষনার (সিএভি) রাখেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন খুন, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, রাজাকার বাহিনী গঠন, শান্তি কমিটি গঠন, পাকি জেনারেল রাওফরমান আলীর সাথে বৈঠক সবকিছুতেই নেতৃত্বের শীর্ষে ছিলেন এই জামায়াত নেতা।



কি তাদের নীতি আদর্শ?



এই প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, জামাত এদেশে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ কায়েম করতে চায়। নারীদের কর্মক্ষেত্র বন্ধ করে তাদের গৃহকোণে বন্দী করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম নামে জামাত যে তাণ্ডব চালালো তাহা তাদের দীর্ঘ দিনের লালিত আকিদা বিশ্বাস। শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা কওমি শিক্ষা চালু করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চাকে তারা খুব ভয় পায়। কেননা এতে তাদের ফতোয়া বাজি বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া বন্ধ হবে। তাই বলা যায় প্রগতির বিরোধিতাকারী এই চক্র আধুনিক বাংলাদেশকে মধ্য যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। প্রগতির বিরোধিতাকারী এই দলটি ১৯৪২ সালে আবুল আলা মৌদুদীর নেতৃত্বে গঠিত হয়। তখন তারা ব্রিটিশরাজের পক্ষ নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মুসলমানদের যোগদান করা হারাম হিসেবে ঘোষণা করে। কাদিয়ানী দাঙ্গায় দলটি নিষিদ্ধ হয় এবং আবুল আলা মওদুদীর ফাঁসির আদেশ হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিরধিতা করার অপরাধে ১৯৭২ সালে দলটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গোলাম আজম পাকিস্থানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে। সৌদি আরব সহ অন্য অন্য মুসলিম দেশে পাকিস্থান উদ্ধার কমিটি নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্বের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে থাকে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হলে গোলাম আজম আদর্শ লালনকারী জেঃ জিয়াউর রহমান ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৭৫ তারিখে দালাল আইন রহিত করে সকল যুদ্ধাপরাধীর মামলা বাতিল করে দেন এবং তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এক সামরিক ফরমান বলে রাজনীতি উন্মুক্ত ঘোষণা করলে জামাত আইডিএল নাম দিয়ে রাজনীতিতে আগমন করে এবং ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়, ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান সহ জামাতপন্থী রাজাকার। ১৯৭৯ সালে অসুস্থ মাকে দেখার অজুহাতে পাকিস্থানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ আগমন করলেও তিনি আর পাকিস্থানে ফিরে যান নি। ১৯৯২ সালে গোলাম আজম জামাতের আমীর হলে সারাদেশে বিক্ষোভে ফেটে পরে। হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত রিট হয়। কিভাবে একজন বিদেশী আমির হন। মহামান্য হাইকোর্ট তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করলে সেই পর্বের অবসান ঘটে। জাহানারা বেগমের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সরওয়ার্দি ময়দানে তাকে প্রতীকী ফাঁসি প্রদান করে। তৎকালীন সরকার গণআদালত পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রজু করে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধ মামলা রজু করলে এই রাজাকার শিরোমণি গ্রেফতার হন।(শেষ)



পূর্বের পর্ব দেখতে এই লিঙ্কে যান,

http://omarbangla.com/?p=8243



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.