নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সরকারের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

স্বাস্থ্য মানব উন্নয়ন পরিমাপের একটি বিশ্বজনীন সূচক। বাংলাদেশের সংবিধান স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াকে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন স্থানীয় উদ্যোক্তা, বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালিত হয়ে থাকে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত নেবার দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর, সেবিকা সেবা অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। দেশের সকল মানুষ, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যাতে উপকৃত হয়, সে লক্ষ্যে সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছে। সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন নীতিতে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে মূল লক্ষ্য হল - স্বাস্থ্য, পুষ্টি, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জনগণের উন্নতি সাধন যাতে করে সমাজের সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ অংশ অর্থাৎ নারী, শিশু, প্রবীণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তি এবং শারীরিক, সামাজিক, মানসিক ও আত্মিক কল্যাণ সাধিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রলায়ের অধীনে সরকার প্রণীত জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি , জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নীতি এবং জাতীয় জনসংখ্যা নীতি বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। বেসরকারি সংস্থাসমূহ শহর ও গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। সম্প্রতি এসব সংস্থা তাদের সেবার পরিধি বিস্তৃত করেছে এবং শহরাঞ্চলেও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে। দেশে স্বাস্থ্য খাতের একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হল জাতীয় ঔষধ নীতি। ১৯৮২ সাল থেকে কার্যকর হওয়া এই নীতির কাজ হল বাজার থেকে ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় ঔষধ অপসারণ করে সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঔষধের ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। এই নীতির ফলে বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বিকাশ লাভ করেছে। এই নীতি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামোও দিয়ে থাকে। বর্তমান সরকার সকল মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি যে গুরুত্ব আরোপ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.