নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনাব আদিলুর রহমান শুভ্র মানবাধিকার কর্মী না মানবাধিকার-ব্যবসায়ী!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জনাব আদিলুর রহমান শুভ্র মানবাধিকার কর্মী না মানবাধিকার-ব্যবসায়ী!



রাষ্ট্রের দায়িত্ব ন্যায়বিচার ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সম্পদের অপর্যাপ্ততার কারণে বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশসহ অনেক উন্নত দেশেও জনগণের জানমালের তাৎক্ষণিক শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবসময় সম্ভব হয় না। রাষ্ট্রে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যতটা দুরূহ, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ততটা নয়। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য জনগণের প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রের পরিচালকদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকা অপরিহার্য। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে জনগণের নিরাপত্তার বিধানও সহজ হয়ে যায়। কিন্তু যে রাষ্ট্রে রক্ষকরা ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সে রাষ্ট্রে ন্যায়বিচারের আশা করা অরণ্যে রোদনের নামান্তর। বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিও তেমনি একটি রাষ্ট্র যেখানে রক্ষকরা প্রায় সবসময় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। নব্বইয়ের পর থেকে বাংলাদেশে ৪টি নির্বাচিত সরকার ও ১টি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে ২০০১-০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়। জনাব আদিলুর রহমান ওই সরকারের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার শপথ নিয়েই তিনি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এ পদ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার রক্ষায় জনাব আদিলুর আদৌ আন্তরিক ছিলেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে! গত সরকারের সময় ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মানবাধিকার রক্ষায় আদিলুর রহমান শুভ্রর ভূমিকা প্রশ্নসাপেক্ষ সে সময় বিএনপি-জামায়াতের তত্ত্বাবধানে গজিয়ে ওঠা জেএমবি,হরকত-উল জিহাদের বোমা হামলায় শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ ১৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। আহত হন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ ১ হাজার ৪৫৮ জন। মানবাধিকার কর্মীর তকমা গায়ে লাগিয়ে একের পর এক তথ্যবিকৃতির মাধ্যমে মানুষের পারসেপশন পরিবর্তনের অসৎ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। বস্তুতপক্ষে বিএনপি-জামায়াত সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছিল আদিলুর রহমান। তিনি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। যাঁরা মানবাধিকারকে প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করেন তাঁদের ‘মানবাধিকারকর্মী’ না বলে “মানবাধিকার ব্যবসায়ী” হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.