![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যেকের জন্য রিজার্ভ আছে ১০০ ডলারেরও বেশি। এই হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু রিজার্ভের পরিমান ২৫ ডলার। পাকিস্তানের মাথাপিছু রিজার্ভের পরিমান ৫৫ ডলার। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশী মুদ্রার সঞ্চিতি ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রিজার্ভের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি এবং খাদ্য আমদানি কমে আসায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এই অবস্থানে পৌঁছেছে। খাদ্যের উৎপাদন বৃ্দ্ধির ফলে দেশের আমদানি ব্যয় কমছে। খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও অন্যান্য খাতে দেশের শিল্পোৎপাদন বেড়েছে। এর ফলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চিতির দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে কেবল ভারত। ২ অগাস্টের তথ্য অনুযায়ী উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশটির রিজার্ভ ২৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। আর জুলাই শেষে পাকিস্তানের রিজার্ভ ১০ দশকি ২৩ বিলিয়ন ডলার, গতবছর তাদের রিজার্ভ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ শতাংশ; আর রেমিটেন্সে ১৫ শতাংশ। কৃষি উৎপাদন বাড়ায় খাদ্য আমদানি অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সব মিলিয়েই রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন দেশে স্বজনদের কাছে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে অবৈধ হুন্ডি ব্যবস্থার বদলে ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর অনেক বেশি ভরসা রাখছেন। পেমেন্ট সিস্টেমের উন্নতির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সরকারের এসমস্ত সাফল্য কি আমাদের চোখে পড়েনা? শুধু দোষ খোজায় কি সচেতন নাগরিকের কাজ?
©somewhere in net ltd.