![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নানা শঙ্কার মধ্যদিয়েও বাংলাদেশ জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার প্রথম লক্ষ্য অর্জন করতে চলেছে। শুধু এ লক্ষ্যই নয়, মোট আটটি লক্ষ্যের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য অর্জনযোগ্য ৩৪টি সূচকের নয়টিই বাংলাদেশ অর্জন করতে চলেছে। নির্ধারিত সময়সীমা ২০১৫ সালের মধ্যে আরও ১০টি সূচকে বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে শ্রমবাজারে গতিশীলতার কারণে দারিদ্র্যের হার কমেছে। এ সময়ে কৃষি ও অকৃষি খাতের মধ্যে একটি ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দুর্নীতি ও বৈষম্য কমাতে না পারলে দারিদ্র্য বিমোচনে আবার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ২০০৯ সালে একজন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে সাড়ে চার কেজি চাল কিনতে পারত। এখন একজন দিনমজুর দিনের আয় দিয়ে প্রায় সাড়ে আট কেজি চাল কিনতে পারছে। মূলত ২০০৫ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে গতি আসে। এই দারিদ্র্য বিমোচেন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি। এছাড়া কৃষি খাত থেকে অকৃষি খাতে চলে যাওয়ার কারণেও একটি বিরাট অংশ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে আসে। ২০১৫ সালের আগেই দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে। আগে আশ্বিন-কার্তিক মাসে দেশের কিছু এলাকায় মঙ্গা-দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। ওই সময় সে এলাকার মানুষের কোন কাজ থাকত না। এমনকি বাজারে চাল থাকতেও তাদের কেনার সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই এলাকায় ভিজিএফ, ওএমএস, টিআর, কাবিখা ইত্যাদি চালু করে। সেই সঙ্গে ওসব এলাকার মানুষের জন্য কর্মসৃজন করা হয়। এতে মানুষের হাতে যেমন টাকা আসে তেমনি স্বল্পমূল্যে চালও বিক্রি করা হয়। এতে গরিব মানুষের হাতে যেমন টাকা আসে, তেমনি তারা সেই টাকা দিয়ে স্বল্পমূল্যের চালও কিনতে পারে। এছাড়াও চিরতরে মঙ্গা দূর করতে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ফলে এখন বাংলাদেশের কোথাও আর দুর্ভিক্ষ বা মঙ্গা দেখা যায় না।
©somewhere in net ltd.