![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল কায়েদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিরা একত্র হওয়ার চেষ্টা করছে। যেভাবেই হোক বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে চাচ্ছেন ওরা। কিতাল (মৃত্যু) কায়েম মিশনে রয়েছে সাত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের মধ্যেই ৫টি সংগঠনকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহরীর, আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা। বাংলাদেশী জঙ্গিদের পাশাপাশি ভিনদেশী জঙ্গিরাও পিছিয়ে নেই। লস্কর-ই-তৈয়বাসহ অন্য সংগঠনগুলোও বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা অতিরিক্ত নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। জঙ্গিরা আগের চেয়ে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তারা সমাজে কিতাল কায়েম করার মিশনে নেমেছে। সম্প্রতি যেসব জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে তাদের কাছ থেকে উদঘাটিত হয়েছে নানা চমকপ্রদ তথ্য। পুলিশ স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জঙ্গিরা আঘাত করার পাঁয়তারা করছে। জঙ্গিদের গডফাদারদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দিনকে দিন জঙ্গিরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তারা সংগঠনকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করতে নানা কৌশলে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় অর্ধশত জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা আনসারউল্লাহ ও বগুড়া থেকে বিইএম সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ধৃত জঙ্গিরা জানাচ্ছে-আল-কায়েদার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনগুলো কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে ভিনদেশী জঙ্গিদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে। এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য, যদি অহিংস পন্থায় আল্লাহর দীন কায়েম করা সম্ভব না হয়, তাহলে সহিংস পন্থায় সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিতাল মিশনে সাতটি জঙ্গি সংগঠন চেষ্টা চালাচ্ছে। সংগঠনগুলো হচ্ছে- জেএমবি, হুজি, আনসারউল্লাহ বাংলাদেশ, দাওয়াতে ইসলাম, ইসলাম ও মুসলিম, তাআমির উদ-দীন, আল হারাত আল ইসলামিয়া, জামায়তুল ফালাইয়া। এসব সংগঠনের সদস্যরা কয়েক ধাপে কাজ করে। তারা প্রথমে দাওয়াতী কর্মকাণ্ড চালায়। এ ধাপে তারা সশস্ত্র জিহাদের মাধ্যমে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দাওয়াত দিয়ে থাকে। দাওয়াতের জন্য যাদের টার্গেট করা হয় তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সচ্ছল পরিবারের সন্তান ও উচ্চশিক্ষিত যুবক। ইসলাম সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের দাওয়াত দেয়া হয়।
©somewhere in net ltd.