![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপি-জামায়াত-শিবির ক্যাডার, প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা জঙ্গী ও মৌলবাদী উগ্রপন্থীদের তাণ্ডবে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর বৌদ্ধবিহার-পল্লী জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাই করে দেয়ার ধ্বংসযজ্ঞ স্বচক্ষে দেখতে তখন রামুতে ছুটে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জ্বালাও-পোড়াও ঘটনা ঘটাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদেরও ভাড়া করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল ঐ দিন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা জঙ্গীরা গানপাউডার আর পেট্রোল ছিটিয়ে বিহারগুলো পুড়িয়ে দেয়। বোমা ফাটিয়ে ধ্বংস করা হয় ১শ’ ফুট লম্বা বুদ্ধমূর্তি। কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস ও অসাম্প্রদায়িক সম্প্রিতিকে বিনষ্ট করার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সংঘটিত করে জেলার প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। রামুর উত্তম কুমার বড়ুয়া নামে এক যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরান শরীফ অবমাননাকর ছবি ট্যাগ করে দিয়ে এ ঘটনাকে পুঁজি করে মুসলিম-বৌদ্ধদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ব্যাপক আকারে নেয়ার প্রচেষ্টা চালায় একাধিক মৌলবাদী গ্রুপ। ঐ সময় তারা উস্কানি দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। দেশে ইতোপূর্বে সংঘটিত সিরিজ বোমা হামলার একই স্টাইলে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধ জনপদে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ধ্বংসলীলা সরেজমিন দেখে সেইদিন প্রধানমন্ত্রী খুবই মর্মাহত হন। ঐ দিনই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিহার ও বসতবাড়িগুলো পুনঃনির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বিহারগুলোর পুনঃনির্মাণের দায়িত্ব দেন দেশের সেনা সদস্যদের। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলো নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন বিজিবিকে। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মোতাবেক সরকারী অর্থায়নে অত্যাধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধবিহার। দুঃখের সময় পাশে দাঁড়ানো এবং প্রতিশ্রুতি মতে পুনঃনির্মাণকৃত বিহারগুলোর উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সংখ্যালঘুসহ রামুর মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। আ’লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রামু-উখিয়ায় আগমনে টেকনাফে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে কক্সবাজারবাসী হয়েছেন আবেগপ্লুত।
©somewhere in net ltd.