![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক কৃষক। তারা সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সোনার ফসল ফলায়। তাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমের উৎপন্ন শস্য দিয়ে আহারের চাহিদা মেটায় এদেশের ১৬ কোটি মানুষ। কৃষককে বলা হয় এদেশের মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড ছাড়া যেমন মানুষ দাঁড়াতে পারে না, তেমনি ভাবে বলা যায় কৃষি বা কৃষক ছাড়া একটি দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এই দারিদ্র কৃষকরা নানাভাবে লাঞ্চিত বঞ্চিত হয়ে আসছে। অতীত ইতিহাস থেকে দেখা গেছে তারা সময়মত না পেয়েছে ফসলের দাম এবং ফসল ফলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সার। তাই বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এই দরিদ্র কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য কতকগুলো পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য :
১। কৃষি খাতের বিকাশের মাধ্যমে বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানো।
২। কৃষি ভুর্তকি, ক্ষুদ্রসেচ ও জলাবদ্ধতা নিরসন,৫১ জেলায় আউশ ধান চাষের জন্য বিনামুল্যে রাসায়নিক সার প্রদান।
৩। দেশে প্রথমবারের মতো ১ কোটি ৪০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ড প্রদান।
৪। কৃষককে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ।
৫। বর্গা চাষিদের মধ্যে কৃষি ঋণ প্রদান।
৬। কৃষকদের মধ্যে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ প্রদান।
৭। কৃষি খাতে সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা।
৮। পাটের আঁশ ছাড়ানোর আধুনিক রিবন রেটিং পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের সহায়তা প্রদান।
৯। নন ইউরিয়া সারের দাম তিন দফা কমানো।
১০। ৮০ টাকা কেজি টিএসপির বর্তমান মুল্য ২২ টাকা।
১১। কৃষক পর্যায়ে সময়মত সুলভ মুল্যে পর্যাপ্ত সারের নিশ্চিত।
১২। তিন বছরে কৃষকদের সার, বিদ্যুৎ ও ডিজেল ১৬,৩৭৭ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান।
১৩। কৃষি যান্ত্রিকীকরনের জন্য ২০১০-১১ অর্থ বছরে ১৪৯ কোটি টাকা ব্যয়।
১৪। বীজ আমদানি নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে দেশে মান সম্মত বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সরাবরাহ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের আর্থিক ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.