![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে জিয়াউর রহমান তার দল গঠন করেছিলেন। একই ধরণের কাজ এরশাদও করেছিলেন। তবে জাতি কখনই যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করেনি। বর্তমান সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হবে কিনা অনেকেই সন্দেহ পোষণ করছেন। কেউ কেউ ভাবছেন সামনে অন্য কোন দল ক্ষমতায় এলে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমাদের যদি জেলে যেতে হয় যাব, এমনকি মৃত্যুবরণও যদি করতে হয়, করব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কোনো আপোষ করব না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিশ্বে একটি নতুন মান সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা বিদেশী লবিস্ট নিয়োগ করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এ দেশে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশে গণহত্যা হয়েছে। আদালতে যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তারা কেউই অস্বীকার করেননি যে দেশে গণহত্যা হয়েছে। বিরোধীপক্ষ অপপ্রচারের লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এসব লবিস্ট গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে হবে। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
©somewhere in net ltd.