![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের টেলিকম খাতের ইতিহাসে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে থ্রিজি নিলামই হচ্ছে সর্বোচ্চ নিলাম। রবিবার এ নিলামের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে ৪০৮১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। টেলিটক, গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংকসহ পাঁচ অপারেটরকে থ্রিজির যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হচ্ছে খুব শ্রীঘ্রই। কোন অপারেটর ৯ মাসের মধ্যে সব বিভাগে সেবা চালু করতে না পারলে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
রবিবার সকালে বিটিআরসি আয়োজিত হোটেল রূপসী বাংলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে থ্রিজির (তৃতীয় প্রজন্মের ফোন) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। থ্রিজি নিলামের চারটি অপারেটর ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে। এক মাত্র গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। এখন থেকে প্রতিযোগিতামূলক-ভাবে থ্রিজি ফোন ব্যবহার হবে। যে যত কম দর দেবে তার সেবাই নেবে গ্রাহকরা। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক অপারেটর ইতোমধ্যে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে থ্রিজি সেবা দিতে শুরু করেছে। থ্রিজি জনপ্রিয় করতে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। টেলিটকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক শীঘ্রই নানা পদক্ষেপ নিতে পারে এবং এর ফলে মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে নতুন প্রযুক্তির থ্রিজি-সুবিধা। থ্রিজির নিলাম হওয়ায় এখন এ প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তির (থ্রিজি) সেবা দেয়ার জন্য এখন সব অপারেটর প্রস্তত। থ্রিজির নিলাম হওয়ায় সরকারী ও বেসরকারী টেলিযোগাযোগ খাতে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে যাবে। থ্রিজির মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্ক-সুবিধা পাওয়া যায়, যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ১০ কোটির বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছে দেশে। এ ক্ষেত্রে দেশের যে কোন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই এই সুবিধার আওতায় আসবেন। অবশ্য, থ্রিজির সুবিধা নির্ভর করছে এর খরচের ওপর। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এখন একটাই চাওয়া, কম দামে থ্রিজি-সুবিধা।
©somewhere in net ltd.