![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করাকে নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো খুব নড়ে চড়ে উঠেছে। বিভিন্ন রকম মন্তব্যে খবরের কাগজের পাতা, টক-শো ইত্যাদি গরম করেছে। অথচ জাতিসংঘের এটি বাৎসরিক সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। এই অধিবেশনে কোন দেশের সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের যোগ দেওয়া যেমন বিশাল গুরুত্ব রয়েছে তেমনি না গেলে যে বড় মাপের দুর্ঘটনা ঘটবে তাও কিন্তু নয়। এই অধিবেশনে প্রত্যেক দেশের প্রতিনিধি বা প্রধানরা ১৫/২০ মিনিটের জন্য ১টি সাধারণ বক্তব্য পেশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আহবানে একটি ডিনার পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সবার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তাছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সাথে কুশলাদি আদান প্রদান করা। আর যদি পূর্ব নির্ধারিত কোন বৈঠক অন্য কোন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে হওয়ার কথা থাকে তাহলে সে বৈঠকটি ঐ রাষ্ট্রপ্রধানেরা করতে পারেন। এখানে বারাক ওবামা বা জাতিসংঘের মহাসচিবের নির্দিষ্ট কোন সময় নির্ধারণ নেই। বর্তমানে দেশের রাজনীতিতে বেশ উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশনের শেষ দিন। এরপর সংসদ থাকবে না। সুতরাং এই অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে টান টান উত্তেজনা। আলোচনার পাশাপাশি প্রকাশ্যে এবং নেপথ্যে নানা আয়োজন রয়েছে। এই মুহূর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করতে পারেন। তিনি অভ্যন্তরীণ এই পরিস্থিতিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই এরকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। এমন সব উদ্ভট কথা মিডিয়া ও জনগণের ছড়ানোর প্রবণতা বিরোধীদলের পূরানো অভ্যাস। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নির্ধারিত সময়েই যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাফল্য তুলে ধরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিবেন। অধিবেশনকে সামনে রেখে সেখানে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠকও করবেন। ২০১৫ সালের পরে আগামী ১৫ বছর পৃথিবী কিভাবে চলবে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার হবে,সেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। আমাদের জানা Mellinium Development Goal এ বাংলাদেশ সাফল্য লাভ করেছে। সেই সাফল্যে বাংলাদেশকে মডেল রেখে অন্যান্য দেশগুলো আগামীতে যাতে সাফল্য অর্জন করতে পারে এ বিষয়ের উপর সেমিনারে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। Education of Bangladesh-এর উপর যে সাফল্য তা উথাপন করবেন। UNICEF, UN এবং World Bank এর যৌথ সেমিনারে ইনো-স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি মনে করেন এই তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেকখানি ভাল করবে। এছাড়া অনান্য সকল কর্মসূচীসহ ড. মন মোহন সিং এবং বান কি মুনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিরোধীদলের ও মিডিয়ার মুখে চুনকালি দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে জাতিসংঘে যাচ্ছেন।
©somewhere in net ltd.