নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারের মহতী উদ্যোগ!! দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আশার আলো! উন্নয়নের পথকে কলঙ্কমুক্ত করবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১



========================





ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশের তিনটি জেলার আটটি গ্রামে শুরু করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আর্থিক সহায়তায়। এই প্রকল্পটি স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সরকারী মালিকানায় প্রথম ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প ছিল, যা বর্তমানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’ নামে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৫-এ যদিও গ্রামীণ ব্যাংকের শুরু ১৯৭৬ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু ড. ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৭৯ সালে টাঙ্গাইলে প্রথম বড় আকারে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু করে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সংখ্যা প্রায় আটাশ হাজার, শাখার সংখ্যা ৬৮ হাজার প্রায় এবং এর মাধ্যমে প্রায় ৩.৩০ কোটি সুফলভোগী ক্ষুদ্রঋণের আওতায় এসেছে, যার ফলে বিগত এক দশকে দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ শতাংশে। সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৪.৭০ কোটি, যার অর্ধেক রয়েছে হতদরিদ্র। এই উপাত্ত অনুযায়ী, এখনও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যদিও দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৬%, আর দারিদ্র্য কমার হার ১.৪৪% । এই যে সাফল্য, এতে এককভাবে কেউ কৃতিত্বের অংশীদার নয়। এটি সকলের সামগ্রিক চেষ্টার ফসল মাত্র। বিষয়টির একটি বড় অংশীদার সরকার। ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যংকের ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কর্মসূচী ত্রুটিপূর্ণ, যা দরিদ্রকরণ প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর আওতায় আবর্তক ঋণ তহবিলের সুশৃঙ্খল গঠন, পরিচালনার ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসন, বিতরণের অধিকতর স্বচ্ছতা আনয়ন, ক্ষুদ্রঋণ ব্যবহারের ফলপ্রসূত সম্প্রসারণ, সুদের হার নির্ধারণে দাতা গ্রহীতার স্বার্থ সংরক্ষণ, পরিবীক্ষণ-নীরিক্ষাকে যুক্তিসঙ্গতকরণ এবং সর্বোপরি অব্যাহত মূল্যায়নের মাধ্যমে পদ্ধতি প্রক্রিয়াকে সরলীকরণের লক্ষ্যে যৌক্তিক, প্রয়োজনীয় ও সমীচীন বিবেচনা করে জনস্বার্থে সরকার সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করে। দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। দেশে এখন ৩.৩০ কোটি সদস্য ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই ঋণের প্রসারকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে। আদর্শিক রাজনীতির অনুশীলন, সন্ত্রাসবাদ দমনে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা, সম্প্রসারণ বাদ নীতি পরিহার, নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা, ক্ষুদ্রঋণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করা ইত্যাদি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক খেলা চিরস্থায়ী ফলদায়ক নয়। এই ধারণা যদি সত্যি হয় তবে, এ খেলায় অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তাই বা কি? এবং ক্ষুদ্রঋণকে কেনইবা এর মধ্যে জড়ানো হবে যেখানে দরিদ্র জনগণের জীবনজীবিকার বিষয়টি রয়েছে। কোন ব্যক্তি বিশেষ গ্রামীণ ব্যাংককে ও ক্ষুদ্রঋণকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে তা হতে দেয়া যায় না বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থে। তাইতো সরকার এ বিষয়টিকে আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে এর সংস্কারে হাত দিয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামোতে গণতন্ত্রায়ণ স্থান পাবে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এতদিন অনুপস্থিত ছিল। সরকারের এই মহতী উদ্যোগ বিলম্ব হলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আশার আলো হয়ে আগামী দিনে সমাজ উন্নয়নের পথকে কলঙ্কমুক্ত করবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.