![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাদ্য নিরাপত্তা, বিপুল জনগোষ্ঠী, সীমিত কৃষি জমি ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান সরকারের আমলে একুশটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ফলন অধিক পরিমাণে হওয়ার ফলে কৃষক ঝুঁকছে এই নতুন ধানের দিকে। বিশেষ করে হাওড় এলাকায় এই ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেলে এই ধানের গাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। এসব ধান লবণজল সহিষ্ণু বলে লবণাক্ত এলাকায় এই ধান চাষ করা সম্ভব। এছাড়া ব্রি থেকে যেসব ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে, তারমধ্যে দুটি জাত রয়েছে হাইব্রিড জাতের ধান। হাইব্রিড জাতের ধান উচ্চফলনশীল বলে কৃষকরা এই ধান চাষে আগ্রহী। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন আড়াই মিলিগ্রাম জিঙ্কের প্রয়োজন হয়। সাধারণত ভাতের সঙ্গে জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া সম্ভব হয় না। আর এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্বে এবারই প্রথম ব্রি’র বিজ্ঞানীরা জিঙ্কসমৃদ্ধ ধান ব্রি ৬২ উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রোটিনের বিচারেও এ জাত অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এ জাতে প্রতি কিলোগ্রামে জিঙ্কের পরিমাণ রয়েছে ১৯ মিলিগ্রাম এবং প্রোটিন রয়েছে শতকরা নয় ভাগ যা অন্যান্য উদ্ভাবিত জাতে থাকে সর্বোচ্চ সাত ভাগ। এছাড়া সরকার উদ্ভাবিত ব্রি ধান ৫৯ এর গড় জীবনকাল এক শ’ ৫৩ দিন। হেক্টরপ্রতি ফলন হবে ৭ দশমিক ১ টন।সরকার উচ্চফলনশীল জাতের ধানের বীজ উদ্ভাবনে আগ্রহী। ব্রি ধানের জাত উচ্চফলনশীল বলে পরিচিত। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জনে নতুন জাতের এই ধান বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
©somewhere in net ltd.