![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ও ভারত কর্তৃক যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০মেঃ ওঃ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন করার জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি-সংগঠন সরকারের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এটি দেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা জনস্বার্থে সরকার বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের বিদ্যুত খাতের ভিশন-‘২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য যৌক্তিক মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করা।’ সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং বিদ্যুত খাতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের প্রয়োজন হবে। এই লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় বিগত ৫ বছরে ৫৭টি বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা উন্নীত করেছে যা এক অনন্যসাধারণ ও অভূতপূর্ব সাফল্য। সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত অর্থাৎ ১৪ কিমি এবং UNESCOকর্তৃক স্বীকৃত National Heritage Site হতে ৭২ কিমি দূরে অবস্থিত। এই বিদ্যুতকেন্দ্রটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ও উন্নতমানের আমদানিনির্ভর কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এতে কার্বন, সালফার, Fly ash ও অন্যান্য বায়ু দূষণের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে যা পরিবেশের ওপর কোনরূপ বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক Environmental Impact Assessment (EIA) প্রতিবেদনের অনুমোদনের লক্ষ্যে যে কয়টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে সে সকল পরামর্শ অনুসরণ করে রামপাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। দারিদ্র্যপীড়িত এ এলাকায় বিদ্যুতকেন্দ্রটি স্থাপিত হলে অত্র এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। ফলে এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে এ সব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপরে নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুত চাহিদা পূরণকল্পে দেশের এই প্রথম State-of-the-Art প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিদ্যুত কেন্দ্রটি বাস্তবায়নে সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকগণের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.