![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধান গবেষণায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর সাফল্য অপরিসীম। বাংলাদেশে ধান গবেষণার শুরু ১৯০৯ সালে। ঢাকা ফার্মের বিজ্ঞানীরা দিবারাত্রি পরিশ্রম করে ৬০ দেশী-বিদেশী উন্নত মানের ধান এ অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য অনুমোদন দেয়। ধানের দেশ বাংলাদেশ। বোনা আমনের যেসব জাত বেশি বন্যা সহ্য করতে পারে না তা থেকেই কালক্রমে রোপা আমন বা ট্রান্সপ্লানটেট আমনের জাতসমূহের সৃষ্টি হয়। এর বন্যা প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। অন্যদিকে আউশের জাতসমূহ আলোকে সংবেদনহীন। আমাদের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অনেকটা ধানকেন্দ্রিক। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত আইআর-৮, আইআর-৯ নামক দুটি ধানের জাত এদেশে ইরি ধান নামক তুমুল জনপ্রিয় হয়। বিগত চার দশকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চারটি হাইব্রিডসহ ৬৫টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এদের ফলন সনাতন জাতের চেয়ে ২-৩ গুণ বেশি। ব্রি’র এসব উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে লবণাক্ততা সহনশীল ৭টি, আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় ২টি, খরা সহনশীল ৩টি, মঙ্গা মোকাবেলায় ২টি, সর্বাধিক ফলনের ৪টি এবং সুগন্ধী ও রপ্তানি উপযোগী ৩টি জাত। ১৯৭০-৭১ সালে এদেশে চালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ টনে। দেশীয় আট হাজার ধানের জার্মপ্লাজম বর্তমানে ব্রি জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত আছে। সম্প্রতি ব্রি ধান-৬২ নামক জিংকসমৃদ্ধ জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ধানের জাত (গোল্ডেন রাইস) উদ্ভাবনে ব্রি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে। ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯ নামক দুটি মেগা ভ্যারাইটি বোরো মৌসুমে ৮০ ভাগ জমিজুড়ে চাষ হয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও ক্লাইমেট চেঞ্জ তথা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কৃষিকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে অসম যুদ্ধে। তাই তো কৃষিবিজ্ঞানীরা খরা, বন্যা, হঠাৎ বন্যা, লবণাক্ততা-সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে গবেষণা করছে। আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যই নিশ্চিত করবে খাদ্য নিরাপত্তা। আজকের এই আনন্দঘন প্রতিষ্ঠালগ্নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত।
©somewhere in net ltd.