![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাজধানী ও তার আশপাশের চার লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বিদ্যমান বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থার ক্ষমতা বাড়াতে নতুন ১৮টি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে এবং ৬টি সাবস্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। বাংলাদেশ বর্তমানে বার্ষিক বিদ্যুতের চাহিদা ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করছে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী। ২০১৩ ও ১৪ সালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে ৮ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি বা বিদ্যুতের সংযোগ লাইনের সম্প্রসারণের সঙ্গে রয়েছে উন্নয়নের সম্পর্ক। জীবন যাপনের মানও বাড়বে তাদের। বিদ্যুতের নতুন নতুন সংযোগ দেয়া যায় উৎপাদন বাড়লে। আজকের যুগে সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ মানুষের সুস্থ আনন্দময় জীবনযাপনের জন্য প্রধান জিনিসটিই হচ্ছে বিদ্যুৎ। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম থেকেই বিদ্যুতের গুরুত্বটি সম্যক উপলব্ধি করে এর উৎপাদন বৃদ্ধির নানা ব্যবস্থা নিয়েছে যার ফলে এখন তাদের এবারের এই মেয়াদের শেষ পর্যায়ে দেশে বিদ্যুত পরিস্থিতির অনেকখানি উন্নতি হয়েছে। এখনও সরকার আরও কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছে যার জন্য বিদ্যুতের চাহিদা একদিন পুরোপুরি মিটবে। বিদ্যুতের গুরুত্বের ব্যাপারে সরকারের উপলব্ধি এবং সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কাজ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে এতে সন্দেহ নেই। তবে ঘরে ঘরে বিদ্যুত এখনও পৌঁছেনি। এখনও বিদ্যুত ঘাটতি রয়েছে অনেকখানি। এখনও কৃষি ও শিল্প পুরোপুরি বিদ্যুতায়িত হয়নি। সরকার যেভাবে কাজ করেছে, যেভাবে পরিকল্পনা নিচ্ছে তাতে আশা করা যায়, বিদ্যুত উৎপাদনের ধারাবাহিকতা, বিদ্যুতের সংযোগ নতুন নতুন গ্রাহকের কাছে দেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং এ সমস্যার সমাধান পরিকল্পিত সময়েই হয়ে যাবে- এ প্রত্যাশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.