![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের পোশাক কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মানোন্নয়ন বা সংস্কারে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা)। বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় জাইকার ৪১৫ কোটি টাকার তহবিল থেকে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। এ উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ ব্যাংক, গণপূর্ত বিভাগ, জাইকা এবং পোশাক কারখানার মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এই ঋণের জন্য কেবল ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার মালিকরাই আবেদন করতে পারবেন। যেসব পোশাক কারখানা সত্যিকার অর্থে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে সেসব পোশাক কারখানার মালিকরাই কেবল এ ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে একজন কারখানার মালিক সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাবেন। তবে ঋণ বিতরণের আগে জাইকা নিজ উদ্যোগে বিশেষজ্ঞ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কারখানাটি পর্যবেক্ষণ করে দেখবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই ঋণ দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা ব্যবহারের সফলতার ওপর নির্ভর করছে প্রতিশ্রুত ৪১৫ কোটি ঋণ সহায়তার পরবর্তী টাকা ছাড়ের বিষয়টি। উল্লেখ্য, গত মে মাসে রানা প্লাজা ধসের পর তৈরী পোশাক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাগুলোর উন্নয়ন কাজে জাইকা বাংলাদেশকে এ তহবিল দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়। এই তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল হিসেবে ব্যবহার করবে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে এই তহবিল পাবে। কারখানাগুলোকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সুদে ১৫ বছর মেয়াদে ভবন স্থানান্তর বা সংস্কারের জন্য ঋণ দেয়া হবে। কমপক্ষে ১০০ জন থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার শ্রমিক রয়েছে এমন কারখানা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে। একটি কারখানার মানোন্নয়ন অথবা স্থানান্তরের জন্য মোট খরচের ৯০ শতাংশ পাওয়া যাবে এই তহবিল থেকে। তবে তা কোনভাবেই ১০ কোটি টাকার বেশি হবে না। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এই ঋণ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.