![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে অর্ধ শতকের স্বপ্ন পূরণের পথে আরও এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ। বিদ্যুতকেন্দ্রটি চালু হলে বিশ্বের ৩২তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের খাতায় এ দেশেরও নাম উঠবে। গতকাল বহুল প্রতীক্ষিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং মাঠ পর্যায়ে বাস্তব কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ কয়েক দশকের জল্পনা-কল্পনা, প্রচেষ্টা ও পরিকল্পনার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র সফল পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার পারমাণবিক নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবেশ ও মানুষের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে সরকার আইএইএর নিরাপত্তা মানদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গাইডলাইন ও আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির ভিত্তিতে উপযুক্ত এক পারমাণবিক অবকাঠামো নির্মাণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নামে একটি স্বাধীন পারমাণবিক কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় আণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা উন্নয়নে রাশিয়া ফেডারেশনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ওপর। বিদ্যুতকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের প্রতিটি স্থাপনে ১৫০ থেকে ২০০ কোটি ডলার ব্যয় হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে জানানো হয়েছে। এই নির্মাণ ব্যয়ের ১০ শতাংশের অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ হিসেবে দেবে। বিদ্যুতকেন্দ্রের মেয়াদ হবে ৬০ বছর। পরে তা আরও ২০ বছর বাড়ানো যাবে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বিদ্যুতের যে ঘাটতি তা অনেকাংশে কমে যাবে।
©somewhere in net ltd.