নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

দেশকে অনিশ্চয়তা আর সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য বিরোধী দলের নেতারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে যে নাচানাচি শুরু করেছেন তা অতিরঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে নয় কি? ফিরে আসুন ২০০৮ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী দিনগুলোতে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জাতীয় পর্যায়ে, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউপি সহ প্রায় ৫ হাজার ২২৬ টি নির্বাচন সম্পূর্ণ করেছে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সবগুলো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। একটি নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন ওঠেনি। যদি সরকার এই সমস্ত নির্বাচনে দলীয় হস্তক্ষেপ করতো তাহলে প্রতিটি নির্বাচনেই সরকারদলীয় প্রার্থীরাই জয়ী হতো। কিন্তু না, ফলাফলে আমরা ব্যতিক্রম দেখেছি হবিগঞ্জের উপনির্বাচনে, চট্রগ্রাম ও কুমিল্লার মত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন গুলোতে। সম্প্রতি খুলনা, বরিশাল, সিলেট এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এবং এগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি। জনগণ নির্বিগ্নে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদান করেছে। আর এই নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থীই জয়ী হয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে তো নির্বাচনের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। কিন্তু তত্ত্বাবধায়কের নামে একটি অগণতান্ত্রিক চক্র এসে দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে এমন খেলা খেলবে তা আমরা কেউই আশা করি না। তাছাড়া বিশ্বের সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও আগামী জাতীয় নির্বাচন সেভাবেই হবে এটা অধিকাংশ জনগণের চাওয়া। বর্তমান মহাজোট সরকার দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সরকারী প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমঝোতার সিংহভাগ দুয়ার উম্মোচন করেছেন বলে আমার বিশ্বাস। বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে তারেক রহমান ও তার চ্যালা চামচারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির যে পাহাড় গড়েছিল তাতে অনেকেই মনে করেন যে, তারেক রহমানের রাজনীতিতে আর না আসাই ভালো। তাই বিরোধীদলের প্রতি অনুরোধ অন্ততঃ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নিয়ে অযথা জল ঘোলা না করে নিজেদের দলকে সুসংগঠিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। তত্ত্বাবধায়কের দাবী থেকে ফিরে এসে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে বিরোধীদল হিসাবে আপনাদের উচিৎ সরকারের বিরোধিতা না করে দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.