![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের চিকিৎসাসেবার অব্যাহত উন্নয়নে নতুন মাত্রা এনে দিচ্ছে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন কার্যক্রম। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য আর দেশের বাইরে ছুটতে হবে না। দেশেই স্থায়ীভাবে শুরু হতে যাচ্ছে বোনম্যারো প্রতিস্থাপন কার্যক্রম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে প্রতিস্থাপিত হবে দেশের প্রথম ‘বোনম্যারো ট্রান্সপ্লানটেশন ইউনিট।’ এই সেন্টারে চিকিৎসা মিলবে বিদেশের তুলনায় অনেক কম খরচে। ইতোমধ্যে ডাক্তার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেন্টারটি তৈরিতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের একে খান ফাউন্ডেশন। আর কারিগরি ও জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মেসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল। সরকারীভাবে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ফি নির্ধারণ করা হবে। আর দেশের বাইরে এই চিকিৎসার খরচ পড়ে রোগীপ্রতি ৩০ লাখ থেকে কোটি টাকার বেশি। ব্লাড ক্যান্সার, থ্যালাসিমিয়া, লিম্ফোমা ও মাইলোমায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যাধুনিক চিকিৎসাই হলো বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত ৬ অক্টোবর থেকে বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের রোগী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। আর বোনম্যারো প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে। ৮ জনের একটি একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ও বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত ২০ জন নার্সের একটি দল এবং ৫ জন টেকনিশয়ানের একটি দল বোনম্যারো প্রতিস্থাপন কাজ করবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এমএ খান। একটি লিফট সরাসরি ১০ তলায় গড়ে ওঠা বোনম্যারো প্রতিস্থাপন সেন্টারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ব্যবস্থা চালু হলে দরিদ্র অসহায় রোগীরা উপকৃত হবেন বহুলাংশে। বিদেশে গিয়ে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করানো যেখানে মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এক ধরনের অসম্ভব ব্যাপার। সেখানে দরিদ্র মানুষ তো কল্পনাই করতে পারে না। অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় এদেশে প্রাইভেট হাসপাতালে এ চিকিৎসা সেবা চালু হলেও তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই থেকে যাবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-২ এ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
©somewhere in net ltd.