নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে,............।

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭

আমি একজন ছাএ

রূপসা ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যগুদামে মজুদ রাখা চাল বিনষ্ট হওয়ার দিন শেষ! বর্তমান সরকারের উদ্দেগ্যে সান্তাহারে নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম বহুতল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক খাদ্যগুদাম।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

সরকারী খাদ্যগুদামে মজুদ রাখা চালের কিছু অংশ বিনষ্ট হয়ে ঘাটতি হওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। এ জন্য তৈরি করা হচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক বহুতল খাদ্যগুদাম। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশনের (জাইকা) অর্থ সহায়তায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ‘সান্তাহার বহুতল খাদ্যগুদাম’ নির্মাণ কাজ। এটি বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম অত্যাধুনিক বহুতল খাদ্যগুদাম। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন ও পৌর শহরের আমঝুপি, মালশন, কাজিপুর ও তারাপুরের মধ্যবর্তী স্থানে ১৯৬৮ সালে নির্মিত ২৫ হাজার মেট্টিক ধারণ ক্ষমতার গম সংরক্ষণে জন্য খাদ্য শস্য সাইলো ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বহুতল খাদ্যগুদাম। অত্যাধুনিক এই চাল সংরক্ষণাগার নির্মাণ হলে বিপুল পরিমাণ চাল নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বহুতল খাদ্য ভবনের মূল স্থাপনার জায়গা লাগছে প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট। এটির উচ্চতা হবে ৬০ মিটার। স্থানীয়ভাবে এই বহুতল খাদ্য গুদামটি রাইস সাইলো হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। নতুন ২৫ হাজার মেট্টিক টন ধারণ ক্ষমতার এই বহুতল খাদ্যগুদাম নির্মাণ কাজের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ শ’ ২ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে জাপানের ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এতে মোট ব্যয় বাংলাদেশী টাকায় ২ শ’ ৬৪ কোটি টাকা হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে তা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয় প্রায় ১ বছর পূর্বে। এতে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটির ঠিকাদার নির্বাচিত হয় জাপানি প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শিমুজি কর্পোরেশন। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বহুতল খাদ্যগুদাম নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। পুরোটায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বহুতল খাদ্যগুদাম নির্মাণ কাজে মাটি শাসন, কংক্রিটের দেয়াল ও ছাদে ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। মাটি শাসন, পাইলিং শেষে এখন পুরোদমে চলছে সুপার স্ট্যাকচার বা কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণের কাজ। আগামী ২০১৪ সালে অক্টোবরে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সান্তাহারের পর দেশের খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত উত্তরাঞ্চলের নওগাঁর মান্দায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক সাইলো এবং এ অঞ্চলের একাধিক স্থানে আরও অত্যাধুনিক বহুতল খাদ্যগুদাম নির্মাণে জাইকার অর্থায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.