![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানু্ষ। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালোবাসি।
ভেবেছিলাম কালকেই লিখব, কিন্তু এত ক্লান্তি লাগছিল যে আর লিখতে ইচ্ছা করে নাই। এখন ল্যাবের কাজ বাদ দিয়ে লিখতেছি।
প্রায় দেড় মাস আগে আমি আর জিহাদ ভাই আলাপ করি যে এবার পহেলা বৈশাখে একটা অনুষ্ঠান করব বাংলাদেশীদের নিয়ে। জায়গার জন্য আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমেটরীর কমন রুম ঠিক করি। কিন্তু পারমিশন নিতে গিয়ে আমরা সমস্যায় পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয় অফিস থেকে বলা হয় ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের জন্য রুম দেওয়া হয় না। আমরা তখন ঠিক করলাম এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক রূপ দিব। এইভাবে আমরা পারমিশন নিলাম। আমরা বাংলাদেশীদের ছাড়াও আমাদের ল্যাব মেম্বার, ক্লাশমেট, ডরমেটরীতে অবস্হানরত বিদেশী ছাত্র, অফিস স্টাফ, ডরমেটরী স্টাফ মিলিয়ে ৬০ জনকে আমন্ত্রণ করি। আমরা আমন্ত্রিতদের আমাদের বানানো কার্ড দেয়।
বাংলাদেশীদের জন্য আমন্ত্রণপত্র
বিদেশীদের জন্য আমন্ত্রণপত্র
অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকে আমি আর জেহাদ ভাই রান্না শুরু করি। আমাদের আয়জনের মেন্যু ছিল পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজি, আলুভর্তা, ডাল ভুনা, গরম ভাত, মুরগির মাংস ভুনা,সালাদ, ফল আর সফট ড্রিংকস।
রান্নার প্রস্তুতি
অনুষ্ঠানের দিন আমরা কমন রুমে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যের ছবি দেওয়ালে লাগায়। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সাড়ে এগারটায়। প্রথমে জেহাদ ভাই বাংলাদেশ সম্পর্কে আমন্ত্রিত অতিথিদের বলেন। এরপর এসো হে বৈশাখ গান বাজানো হয়। তারপর আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ইতিহাস এবং বাংলাদেশে কিভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয় সেই সম্পর্কে ধারণা দেয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বলছেন জেহাদ ভাই।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন সম্পর্কে বলছি আমি।
আমাদের প্রেজেন্টেশন শুনছে বিদেশীরা।
এরপর শুরু হয় খাওয়াদাওয়া
পরিবেশনকৃত খাবার
বাংলাদেশী খাবার উপভোগ করছে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ
আমার ডিপার্টমেন্টের স্টাফ বাংলাদেশী খাবার উপভোগ করছে।
উনার কাছে আমাদের অনুষ্ঠান এত ভাল লেগেছে যে উনি আমাদের অনুষ্ঠানের ছবি আমাদের ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে দিয়েছেন।
আমাদের অনুষ্ঠানের ছবি আমাদের ডিপার্টমেন্টের ফেইসবুক পেজে
ডরমেটরী স্টাফ
হাত দিয়ে খাচ্ছে আগত বিদেশীরা
পান্তা খাচ্ছে জেহাদ ভাই
আমি খাচ্ছি (ডান দিকে)
দুপুর তিনটাই আমাদের অনুষ্ঠান শেষ হয়। তার আগে ফটোশেসন হয়।
ডরমেটরী স্টাফদের সাথে আমি ও জেহাদ ভাই
অফিস স্টাফের সাথে আমি
আমার ল্যাবের সদস্যদের সাথে আমি
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের একাংশ
সবশেষে অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও
ভাল লাগলে লাইক দিয়েন।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
এখানে আসার পর সব সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে সবার মাঝে তুলে ধরতে।
ইনশা আল্লাহ সামনেও এই ভাবে আমাদের সংস্কৃতি বিদেশীদের কাছে তুলে ধরব।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭
ভিটামিন সি বলেছেন: ওই মিয়া পান্তাভাত কি চামিচ দিয়া খায়? খাওয়াডাও শিখাইলাইন না হেগোরে। আপচুচ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০১
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চামচ না কাঠি দিয়ে খাচ্ছে।
ইচ্ছা করে চামচের ব্যবস্হা করি নাই, যাতে হাত দিয়ে খাই । কিন্তু বেশীরভাগই কাঠি দিয়ে ম্যানেজ করেছে
।
আমার প্লান কাজ করে নাই। এর পরেরবার কাঠিও রাখবো না
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পরে কয়েকজন না পেড়ে হাত দিয়ে খেয়েছে
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: ব্যাটা তুইইই পারলি! জাপানিগো বাসি ভাত, তাও আবার পান্তা খাওয়াইলি। আর জাপানিরাও পারল, কাঠি দিয়াই খাইল! হায়রে বাঙ্গালী, আর হায়রে জাপানী। কেউ কারও জায়গা ছাড়বে না
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪২
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বুঝতে হবে আমরা বাঙ্গালী, আমরা সব পারি
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
অনেক ভাল লাগল ভাই।
আমার প্রবাসের কথা মনে পরে গেল।
শুভকামনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
েবনিটগ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষন
০১ লা মে, ২০১৩ সকাল ৮:২৮
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন:
আপনার ছবি ব্লগ অসাধারন লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে বিদেশীদের আপনারা পরিচয় করে দিছেন। বাংলার সংস্কৃতির যদি প্রাণ থাকত, তবে সে আপনাদের এ কাজে অনেক খুশি হত।
চীন দেশের মানুষেরা, জাপানিরা, ব্রিটিশরা, ভারতীয়রা, সবাই নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে। আপনারা ও ধরেছেন পজিটিভ ভাবে। আপনাদের অভিনন্দন।
ভাল থাকবেন।