নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ, যে তার দেশকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে এরপর পৃথিবীর সকল সৃস্টিকে।

মোঃ মাহমুদুর রহমান

আমি একজন সাধারণ মানু্ষ। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালোবাসি।

মোঃ মাহমুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা (জাপান যাওয়া)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫

দেখতে দেখতে এক বছরের বেশী হয়ে গেল আমি দেশের বাইরে আছি। অনেক কিছু লিখতে চেয়েছি কিন্তু আমার আলসেমির জন্য আর লিখতে পারিনি। হঠাৎ কি মনে হল ভাবলাম আমার প্রবাস জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেই।



২০১২ সালের ১৭ই সেপ্টেমবার আমার বিয়ের ২৪ দিন পর হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকালে এসে পৌছায় ব্যাংকক হয়ে জাপানে যাওয়ার জন্য। বিমানবন্দরে দেখা হয় আরেক বাংলাদেশী জাকির ভাইয়ের সাথে। আমরা দুজন একই স্কলারশীপে কিন্তু ভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করতে জাপানে যাচ্ছি। উনি আমার সাথে ব্যাংকক পর্যন্ত যাবেন। আমরা দুজন খুব তারাতারি চলে এসেছিলাম বিমানবন্দরে। ভেবেছিলাম ইমিগ্রেশনে খুব দেরী হবে, কিন্তু দেখি ৫ মিনিটে আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ। তখনও আমাদের বিমানের বোর্ডিং গেট দেয় নাই। আমরা থাই এয়ারলাইন্সে যাব। আমি ব্যাংকক হয়ে কানসাই আর জাকির ভাই ব্যাংকক হয়ে টোকিও। দুজনের প্রথম জাপান যাওয়া। আমি জাপানিজ ভাষা কিছুই জানিনা। জাকির ভাই কিছুটা জানে।





জাকির ভাই



আমরা দুজন বিমানবন্দর ঘুরে আর ছবি তুলে সময় কাটালাম। একসময় আমাদের বিমানের বোর্ডিং গেট খুলে দিল। আমরা বিমানে উঠে শেষবারের মত বাংলাদেশকে দেখে নিচ্ছিলাম।





শেষবারের মত বাংলাদেশকে দেখে নিচ্ছিলাম।



একসময় বিমান আকাশে উঠলো। ঢাকা থেকে ব্যাংকক ফ্লাইট খুবই অল্প সময়। সময়মত ব্যাংকক এয়ারপোর্টে বিমান ল্যান্ড করল। ফ্লাইটে দুপুরের খাবার দিয়েছিল সাদা ভাত, মুরগির মাংস, সালাদ, পুডিং এবং জুস।





ব্যাংকক এয়ারপোর্ট



ব্যাংককে আমার ট্রানজিট ছিল ৬ ঘন্টা আর জাকির ভাই এর ৪ ঘন্টা। এখানে ইমিগ্রেশনে কড়া চেকিং হয়েছে। জুতা, বেল্ট সব খুলা লাগছিল। চেকিং শেষে আমরা ট্রানজিট লাউন্জ্ঞে ঘুরাঘুরি করেছি। ব্যংককের ট্রানজিট লাউন্জ্ঞ অনেক বড়। এক মাথা থেকে আরেক মাথা যেতে ২০ মিনিট লাগে। এখানে আমরা হালাল খাবার না পেয়ে দিয়ে কফি খেয়েছি। এয়ারপোর্টে ফ্রী ইন্টারনেট ছিল, তাই দিয়ে আমরা বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ করেছি। রাত দশটায় জাকির ভাই টোকিও চালে যায়। ফ্লাইট আরও ২ ঘন্টা পর। এই ফাকে আমি ওয়েটিং চেয়ারে ১ ঘন্টা ঘুমাই নিয়েছি। রাত বারটার দিকে আমি প্লেনে উঠি। এই ফ্লাইটে হালাল খাবার না থাকার কারনে আমি কিছুই খাইনি। ৬ ঘন্টার ফ্লাইটে ঘুমানোর অনেক চেস্টা করেছি কিন্তু ঘুম আসিনি টেনশনে। সকাল ৭:১৫ তে আমাদের বিমান কানসাই এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। কানসাই এয়ারপোর্টটা সমুদ্রের মধ্যে। নামার সময়ই মনে হয় এই বুঝি সমুদ্রের মধ্যে নেমে পড়লাম।





কানসাই এয়ারপোর্টে বিমান অবতরণ



বিমান থেকে নেমে সাটল ট্রেনে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে আসলাম। এখানে ইমিগ্রেশন লাইনে দাড়ায়ে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, হঠাৎ একজন ইমিগ্রেশন অফিসার আমাকে লাইন থেকে বের করে পাশে একটা অফিসে নিয়ে গেল। আমার তখন অবস্হা খারাপ। এর আগে একজন আমার পাসপোর্ট চেক করে গেছে। এরপর শুরু হল কথাবার্তা। তার ইংলিশ মাশা আল্লাহ আর আমার জাপানিজ তো বকলম। সে কি বলে আমি বুঝিনা, আর আমি কি বলি সে বুঝে না। পরে আমি আমার সব কাগজপত্র তার কাছে দিলাম। সে কাগজপত্র নিয়ে ভিতরে গেল। আমি তো এই দিকে টেনশনে শেষ, পড়তে এসে শেষে জেলে যাওয়া লাগে নাকি। অবশেষে আধাঘন্টা পর সেই অফিসার ফিরে এল। আমার সব কাগজপত্র ফেরত দিল, সাথে ১টা রেসিডেন্ট কার্ড। আর বলল ১৪ দিনের মধ্যে এই কার্ড নিয়ে আমি যে শহরে থাকব সেই শহরের সিটি অফিসে যেতে। আমি হাপ ছেড়ে বাচলাম। এরপর ইমিগ্রেশন সীল নিয়ে বের হয়ে দেখি এয়ারপোর্ট স্টাফরা আমার ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে কারন আমি বের হতে অনেক দেরি করেছি। তারাতারি করে যেয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যাগ নিলাম। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে দেখি আমার ইউনিভার্সিটির স্টাফ আমার জন্য ওয়েট করছে। তারা আমকে রিসিভ করে আমাকে ইউনিভার্সিটির বাসে তুলে দিল। ক্লান্তিতে বাসের পুরা সময় ঘুমাই ছিলাম। সকাল সাড়ে দশটাই ইউনিভার্সিটির ডরমেটরীতে আমাদের বাস এসে পৌছায়। (চলবে)

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর , ঝরঝরে লিখা। ভালোলাগলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমার লেখার হাত ভাল না। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন ভাই।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

েবনিটগ বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন, বাংলাদেশীদের airport এর বিড়ম্বনার কথা পড়লে বিদেশে যেতে ম্ন চায় না। X(

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জ্বী ভাই ঠিক বলেছেন। কিন্তু তার জন্য আমরাও কম দায়ী না। জাপানে এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার সময় ওরা কিন্তু আমার লাগেজ চেক করেনি।

আর পোস্টটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের সমর্থন থাকলে সামনে আরও লিখব ইনশা আল্লাহ।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

নৌশীন বলেছেন: :শুভকামনা

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১২

অন্ধকারের রাজপুত্র বলেছেন: সুন্দর পোস্ট..
পরের পর্বগুলি পড়ার জন্য অনুসরণে নিলাম :)
বেশ ভালো লেগেছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আশাকরি তারাতারি আর একটি পর্ব লিখব।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
পরের পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।
লিখবেন কিন্তু!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ইনশা আল্লাহ লিখব খুব তারাতারি।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২০

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: বিদেশি ইমিগ্রেশন বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলেই কত কাহিনী করে এইটা আর নতুন কি।আমরা নিজেরাইতো বাটপার ওদের দোষ দিব কি?
লেখক ভাই পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ইনশা আল্লাহ লিখব খুব তারাতারি।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

অকপট পোলা বলেছেন: আপনার বুঝায় বিশাল গলদ হয়েছে।

আপনাকে আলাদা ভাবে নেয়া এক হিসেবে ভিআইপি ট্রিটমেন্ট, হয়রানী না। সব মনবুশো স্কলার বা স্টুডেন্টদের আলাদাভাবে পাসপোর্ট প্রসেস করা হয়। আপনার সাথের বাকী স্টুডেন্টরা কি একই ট্রিটমেন্ট পেয়েছে না? ওটাই স্বাভাবিক।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই সেটাতো রেসিডেন্ট কার্ড নেওয়ার পর বুঝেছি। আর আমার সাথে বাকি স্টুডেন্টদের কেউ মনবুশো স্কলার ছিল না। আর আমাকে একা নিয়ে গিয়েছিল। আশপাশের সবাই দেখতে ছিল, আমাকে লাইন থেকে বের করে আলাদা নিয়ে যাচ্ছে। আর আমার তো জানা ছিল না আমি ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পেতে যাচ্ছি :P । আর আমি বলিনি আমাকে হয়রানি করা হয়েছে। বলেছে আমি না বুঝে খুব টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

সরকার আলী বলেছেন: আনো সুমিমাছেন,

ওয়াতাশি তো জাকির সান ওয়া অনাজি দাইগাকু দে হাকাছে গাকুসেই দেস।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই আমি এখনও জাপানিজ ভাষা জানিনা। তবে আপনি মনে হয় জাকির ভাইয়ের সাথে একই ইউনিতে আছেন।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২

আদম_ বলেছেন: জাপানী ভাষা না জানলেও কি জাপান পড়তে যাওয়া যায়?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভাই একবছরের বেশী হয়ে গেল আমি জাপানে আছি, এখনও জাপানিজ ভাষা জানিনা। আমি তো পড়তে পারছি। আর এখানে ইংরাজী মিডিয়ামেও পড়াশুনা করা যায়। আমি ইংরাজী মিডিয়ামে পড়তেছি। তবে হ্যা দৈনন্দিন কাজের জন্য জাপানিজ জানা দরকার। আর আপনি যদি আমার মত বোবা হয়ে চলতে পারেন তাহলে অবশ্য দরকার নাই :P

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: ওকে, পরের পার্টের অপেক্ষায় থাকলাম... তারপর এক লগে কমেন্ট দিমু ;)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: :|

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

জনাব মাহাবুব বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় :D :D :D :D :D

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

সায়েম মুন বলেছেন: জাপান কোন দিন যাওয়া হবে কিনা জানি না। আপনার কাছে জাপান যাওয়ার কাহিনী শুনে ভাল লাগলো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

অকপট পোলা বলেছেন: শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেও দেখেছেন হয়তো যে আপনার ইন্টারভিউ হয়েছে এম্বাসীর কালচারাল সেকশনে, রেগুলারদের সাথে নয়। বাংগালী হিসেবে যাতে সুনাম বজায় রাখতে পারি এটাই সবাই কামনা করি। এরা যখন কঠিন হয়, তা আমাদেরই দোষে। তাছাড়া কমন প্লেসে এদের কোথাও রেসিজম পাবেন না।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই

১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাল লেগেছে :)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মদন বলেছেন: +

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.