![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল কুফুরী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করিয়া মক্তব-মাদ্রাসায় রূপান্তরিত করিতে হইবে এবং আগামী প্রজন্মকে ঈমানী শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়া মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর স্বপ্ন পূরণে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে।
২. দেশের যে সকল হাসপাতালে অপেন হার্ট সার্জারী হয় সেগুলোর ডাক্তারদেরকে পরিবর্তন করিয়া শিবির কর্মীদেরকে স্থলাভিষিক্ত করিতে হইবে। গবেষণায় দেখা গেছে, রগ কাটার মেশিন দিয়ে শিবির কর্মীরা যথাযথভাবে অপেন হার্ট সার্জারীসহ সকল প্রকার সার্জারীতে পারঙ্গম। এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, কাফের ডাক্তারদেরকে চাকুরীচ্যুত করিয়া সুন্নতি ডাক্তার নিয়োগ দিয়া সরকার তার ঈমাণের পরিচয় দিবে।
৩. যেসকল পাইলটরা মসজিদ মাদ্রাসার উপর দিয়ে এরোপ্লেন চালিয়ে যায় তাদেরকে চাকুরীচ্যুত করিয়া মাদ্রাসাশিক্ষায় শিক্ষিত পাইলটদেরকে শরিয়া মোতাবেক প্লেন চালানোর জন্য নিয়োগ দিতে হইবে এবং মহিলা এয়ার হোষ্টেসের পরিবর্তে গেলমান নিয়োগ করিতে হইবে।
৪.১৯৭১ সালে কয়েকটি মাত্র খুন আর ধর্ষণের জন্য সাঈদী সাহেবের মতো মর্দে মুজাহিদকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দিয়া দেশের সকল তাওহিদানী এবং তাওহিদী জনতার অন্তরাত্মা ফুক্কা করিয়া দিয়াছে। আমরা মনে করি, সাঈদী সাহেবের এমন লঘু অপরাধের জন্য বড় জোর কোনো অষ্টাদশীর হাত দিয়ে ১৯টি পুষ্পাঘাতই যথেষ্ট ছিলো। অতএব অবিলম্বে ফাঁসির রায় প্রত্যাহারপূর্বক সকল দেশপ্রেমকি যুদ্ধাপরাধীদের বেকসুর খালাস দেওয়া হোক।
৫. বাংলা ব্লগ হইতেছে আবুলাহাবের আড্ডাখানা। এইসব ব্লগ বন্ধ করার পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে ইন্টারেনেট সার্ভিস বন্ধ করিয়া ইহুদী নাসারাদের হাত হইতে মুসলমান মরদ ও আওরতদের রক্ষা করিতে হইবে।
৬.গণজাগরণ মঞ্চে মিছিলকারী মেয়ে লোকদেরকে অগ্নিকন্যা বলা যাইবে না। তাহাদেরকে দোজখের কন্যা বলিয়া প্রজ্ঞাপন জারী করা হোক।
৭. যেসকল টেলিভিশনে আওরতকুল সংবাদ পরিবেশন করে সেই সকল টেলিভিশনের লাইসেন্স বাতিল করিতে হইবে এবং মহিলাগণমাধ্যমকর্মী, মহিলা ডাক্তার, ম্যাজিষ্টে্টসহ ঘরের চার দেয়ালের বাহিরে যেসকল নারীরা কর্মক্ষেত্রে যাইবে তাহাদিগকে মুরতাদনী ঘোষণা করিতে হইবে।
৮. সক্রেটিস, প্লেটো, রবীন্দ্রনাথ, গ্যালিলিও, অ্যারিষ্টটল,নীটসে, রাসেল এইসব নাস্তিকদের রচনা বাদ দিয়া এদেশের জ্ঞানী হুজুরদের বয়ান পাঠক্রমে অর্ন্তভুক্ত করিতে হইবে। ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদের রচনা বহাল রাখা যাইতে পারে এবং তাদেও রচনা হইতে যক্ষèা, নিউমোনিয়াসহ যাবতীয় রোগের হালাল ঔষধ বাজারজাত করিতে হইবে।
৯.আন্জুমানে বাইয়িতান নামের সংগঠন আমাদের লংমার্চকে অনৈসলামিক আখ্যায়িত করে নাস্তিক ট্যাগ দিয়াছে। আমরা নাকি মাও সেতুংকে অনুসরণ করে লংমার্চের ডাক দিয়াছে। এমন মন্তব্যকারীদের মুন্ডু দ্বিখন্ডিত করিবার জন্য গভর্ণমেন্টের তলোয়ারে ধার দেওয়া হোক।
১০. কসাই মোল্লা বা কাদের মোল্লাকে বঙ্গবীর উপাধী দিতে হইবে।
মানুষ হত্যার জন্য রাষ্ট্রের কোষাগার হইতে কোনপ্রকার গোলাবারুদ ব্যবহার না করিয়া রাম-দা দিয়া মানুষ জবাই করিয়া রাষ্ট্রের কৃচ্ছতা সাধন করিয়াছেন। এমন মিতব্যয়ীকে একুশের পদক বা রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান খুবই জরুরী বলিয়া আমরা মনে করিতেছি।
১১.বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল করিবার নামে আমাদেও ক সুন্দরী আওরতদেরকে (বেহেশতের নেয়ামত) পর্দার বাহিরে নিয়া আসিতেছে। এমতাবস্থায় আইন করিয়া দেশকে পুনরায় এনালগ করিতে হইবে।
১২. চুল এবং দাড়িতে লাগানোর জন্য কফি কালার ও কমলা কালারের হেয়ার ডাই বা কলপের দাম কমাইতে হইবে এবং মন্ত্রী এমপিদেরকে চুল দাড়ি লম্বা রাখিতে বাধ্য করিতে হইবে। মনে রাখিতে হইবে নাফরমান এমপিরা পরকালে ওয়ার্ডকমিশনারও হইতে পারিবে না। (চলিবে)
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২১
রুশন বলেছেন: কী কারণে রিপোর্ট করিতে পারে জ্ঞাত হৈলে ভালো হৈতো জনাব।
আমি কি ভুল কিছু লিখিয়াছি!!!
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০১
পাগলাগরু বলেছেন: হাহা ভালো হইছে
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৩
রুশন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৮
বিষন্ন পথিক বলেছেন: চ্রম হৈসে চ্রম।
সাঈদীর চান্দে যাওয়া আসার জন্য শরিয়া মোতাবেক নাসার মত মহাকাশ ষ্টেশন খুলিতে হৈবেক
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৫
রুশন বলেছেন: হক কথা কহিয়াছেন।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৯
মুহসিন বলেছেন: অপরকে গালমন্দ বিদ্রূপ ও হিংসাত্মক কথা বলে অপমান করা অধিকাংশ বাঙালীর চিরন্তন স্বভাব মনে হইতেছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪১
রুশন বলেছেন: বাঙালীর আর কী কী স্বভাব আছে লিপিবদ্ধ করিয়া গেলে ভালো হৈতো জনাব। ১১৯ দফা দাবীর মধ্যে কোনোই কি মিল নাই!
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: চরম পোষ্ট !
++++++++++
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৬
রুশন বলেছেন: চ্রম ধন্যবাদ জনাব।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৪
মারুফ ফািহম বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষক কে?
-শেখ মুজিব।
কাদের জন্য দেশ স্বাধীন হইছে?
-আওয়ামিলীগ এর জন্য।
কারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে?
-আওয়ামিলীগ।
কোন দলে সবাই মুক্তিযোদ্ধা?
-আওয়ামিলীগ।
মেজর জিয়া কি ছিলো?
-পাকিস্তানি চর।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী কে?
-একজন নব্য রাজাকারের নাম।
তাইলে মুক্তিযোদ্ধা কে?
মখা আলমগীর।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে কারা শহীদ হয়েছিলো?
-আওয়ামিলীগ।
২ লাখ মা বোন নির্যাতিত
হয়েছে এরা কারা?
-আওয়ামিলীগের।
এই দেশ কাদের বাপ দাদার সম্পত্তি?
-আওয়ামিলীগের।
মন থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেনি কারা?
-বি,এন,পি।
রাজাকার কারা?
জামাত শিবির আর বিএনপি
শিবির কারা?
বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান সন্ত্রাসী সংগঠন।
ছাত্রলীগ কি?
দুধের ধোয়া তুলসিপাতা।
এই দেশে মিছিল,স্বাধীনতাদিবস,বিজয়
দিবস,ভাষা দিবস পালন করবে কারা?
-আওয়ামিলীগ
শিবিরের স্বাধীনতা দিবসের
মিছিলে গুলি করছে পুলিশ,তাহলে তো কাজ
টি ঠিক করেছে,তাই না?
-১০০০% ঠিক।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
রুশন বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে একজনমাত্র শিবির জন্ম নেয়া মানেই পুরো রাষ্ট্রের পরাজয়।
রাজাকার কারা?
জামাত শিবির আর বিএনপি। ঠিকই তো।
এই দেশে মিছিল,স্বাধীনতাদিবস,বিজয়
দিবস,ভাষা দিবস পালন করবে কারা?
-আওয়ামিলীগ।
ঠিক না।
আওয়ামিলীগ ক্ষমতা চায়। ক্ষমতা পালন করে। বাংলার সাধারণ মানুষ
মা কে পালন করে। আর আমার আপনার মায়ের নাম একজন ভাগীরথী
"অষ্টাদশী ভাগীরথী ছিল বরিশাল জেলার পিরোজপুর থানার বাঘমারা কদমতলীর এক বিধবা পল্লীবালা। বিয়ের এক বছর পর একটি পুত্র সন্তান কোলে নিয়েই তাকে বরণ করে নিতে হয় সুকঠিন বৈধব্য। স্বামীর বিয়োগ ব্যথা তার তখনও কাটেনি। এরই মধ্যে দেশে নেমে এল ইয়াহিয়ার ঝটিকা বাহিনী। গত মে মাসের এক বিকালে ওরা চড়াও হলো ভাগীরথীদের গ্রামে। হত্যা করলো অনেককে যাকে যেখানে যেভাবে পেলো।
এ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ভাগীরথীকে
ওরা মারতে পারলো না। ওর দেহলাবণ্য দস্যুদের মনে যে লালসা জাগিয়েছিল তাতেই হার মানল তাদের রক্ত পিপাসা। ওকে ট্রাকে তুলে নিয়ে এল পিরোজপুরে। তারপর ক্যাম্পে তার উপর চালানো হলো হিংস্র পাশবিক অত্যাচার।
সতী নারী ভাগীরথী। এ পরিস্থিতিতে মৃত্যুকে তিনি একমাত্র পরিত্রাণের উপায় বলে ভাবতে লাগলেন। ভাবতে ভাবতেই এক সময় এল নতুন চিন্তা- হ্যাঁ মৃত্যুই যদি বরণ করতে হয় ওদেরই বা রেহাই দেব কেন? ভাগীরথী কৌশলের আশ্রয় নিল এবার।
এখন আর অবাধ্য মেয়ে নয় দস্তরমত খানদের খুশী করতে শুরু করল, ওদের আস্থা অর্জনের আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে লাগলো। বেশীদিন লাগলো না, অল্প কদিনেই নারী লোলুপ ইয়াহিয়া বাহিনী ওর প্রতি দারুণ আকর্ষণ অনুভব করল। আর এই সুযোগে ভাগীরথী ওদের কাছে থেকে জেনে নিতে শুরু করল পাক বাহিনীর সব গোপন তথ্য। এক পর্যায়ে বিশ্বাস ভাজন ভাগীরথীকে ওরা নিজের ঘরেও যেতে দিল। আর কোন বাঁধা নেই। ভাগীরথী এখন নিয়মিত সামরিক ক্যাম্পে যায় আবার ফিরে আসে নিজ গ্রামে।
এরই মধ্যে চতুরা ভাগীরথী তাঁর মূল লক্ষ্য অর্জনের পথেও এগিয়ে গেল অনেকখানি। গোপনে মুক্তি বাহিনীর সাথে গড়ে তুলল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এরপরই এল আসল সুযোগ। জুন মাসের একদিন ভাগীরথী খান সেনাদের নিমন্ত্রণ করলো তাঁর নিজ গ্রামে।
এদিকে মুক্তি বাহিনীকেও তৈরী রাখা হলো যথারীতি। ৪৫ জন খান সেনা হাসতে হাসতে বাগমার কদমতলা (ভাগীরথীর) নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিল কিন্তু তার মধ্যে ৪/৫ জন ক্যাম্পে ফিরতে পেরেছে বুলেটের ক্ষত নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে। বাকিরা ভাগীরথীর গ্রামেই শিয়াল কুকুরের খোরাক হয়েছে।
এরপর আর ভাগীরথী ওদের ক্যাম্পে যায়নি। ওরাও বুঝেছে, এটা তারই কীর্তি। পাক আর্মিরা তাই হুকুম দিল জীবিত অথবা মৃত ভাগীরথীকে যে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে নগত এক হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। কিন্ত ভাগীরথী তখনও জানতো না ওর জন্য আরও দুঃসহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। একদিন রাজাকারদের হাতে ধরা পড়লো ভাগীরথী। তাকে নিয়ে এল পিরোজপুর সামরিক ক্যাম্পে।
খান সেনারা এবার ভাগীরথীর উপর তাদের হিংস্রতার পরীক্ষার আয়োজন করলো। এক হাটবারে তাকে শহরের রাস্তায় এনে দাঁড় করানো হলো জনবহুল চৌমাথায়। সেখানে প্রকাশ্যে তার অঙ্গাবরণ খুলে ফেলল কয়েকজন খান সেনা। তারপর দু’গাছি দড়ি ওর দু’পায়ে বেঁধে একটি জীপে বেঁধে জ্যান্ত শহরের রাস্তায় টেনে বেড়াল ওরা মহাউৎসবে।
ঘন্টাখানেক রাজপথ পরিক্রমার পর আবার যখন ফিরে এল সেই চৌমাথায় তখনও ওর দেহে প্রাণের স্পন্দন রয়েছে। এবার তারা দুটি পা দুটি জীপের সাথে বেঁধে নিল এবং জীপ দুটিকে চালিয়ে দিল বিপরীত দিকে। ভাগীরথী দুভাগ হয়ে গেল।
সেই দুভাগে দু'জীপে আবার শহর পরিক্রমা শেষ করে জল্লাদ খানরা আবার ফিরে এল সেই চৌমাথায় এবং এখানেই ফেলে রেখে গেল ওর বিকৃত মাংসগুলো। একদিন দু’দিন করে সে মাংসগুলো ঐ রাস্তার মাটির সাথেই একাকার হয়ে গেল এক সময়। বাংলামায়ের ভাগীরথী এমনি ভাবে আবার মিশে গেল বাংলার ধুলিকণার সাথে…।"
৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬
রামন বলেছেন:
ভাগীরথীর উপর হায়েনাদের বর্বরতার কাহিনী পড়ে বেদনায় মনটা ভরে উঠলো।
পোস্টে প্লাস।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
ধূসর পানিপোকা বলেছেন: অসাধারণ লেখা লিখছেন ভাই ।যে বাংলায় স্বাধীনতা নিয়ে বড় হয়েছি,তা আর বোধহয় দেখতে পাবো না । সহিংস পাকিস্তানের ছায়া দেখতে পাচ্ছি ।
৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
চলতি নিয়ম বলেছেন: বাকি দাবী গুলান দ্রুত পেশ করুন, টাইম খুবই কম।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৭
সাধারণ মুসলমান বলেছেন: অন্ধ একপেশে।
১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
মোরশেদুল আজাদ পলাশ বলেছেন: হেফাজতের ভন্ডামি বেশি দিন টিকবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৭
সিউল রায়হান বলেছেন: চরম।
পোস্ট রিপোর্ট করতে পারে ছাগু গোষ্ঠী, ব্যাকআপ রাইখেন