নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি(সম্মান) কলেজ, হবিগঞ্জ(নিয়োগ আছে দুই বছর ধরে। তদবিরের অভাবে কাজ নেই, ভাতাও নেই। গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে দেখা করার জন্য অধ্যক্ষ পরামর্শ দিলেও এ ব্যাপারে আমি অদক্ষ) )। সম্মান শ্রেণির শিক্ষক আমরা একবেলা খাই- শিরোনামে ইত্তেফাক-এ একটি লেখা প্রকাশ করায় প্রভাষকের(সৈয়দ সঈদ উদ্দীন কলেজ, মাধবপুর, হবিগঞ্জ) দায়িত্ব হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত।
দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট গ্রামবাসী অন্ধকার ক্রয় করার জন্য নিজেদের এলাকায় পল্লী বিদু্যত সমিতির দ্বারস্থ হযেও অন্ধকারের সরবরাহ পাচ্ছেন না। বাসা-বাড়ি-প্রতিস্ঠানকে অন্ধকার করার জন্য প্রয়োজনমত লাইন টেনেছেন, অতিরিক্ত দাম দিয়ে মিস্ত্রি এনে সনদ নিয়েছেন। তারপর অন্ধসংযোগ পেতে সমিতির অফিসে ঘুরাঘুরি করছেন। পরবর্তীতে অন্ধকারের দাম তো দিবেনই তার আগে অন্ধ হয়ে সমিতির কর্তাদের সময় নষ্ট করার দামও দিচ্ছেন। তবুও মিলছেনা অন্ধকার সংযোগ। তাই, চুনারুঘাট গ্রামের সেবাপরায়ণ ও জনদরদী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অন্ধকার সাপ্লাই কর্পোরেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রস্তাবনায় বলা হয়- প্রয়োজনমত অন্ধকার সরবরাহ করতে পল্লী বিদু্যত সমিতি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। নির্দিষ্টসংখ্যক জনবল নিয়োগসহ প্রতিদিন কয়েকশোবার লোডশেডিং করেও ঠিকমত অন্ধকার করে রাখতে পারছেনা গ্রামটিকে। প্রতিমাসে বিল দিয়েও লোডশেডিং নিশ্চিত না হওয়ায়, অন্ধকার সাপ্লাই কর্পোরেশন স্থাপন জরুরী বিধায়, গ্রামের আধুনিকমনস্ক ও চিন্তাশীল ব্যক্তিদের এই প্রয়াস।
দেশব্যাপী চলমান কালোবাজারী, হত্যা, ধর্ষন, গুমসহ সকল অপতৎপরতাকে গতিশীল করতে অন্ধকার সাপ্লাই কর্পোরেশন গরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে গ্রামবাসী গর্ববোধ করছেন। ইতোমধ্যে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানিত চোর-ডাকাত ঘুষখোর-দূর্নীতিবাজসহ ধান্ধাবাজেরা উক্ত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন- নিরবচ্ছিন্ন অন্ধকার না থাকায় ঠিকমত চুরি-ডাকাতি করা যাচ্ছে না। ঘরে-বাইরে বিজলীবাতি, প্রত্ঠিানে সিসি-ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে অন্ধকার সাপ্লাই কর্পোরেশনের যাত্রাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সকলে। আশা করা যায় এই কর্পোরেশন ভীষন-২১২০ বাস্তবায়নের উজ্জল নমূনা হয়ে থাকবে।
©somewhere in net ltd.