ওজনের কারসাজি

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

গতকাল অফিস হতে বের হয়ে মেয়ের পছন্দ মত ছানা কিনতে ভাল একটি মিস্টির দোকানে যাই । ৫৫০ টাকা দরে ১ কেজি ছানার অর্ডার দেই । দোকানী ছানা মাপার জন্য প্যাকেটটা ভূলবশত হাতে না নিয়ে ওজন মাপার মেশিনে রাখে এবং আমি খেয়াল করি প্যাকেটের ওজন এসেছে ১১৪ গ্রাম যা আমার অর্ডারকৃত ১ কেজি ছানার ১ দশমাংশর চে খানিকটা বেশী । দোকানীকে তা দেখিয়ে এর কারন এবং পন্য কেনাতে আমার যে ৬২.৭০ টাকা লস্ হচ্ছে তা বললাম । সংশয় প্রকাশ করলাম তার ওজন মাপার মেশিনটা নিয়েও । আমি তাকে বললাম একটি প্যাকেট তৈরী করতে তার কত খরচ হয়েছে, উত্তরে সে বলল ৮ থেকে ১০টাকার মত । দোকানী বলল মিস্টির দোকান ও এজাতীয় দোকানে এইভাবেই চলে আসছে এবং অনেক কথার পর স্বীকার করল লাভের অংশটা তারা এইভাবেই বাড়িয়ে থাকে ।প্রসঙ্গত আরো অনেক ব্যবসায়িক সমস্যার কথা বলল যা এখানে প্রাসঙ্গিক নয় ।। একজন ভোক্তা হিসাবে নায্য দাম ও ওজনে পন্য পাওয়া আমার অধিকার । আমি প্রতিবাদ করলাম(পণ্যের মান যাচাই করার সুবিধা ছাড়াই ) এবং বললাম বাজারে আমরা মোড়কজাত যে সব পন্য কিনি তার দাম মোড়কজাত করার খরচ সহ খুচরা দাম নির্ধারন করা হয় । প্রয়োজনে আমি প্যাকেটের দাম আলাদ প্রদান করব নতুবা আমি ছানা কিনব না । দোকানী শেষ পর্যন্ত রাজী হল এবং ছানার দাম নির্ধারন হল কেজি ৫০০ টাকা প্যাকেটের দাম ধরে। সরল অংক (ছানা ১কেজি ৫৫০+ প্যাকেটের দাম ১০= ৫৬০ মাইনাস প্যাকেটের ওজন ১১৪ গ্রাম এর মূল্য ৬২.৭০= ৪৯৭ টাকা যা রাউন্ড ৫০০ টাকা দিয়ে ১ কেজি ছানা নিয়ে বাসায় ফিরলাম । দাড়িপাল্লায় কারসাজি, বাটখারায় কারসাজি, ডিজিলাল মেশিনে কারসাজি এতদিন এইসবে অভ্যস্থ ছিলাম এবার দেখলাম প্যাকেট দিয়ে ওজনে কারসাজি । মানহীন পন্য নিয়ে আর কথা নাইবা বাড়ালাম । ভেজাল খেতে খেতে এখন মনে হয় ভাল জিনিস আর শরীরে সহ্য হবেনা । তবুও চেষ্টা করে যাই নিজ থেকে, যদি আগামী প্রজন্ম কিছুটা ভাল খায়, ভাল পায় এই আশায় ।

সবাই সচেতন হোন, আমাদের সবার সচেতনতাই সমাজের এই মানুষগুলোর পরিবর্তন আনতে পারে ।

০ টি +০/-০