![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহরের জানালায় বসে, ধোঁয়ার মতো নিঃশ্বাস ছাড়ি—
পেছনের ব্যস্ত রাস্তায় হারিয়ে যায় আমাদের কাহিনি।
তুমি ছিলে যেমন এক বসন্ত-ভোর,
আমি ছিলাম ধুলোমাখা ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা বৃষ্টি-পিপাসু চড়ুই।
তোমার চোখে ছিল কুয়াশার মতো নরম ইশারা,
আর আমার মনে জমেছিল শত চাওয়ার শীতল পাহাড়।
বলে উঠিনি তখন,
শুধু মুঠোফোনে ভেসে যেত কিছু না লেখা বার্তা,
ভেতরে জ্বলত পরিপূর্ণ কিছু না পাওয়ার তীব্র আলোর ঝলক।
তুমি চলে গেলে এক বর্ষার রাতে,
শুধু একটা ইমোজি ফেলে—নীল জলরঙে আঁকা বিষাদ।
তখনই বুঝেছিলাম,
ভালোবাসা মানে শুধু একসাথে থাকা নয়—
ভালোবাসা মানে,
তোমার স্মৃতি নিয়ে শহরের শব্দে ঘুমিয়ে পড়াও একপ্রকার প্রেম।
এখনো মাঝেমধ্যে,
জোনাকির মতো তোমার নাম জ্বলে উঠে স্ক্রিনে,
তখন আমি নিঃশব্দে অপেক্ষা করি—
যেন একা গাছের ছায়ায় বসে থাকা,
যেখানে সূর্য আসে না, আসে শুধু বিকেলের হাওয়া।
তুমি বলে গিয়েছিলে—
"ভালো থেকো",
কিন্তু কীভাবে?
এই শহরের প্রতিটা ব্যস্ত রাস্তায় তুমি হেঁটে গেছো,
আর আমি সেই পদচিহ্নে পা ফেলি প্রতিদিন,
ভেবো না, কাকতালীয়—
আমি ইচ্ছা করেই হারিয়ে যেতে চাই।
এখনো রোদ পেলে তোমার মুখ মনে পড়ে।
বৃষ্টি হলে ছাতার নিচে আমরা দাঁড়িয়ে থাকি,
আমার পাশে তুমি নেই—তবু দাঁড়িয়ে থাকি।
স্মৃতি কি একটা স্পর্শ হতে পারে?
আমি তো প্রতিদিন সেই স্পর্শেই ভেঙে পড়ি।
তোমাকে ফিরে পাওয়ার কোনো পথ নেই,
তবু আমি হাঁটি।
এই শহর আমাকে ডাকে না,
তবু আমি ফিরি।
আমি জানি,
তুমি ফিরবে না,
তবু হৃদয়কে বোঝাই—
হয়তো কোনো এক শরতের বিকেলে,
হঠাৎ দেখা হবে,
তুমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসবে, আর আমি—
চোখ নামিয়ে ফেলব,
পুরনো প্রেমিকের মতো
যার সমস্ত চাওয়া জমা ছিল
একটিমাত্র ‘হয়তো’-তে।
©somewhere in net ltd.