নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাপানের জন্য শোক

লিবিয়ায স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক।

আফরিন জাহান

You must remember that, you fighting against destiny. You have to make your own future.

আফরিন জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৩

এমএইচ৩৭০-র রেশ কাটতে না কাটতে ফের ভেঙে পড়ল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমান। আমস্টারডাম থেকে কুয়ালা লামপুর যাওয়ার পথে বুধবার ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে ভেঙে পড়েছে এমএইচ১৭। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিছক দুর্ঘটনা নয়, রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বিমান ধ্বংস করেছে৷ অভিশপ্ত বিমানটিতে ১৫ জন ক্রু-সহ মোট ২৯৫ জন আরোহী ছিলেন। এঁদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক নজরে চোখ ফেরান যাক ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাওয়া ভয়াবহ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনার দিকে---



এমেলিয়া ইয়ারহার্ট(১৯৩৭)

১৯৩৭ সালের জুন মাসের ঘটনা। মার্কিন নারী পাইলট এমেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম নারী হিসেবে বিমানে উড়ে আটলান্টিক পাড়ি দেন। নারীবাদী হিসেবেও তিনি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বিমানে করে পৃথিবী প্রদক্ষিনের ঘোষণা দেন। আর ওই মিশনেই তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের কাছেই হাওল্যান্ড দ্বীপের কাছাকাছি স্থান থেকেই অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর তার খোঁজে অভিযান শুরু হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। তার বিমানের কিছু অংশ ওই দ্বীপের কাছের সাগর থেকে উদ্বার করা গেলেও পাওয়া যায়নি তাকে, জানা যায়নি দুর্ঘটনার কারন।



ফ্লাইট ১৯ ইউএস মিলিটারি(১৯৪৫)

১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা এটি। লাওডারেবল উপকূলে নিয়ম মাফিক মহড়া দিচ্ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর ৫টি বিমান। দিনটি ছিল রৌদ্রময় এবং আবহাওয়াও ছিল ভালো। হঠাৎ মহড়া দলের অধিনায়ক দেখতে পেলেন তার বিমানের কম্পাস কাজ করছে না। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে তাকে বলা হল সূর্যকে তার বন্দরের দিকের ডানায় রেখে উত্তরের দিকে উড়ে যেতে। কিন্তু তিনি তা করলেন না। ফলশ্রুতিতে ওই অধিনায়ক এবং মহড়ারত ৫টি বিমান হারিয়ে গেল কুখ্যাত বারমুদা ট্রায়াঙ্গেলে। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরও আজ পর্যন্ত ওই ৫ বিমান এবং তার ভেতরে থাকা ২৭ জন বৈমানিককে আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ব্রিটিশ সাউথ এয়ারওয়েজ এর “স্টার এরিএল”(১৯৪৯)

১৯৪৯ সালে বারমুডা থেকে জ্যামাইকা যাওয়ার পথে ব্রিটিশ সাউথ এয়ারওয়েজ এর “স্টার এরিএল” বিলিন হয়ে যায়। বলা হয় যে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে প্লেনটির এ দশা হয়।







ফ্লাইট ৭ প্যানএম(১৯৫৭)

১৯৫৭ সালের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমান ছিল ফ্লাইট ৭ প্যানএম। যা বর্তমান সময়ে বোয়িং ৩৭৭ এর আদলে নির্মিত ছিল। ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর বিমানটি হনুলুলু যাত্রকালে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয় এবং বিমানটির ৪৪ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এই বিমানটির দুর্ঘটনার প্রকৃত কারন এখনো জানা যায়নি। তবে, নিহত যাত্রীদের শরীর থেকে কার্বন মনোক্সাইডের গন্ধ পাওয়ায় তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত ধরে নিয়েছেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।



মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনা(১৯৫৮)

মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল ১৯৫৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এ দিনে ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৬০৯ বরফে ঢাকা জার্মানির মিউনিখ-রিয়েম এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে তৃতীয় বারের মত উড্ডয়নের চেষ্টা করার সময় ভূপাতিত হয়। বিমানের যাত্রী ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবল দল, যাদের তৎকালীণ সময়ে বাজবি বেইবস নামে ডাকা হতো এবং প্রচুর সমর্থক ও সাংবাদিক। বিমানের ৪৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৩ জন যাত্রী এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। এই ফ্লাইটটি পরিচালনা করে ব্রিটিশ ইউরোপীয়ান এয়ারওয়েজে একটি "এলিজাবেথীয়" শ্রেণীর এয়ারস্পীড অ্যাম্বাসেডর চার্টার বিমান জি-এএলজেডইউ



টাইগার লাইন ফ্লাইট-৭৩৯: ১৯৬২

১৯৬২ সালের ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য বহনকারী একটি বিমান প্রশান্ত মহাসাগরে হারিয়ে যায়। ৯৬ জন সেনা সদস্য এবং ১১ জন ক্রু নিয়ে বিমানটি ক্যালিফোর্নিয়ার বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে ভিয়েতনাম যাচ্ছিল। টাইগার লাইনের খোঁজে এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় অভিযান চালান হয়। ৪৮টি বিমান এবং ৮টি জাহাজ ২ লাখ বর্গমাইল এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বিমানটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ পর্যন্ত বিমানটির নিখোঁজ হওয়া রহস্যই রয়ে গেছে। এ ঘটনার পর গুয়াম থেকে ৫০০ মাইল পশ্চিমে লাইবেরিয়ার একটি ট্যাংকার জাহাজের এক ক্রু তখন জানিয়েছিলেন, তারা সেদিন আকাশে একটি উজ্জ্বল আলো দেখতে পেয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিমানটি হয়তো ধ্বংস হয়ে সমুদ্রে ছড়িয়ে পরেছে।

তার্কিশ এয়ারলাইন ফ্লাইট৯৮১(১৯৭৪)

মার্চ ১৯৭৪ প্যারিসের অদুরে এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৩৪৬ জন যাত্রি মারা যায়। পরে তদন্তে জানা যায় বিমানটির রিয়ার কার্গো হাচ ভেঙ্গে যায় এবং বিমানটির পাইলটের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না ।



টেনেরিফ এয়ারর্পোট ডিজাস্টার-১৯৭৭

সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৭ সালে আমেরিকা । লস এঞ্জেলস এর নিকটবর্তী গ্রান কানারিয়া তে যখন klm এবং panam এর দুইটা বিমান একটি বোমা বিস্ফোরণের ধোঁয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে যাচ্ছিল ।

মার্চ ২৭ ১৯৭৭ তারিখে এই ঘতনা ঘটে । ঘন কুয়াশা , রাডার এর অপরজাপ্ত ব্যাবহার এবং যোগাযোগের ঘাটতি এ ঘতনার কারন বলে পরে জানা যায়। ২ টি বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ফলে মারা যায় প্রায় ৫৮৩ জন। ইতিহাসে এটাই সব থেকে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ।



এয়ার ইন্ডিয়া-৮৫৫: ১৯৭৮

ভারতের বিমান বহরে বোয়িং ৭৪৭-২৩৭বি আসার কয়েকদিনের মধ্যে এটি দুর্ঘটনায় পরে। ১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি মুম্বাই থেকে রওনা হবার কিছুক্ষণ পরই বিমানটি আরব সাগরের আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরতে থাকে। কিন্তু পাইলট আর বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। বিমানটি বান্দ্রা উপকূলে বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩১ জন আরোহী নিহত হয়। এটা ভারতের বিমানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। তদন্তে দেখা যায়, পাইলটের অদক্ষতার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিমানটি। পরে ক্রুরা আর তার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।



সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন ফ্লাইট ১৬৩(১৯৮০)

আগস্ট ১৯৮০, রিয়াদ বিমানবন্দর (বর্তমানে রিয়াদ বিমান ঘাঁটি) থেকে উড্ডয়নের সাথে সাথে বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং অনেক ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।মাটিতে ক্রুরা যখন বিমানটির দরজা খোলার চেষ্টা করেন তখন আবার আগুন লাগে। এ দুর্ঘটনায় ৩২৯ জন আরহির সবাই মারা যায়। এটাই একমাত্র বিমান দুর্ঘটনা যেখানে আকাশে না উড়েও এতি ঘটে এবং সকল যাত্রি মারা যায়। তদন্তে পরে জানা যায় যে বিমানে তখন রান্না চলছিলো এবং চুলা থেকে আগুন লেগে যায়।



জাপান এয়ারলাইন ফ্লাইট১২৩(১৯৮৫)

আগস্ট ১২ ১৯৮৫ , জাপান এয়ারলাইন্স এর একটি বিমান ওসাকা যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় এবং পিছনের অংশ ভেঙ্গে পাশে থাকা মাউন্ট থাকামাগাহারাতে ধাক্কা খায়। ১৫ জন ক্রু এবং ৫০৯ জনের মধ্যে ৫০৪ জন মারা যায়। এক বিমানে এত মানুষ মৃত্যুর ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।



চারখি দাদ্রি মিড-এয়ার কলিশন ১৯৯৬

নভেম্বর ১২ ,১৯৯৬ ভারতের নয়া দিল্লি শহরের পাশে চারখি দাদ্রি গ্রামের আকাশে ঘটে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ।সউদিয়া flight no 763 এবং কাজাখস্তান এর flight no 1907 বিপরীত দিক থেকে ধাক্কা দেয় ফলে উভয় বিমানের সব যাত্রি (৩৪৯ জন) মারা যায়।উভয় বিমানের পাইলটের ইংরাজি ভাষায় দুর্বলতার কারণে এই দুর্ঘটনার কারন বলে পরে জানা যায়।



ফ্লাইট ৯৯০ মিশরএয়ার(১৯৯৯)

১৯৯৯ সালে নিখোঁজ হয়েছিল ফ্লাইট ৯৯০ মিশরএয়ার বিমানটি। নিখোঁজ হওয়ার পর মিশর সরকারের অনুরোধে এ বিষয়ে তদন্তে নামে ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন বোর্ড(এনটিএসবি)। বিমানটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এনটিএসবি ওই ঘটনায় নাশকতার গন্ধ পেয়ে এর তদন্তভার এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায় যে, ওই বিমানের চালক আত্নঘাতী হয়েই ওই বিমানটিকে নিয়ে নিউ ইংল্যান্ডে আছড়ে পড়েন। ফলে ওই বিমানের ২১৭ জন আরোহী প্রাণ হারান। তবে মিশর সরকার বরাবরই ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করেছে।









পালকোভ এয়ারলাইন্স ৬১২: ২০০৬

২০০৬ সালের ২২ অগাস্ট তুপোলেভ তু-১৫৪ বিমানটি রাশিয়ার আনাপা থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল। বিমানটি রাডার সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হবার আগে তিনটি জরুরি বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিল। এর পরপরই পূর্ব ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এত প্রায় ১৭০ জন আরোহী নিহত হয়। রাশিয়ার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং বজ্রপাত এড়ানোর চেষ্টার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।



গল এয়ারলাইন্স ১৯০৭: ২০০৬

ব্রাজিলের গল এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮জিএইচ বিমানটি ২০০৬ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর একটি ব্যবসায়িক বিমানের সাথে ধাক্কা খেলে দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন আরোহী নিহত হয়। বিমানটি মানাস থেকে রিও ডি জেনেরিও যাচ্ছিল। তদন্ত কমিটি জানায়, বিমান দুটি ভিন্ন দুটি জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছিল। পরে ব্রাজিলের বিমান কর্তৃপক্ষের এক তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়, একজন আমেরিকান নাগরিক ব্যক্তিগত জেট নিয়ে ভ্রমণ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।



এয়ার ফ্রান্স উড়ান ৪৪৭(১ মার্চ, ২০০৯)

১ মার্চ, ২০০৯ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ফ্রান্সের উড়ান ৪৪৭। ২০০৯ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের উপর হারিয়ে যায় ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭। জানা যায় যে, বরফের খণ্ড বিমানের মুখ বন্ধ করে দেয় আর অটো পাইলট এর সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার কারনে বিমানটি গতিবিধি হারিয়ে সমুদ্রে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫০টি মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিমানটির আরও কিছু অংশ পাওয়া যায় যেখান থেকে আরও ১৪৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বাদবাকি ৭৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন!







ডানা এয়া ফ্লাইট-৯৯২: ২০১২

নাইজেরিয়ার ডানা এয়ারলাইন্সের ‘ম্যাকডোনেল ডগলাস এমডি-৮৩’ মডেলের বিমানটি ২০১২ সালে ৩ জুন লাওসের একটি ভবনের উপর আছড়ে পড়লে বিমানের ১৫৩ জন আরোহী এবং ভূমির ১০ জন নিহত হয়। নাইজেরিয়ার বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হলে দ্রুত অবতরণ করতে গেলে দুর্ঘটনায় পরে সেটি। এই দুর্ঘটনার পর নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ ডানা এয়ার প্লেনের লাইসেন্স বাতিল করে।



মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন ফ্লাইট এমএ ৩৭০(৮ মার্চ, ২০১৪)

৮ মার্চ, ২০১৪ ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রুসহ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ নিখোঁজ হয়েছে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উড়োজাহাজটি। বোয়িং ৭৭৭-২০০ সিরিজের উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত ২টা ৪০ মিনিটে ভিয়েতনামের আকাশসীমায় নিখোঁজ হয়। এর আগে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪১ মিনিটে উড়োজাহাজটি ১৬০ জন চীনা নাগরিকসহ ১৩ দেশের যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উড়োজাহাজটি সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে চীনের রাজধানীতে পৌঁছানোর কথা ছিলো।আরোহী সবাই মারা গেছে বলে ধারনা করা হয়।





মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজ এমএইচ১৭

১৭ জুলাই ২০১৪

ইউক্রেনে ২৮০ জন যাত্রী ও ১৫ জন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজ এমএইচ১৭। আরোহী ২৯৫ জনই নিহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অভিযোগ করা হচ্ছে, গুলি করে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। আর এ ঘটনার সাথে ইউক্রেনের বিদ্রোহীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন সন্দেহ করা হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরেসেনকো বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনার বিষয়টি "সন্ত্রাসীদের কাজ"। তবে বিদ্রোহীরা বিমান ভূপাতিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গত কয়েকদিনে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দু'টি বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের পূর্বঞ্চলের বিদ্রোহীরা। গত ১৭ জুলাই ২০১৪বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডাম থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর দিকে যাচ্ছিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং উড়োজাহাজটি। ইউক্রেনের শাকতেরেস্ক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় ওই বিমানটি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

মাহবু১৫৪ বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট

ভাল লাগা রইলো

++++

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন। এমেলিয়া এয়ারহার্টের ঘটনাটা পড়েছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.