নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহন লাল

সত্য আর মিথ্যার মধ্যে নিরপেক্ষতা নয়

সাইফুল আলম শাহিন

আমি হলাম গিয়ে আমি।

সাইফুল আলম শাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বদলীয় বনাম নির্দলীয়..প্রেক্ষাপট (১ম কিস্তি)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

প্রথমে কিছু উল্লখেযোগ্য বিষয় দেখে নেয়া যাক-

গনতন্ত্র: সবচেয়ে উল্লখেযোগ্য সংগা হল 'Government of the people, by the people, for the people, ....."Abraham Lincoln

সরল অর্থ হল জনগনের দ্বারা নির্বাচিত জনগনের সরকার।

সংবিধান:আমাদের দেশের সংবিধানের মূল স্তম্ভ ৪ টির ১টি হল -গনতন্ত্র।

নির্বাচনকালীন সরকার: পৃথিবীর সব গনতান্ত্রিক দেশে নির্রাচন হয় ক্সমতাসীন সরকারের অধীনে। সম্প্রতি পাকিস্তানে তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে সরকার প্রধান কে হবেন সেটা নিয়ে দুইদল একমত হতে না পারায় তাদের সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ি সরকারিদলই ঠিক করে কে হবেন সরকার প্রধান!

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বির্তক: আন্ত:জাতিক প্রেক্ষাপট

সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে নির্বাচন নিয়ে বির্তক ও আন্দোলন দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে। যেমন- রাশিয়া ও ভেনিজুয়লা। দুটি দেশেই সরকারি দল সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। বিরোধীদলের কারচুপির দাবী ও তাদের আন্দোলনের সাথে সরবভাবে সহমত প্রকাশ করেছে ক্ষয়িন্ষু পরাশক্তি আমেরিকা। না বললেও হয় দুটি দেশের সরকারই বিশ্বব্যপি মার্কিন আগ্রাসনকে পায়ে পা দিয়ে চ্যলেন্জ করে যাচ্ছে। তবে তাদের বিরোধী দলের জনপ্রয়িতা ও মিডিয়ার সাপোটও ঈর্ষনীয়। এবং এরা অবশ্যই মার্কিনপন্থি!



সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বির্তক: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নির্বাচন বিষয়ে একটা কথা সবসময়ই বলা হয় যে 'দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নি।' একথাটি সবচয়েে বেশী বলে (সুশীল সমাজ ও) বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়? এদেশে ৭২এ শেখ মুজিব দেশে আসার পরে ৭৩ এ ১ টা মাত্র নির্বাচন হয়েছিল আওয়ামিলীগের অধীনে। তারপরে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সামরিক শাষন জারি করে (জিয়ার সময়) অথবা বিএনপি/জাতিয় পার্টির দলীয় সরকারের অধীনে। ৭৩এর নির্বাচনে ১/২ টি আসনে (যেমন সিমিন হোসেন রিমির বইতে আছে খন্দকার মোশতাককে কায়দা করে জিতিয়ে আনা হয়েছিল) বির্তক থাকলেও নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে কোন ঈতিহাসিক প্রশ্ন উঠে না কারন তখন আসলে আওয়ামিলীগরে কোন প্রতিদ্বন্দী দলই ছিল না। একমাত্র ছিল জাসদ। তো তার শক্তি কি পরিমান ছিল তা আজকে সহজেই বোঝা যায়! জিয়ার আমলে রেকর্ড করে গনভোট। যাতে মোট ভোট পড়ে ৮৯%, যার কিনা ৯৭% ছিল হ্যা ভোট। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জনপ্রিয়তার দাবী আর কেউ কথনো করেনি, এমনকি ৭০ এর নির্বাচনের শেখ মুজিবো না । ইলেকশান ইনজনিয়ারিংএর সেই শুরু। পরবর্তীতে জিয়ার মনোনীত সেনাপ্রধান এরশাদ জিয়ার ধারাই বজায় রাখেন। ৭৩ এর পরে আর কখনো আওয়ামিলীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয নি।

খালেদার বিএনপির দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠীত নির্বাচনে মাগুরার উপনির্বাচন নিয়ে ব্যপক বিতর্ক হয়। প্রশ্ন উঠে সামান্য্ উপনির্বাচন নিয়ে যদি এই হয় তাহলে জাতীয় নির্বাচন কিরকম হবে ? এই ধারাবাহিকতায় অাওয়ালীগ দাবী করে নির্বাচনের আগের ৩ মাস নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকার দেশ চালাবে। সুশীল সমাজ তখন কিন্তু আওয়ালীগের দাবীর ব্যপারে বিন্দুমা্ত্র সহমত প্রকাশ করে নাই্। বরং এটা গনতন্ত্ররে ধারনার সাথে সাংঘষির্ক বলে প্রচার করে। আওয়ামিলীগ থেকে দাবী করা হয় অতীতের নির্বাচনের আলোকে, ৩ মাস অগনতান্ত্রিক সরকার থাক, কিন্তু সুষ্টু নির্বাচন হোক। বিএনপি 'পাগল ও শিশুর' তত্তে অবচিল থেকে ১ দলীয় নির্বাচন করে। যে নির্বাচন থেকে তাদেরকে বিরত রাখতে দেশী মিডয়িা বা প্রভুরা কোন উচ্চবাচ্য করে নাই। আন্দোলনের মুখে একসময় বিএনপিকে দাাবী মেনে নিতে হয়।

৯৬ এর তত্তাবধায়কের অধীনে অনুষ্ঠতি নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখান করে। তবে তাদের ১১১ আসনে কারচুপির দাবীর স্বপক্ষে কোন প্রমান দিতে পারেনি। ২০০১ এর লতিফুররে তত্তাবধায়কের অধীনে নির্বাচন যেমন প্রত্যাখান করে আওয়ামিলীগ। এই নির্বাচনে আওয়ামিলীগের চেয়ে বিএনপি মাত্র ১.৪% ভোট বেশী পাায়, কিন্তহু আশ্চর্যজনকভাবে আসন বেশী পায় ২৫০% ! পৃথিবীর ইতহাসে এমন পরিসংখ্যান আর কোন নির্বাচনে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। (দেখুন নির্বাচন কমিশনের ওযেব সাইট)।

২০০৬ এর নির্বাচনের আগে তত্তাবধায়ক সরকার সবচেয়ে বিতর্কিত হয়, যখন বিএনপির সাবেক সম্পাদক কে এম হাসানকে প্রধান করার জন্য বিচারকদের বয়স সংবিধান সংশোধন করে (নজিরবিহিন) ২ বছর বাড়ানো হয়। আন্দোলনের মুখে বিদেশী দূতাবাস গুলোর মুখাপেক্ষী হাসান সরে দাড়ালে তখনকার সংবিধান অনুযায়ী তার আগের অবসরপ্রাপ্ত প্রধানবিচারপতিকে না বলে (এভাবে ধারাবাহিকভাবে কাউকে প্রস্তাব না দিয়ে) ৫ ধাপে কমপক্ষে ২০/৩০ জনকে ডিঙিয়ে ইয়েসউদ্দিন নিজেকে প্রধান উপদেস্টা ঘোষনা করেন। তারআগে আওয়ামিলীগের দাবী করা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবি যুক্ত ভোটার তালিকার দাবী বিএনপি অস্বিকার করে, সুশীল সমাজ ছিল নিশ্চুপ! যখন কোনভাবে বিদেশীরা বিএনপিকে ক্ষমতায় রাখতে পারলো না . তখন শহরে আবার জলপাই রংএর ট্যংক এল মুক্ত চিন্তার দৈনিক এর আহবানে সাড়া দিয়ে। উল্লেখ্য যে তাদের পত্রিকায় সাবেক সামরিক অফিসাররা এক মন্তব্য প্রতিবদেনে বলেন (১ম পৃষ্ঠায় ছাপা হওয়া) '(বিদেশীদের) ইশারার জন্যে বসে থাকার সময় নেই, সেনাবাহিনীকে তার কাজ করতে হবে!'। প্রথমে আওয়ামিলীগ তাদের সমর্থন করে নির্বাচনের আশায়। কিন্তু অচিরেই আমরা জানতে পারি মাইনাস টু থিওরীর কথা। তখন রাজনৈতিক নেতাদের থাপড়ানোর ভিডিও প্রচার হলেও কোন সুশীল টু শব্দ করেনি বরং সমর্থন করে। এভাবে বেড়া যখন ধান খাওয়ার সকল চেষ্টা করে যায়, তত্তাবধায়ক সরকারের ধারনার কবর হয়... (চলবে....)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.