![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বদলীয় সরকারের ব্যপারে সবার আপত্তির ১টাই যুক্তি এখন পর্যন্ত, তা হল প্রধান কে হবেন। আমার ক্ষুদ্র মাথার ১টা প্রস্তাব হল-
১) নির্বাচনের ৭ দিন আগে থেকে প্রধানমন্ত্রী অবসরকালীন ছুটিতে যাবেন। তবে নির্বাচন শেষে পরবর্তি সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হলে তখন আবার পদে ফিরতে পারবেন।
২) এই ৭ দিন মন্ত্রীরা স্ব স্ব মন্ত্রালয়ের কাজ নিজেরাই করবেন।
৩) প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের জন্য নির্বাচনের পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন হলে, সিইসির অনুদোমন স্বাপেক্ষে রাস্ট্রপতির কাছে পাঠানো যাবে এবং একমাত্র তখন সেই বিষয়ে রাস্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
৪) মন্ত্রি সভায় সরকারী দল ও বিরোধী দলের সমান প্র্রতিনিধিত্ব থাকবে। সরকারী দল হতে আসন অনুপাতে মোট মন্ত্রীসভার সর্বোচ্চ অর্ধেক থাকবে। বাকি অর্ধেক অবশ্যই সব বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আসন অনুপাতে দেয়া হবে। যদি সরকারি দল সংখ্যালঘু হয় তবে তাদের প্রতিনিধিত্ব অধের্কের কম অর্থাত আসন অনুপাতে হবে।
৫) নির্বাচন সংক্রান্ত মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রি থাকবেন সিইসি। যথা- স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন, শিক্ষা, ও আইন মন্ত্রনালয়।
৬) বাকি দপ্তর বন্টন সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ১টি ১টি করে পর্যায়ক্রমে চাওয়া স্বাপক্ষে দেওয়া হবে। অর্থাত সরকারী দল চাইল বানিজ্য , সে পাবে, তারপরে বিরোধী দল চাইতে পারবে, তারপরে আবার সরকারী দল এভাবে হবে। দপ্তররের তালিকা আগেই নির্ধারিত থাকবে, সরকার বদল হলেও পরিবর্তন হবে না। নতুন যোগ হতে পারে।
৭) সিইসি নির্বাচনে অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অখিযোগে যেকোন মন্ত্রীকে যেকোন সময় বহিস্কার করতে পারবেন, তবে তার বিকল্প কাউকে তিনি সরকারি দলের হলে সরকারি দলের মধ্য থেকে অথবা তিনি বিরোধী দলের হলে বিরোধী দলের মধ্য থেকে নিতে বাধ্য থাকবেন। এবং নতুন / বিকল্প মন্ত্রীর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর বদলে সিইসি রাস্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন।
সর্বশেষ- আজকের প্রথম আলোতে আছে বিএনপির ব্যরিস্টার খোকন একই ধরনের প্রস্তাব করেছেন। যেহেতু বিএনপির প্রস্তাব মতো দুই দলের কাছে গ্রহনযোগ্য কাউকে প্রধান করার দাবী ভবিষ্যতে যেকোন সময় সাংবিধানিক সংকট তৈরী করতে পারে , কারন দুই দল একমত হতে না পারলে তখন কে প্রধান হবেন ? সেই জন্যে উপরের প্রস্তাবই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট হবে।
অতিতের কারচুপির নির্বাচনের ইতিহাস দেখলে এটা বোঝা যায় যে আসল কারচুপি হয় নির্বাচনের দিন। হয়, ভোটারদের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে, ভুয়া ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলে, এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে, ফল একত্র করা ও ঘোষনার সময় পাল্টে দিয়ে, এর সবই হয় নির্বাচনের দিন। কাজেই ৭ দিন কোন প্রধানমন্ত্রী কার্যরত না থাকলে, আর মন্ত্রীসভায় সবার সমান অংশগ্রহন থাকলে সেটি আর হবে না। এরপরেও কারচুপি হলে আন্দোলনের সুযোগ সবারই থাকছে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: আশিয়ান সিটিতে প্লট কনছেতো !
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: এখন সেদিন নাই । কর্মিদের প্রচারনা চালাতে দেয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রি গণভবন থেকে অফিস করবেন আবার নির্বাচনি কাজ করবেন । রিগিং করতে বলা লাগবে না, দালাল কর্মকর্তা-কর্মচারি নিজ দায়িত্বেই করবে ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: সেদিন মানে কোনদিন ? কর্মীদের প্রচারনা চালাতে না দিলে সেই দলের মন্ত্রীরা পদত্যগ করে আন্দোলনে নামলে জনগন তাদের সাথে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী গনভবনে থাকলে কি সমস্যা ঠিক বুঝলাম না। আর সরকারি কর্মচারীরা যতোই দলীয় হোক ১০০ ভাগ দলীয় হয় না, নিজের চাকরী আর জীবনের ঝুকি নিয়ে সবাই যার যার এলাকায় ব্যলট বাক্স ভরা শুরু করবেন, এমনটা কখনোই হবে না। এছাড়া বিকল্প যে তত্তাবধায়ক প্রধান, ধরা যাক দুদল কারো ব্যপারে একমত হলোই (অবিশ্বাস্য্) কিন্তু তিনি যে হাজার কোটি টাকা ঘুষ খেয়ে দলীয় আচরন করবেন না তার গ্যরান্টি কি ? তার চেয়ে দুদলের নেতাদের নিয়ে গঠিত মন্ত্রি সভা আর নির্বাচনের সময় নির্বাহী ক্ষমতাবিহিন অবসরকালীন ছুটিতে থাকা প্রধানমন্ত্রীর সরকার কি ভালো নয়?
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: সরকারি কর্মকর্তারা রিগিং অতীতে করেছেন, তবে তা সরকার প্রধানের নির্দেশে, নিজে থেকে কেউ করে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
এম আর ইকবাল বলেছেন:
তারা নাকে তেল দিয়ে জেগে ঘুমাচ্ছেন ।
কারো ডাকে তাদের ঘুম ভাঙ্গাবে না ।