নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহন লাল

সত্য আর মিথ্যার মধ্যে নিরপেক্ষতা নয়

সাইফুল আলম শাহিন

আমি হলাম গিয়ে আমি।

সাইফুল আলম শাহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাঝোতার স্বার্থে নির্বাচনকালীন ২ উপ-প্রধানমন্ত্রী

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪১

১ জন আম জনতা মানে আমার ২টা প্রস্তাব-

১) সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্য থেকে ২ জন উপ-প্রধান মন্ত্রী নিয়োগ করা হোক। নির্বাচনের আগে ১৫ দিন তাদের ২ জনেরই স্বাক্ষর ছাড়া প্রধানমন্ত্রী কোন নির্দেশ/স্বাক্ষর করতে পারবেন না। ফলে ঐকমত্য ছাড়া নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ করা যাবে না। এছাড়া এসময়ে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা দুজনই সমান প্রটোকল পাবেন।

২) ২ জন প্রধান মন্ত্রী থাকলে কি খুব সমস্যা ? অনেকে বলবেন দ্বৈত শাষন চালু হবে। কিন্তু মাত্র তো ৭/১৫ দিনের ব্যপার। দেশের গনতন্ত্র, সমাঝোতার স্বার্থে এটুকু কি মেনে নেয়া যায় না ? এর ফলেও নিশ্চিত করা যাবে যে ঐকমত্য ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। দরকার হলে নির্বাহী ক্ষমতাও ২ দলের মন্ত্রনালয় অনুযায়ি ভাগ করে দেয়া যেতে পারে। তারমানে ধরা যাক বিরোধী দল পেল বানিজ্য, শিল্প, ক্রিড়া মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব, তাহলে এইসব মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে তাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে।



২ প্রস্তাবেই মন্ত্রী নির্বাচিত হবেন ২ পক্ষ থেকে, আগের ২ নির্বাচনের প্রাপ্ত আসন/ভোটের হার যেকোন ১টার অনুপাতে। তবে কোন পক্ষ থেকেই অর্ধেকের বেশী মন্ত্রী রাখা যাবে না। স্বরাস্ট্র, সংস্থাপন, শিক্ষা, অর্থ মন্ত্রনালয় থাকবে সিইসির অধীনে, কোন মন্ত্রী থাকবে না।



বিএনপির প্রস্তাব অনুযায়ী দুই দলের মতৈক্যের মাধ্যমে ঠিক করা প্রধান উপদেষ্টার ক্ষেত্রে সংকট হতে পারে, যদি ২ জোট একমত না হতে পারে তাহলে সরকার প্র্রধান কে হবেন ? কেউ কেউ বলবেন যদি উপরের ২ প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও কোন সিদ্ধান্ত নিতে ২ উপ-প্রধানমন্ত্রী একমত না হন তাহলে কি হবে ? সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হবে না ! নির্বাচনের পর পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু সাংবিধানিক সংকট বা প্রধান কে হবেন তা নিয়ে কোন দিন নতুন কোন অচলাবস্থা/দাংগার সুযোগ তো তৈরী হবেনা।



আওয়ামিলীগের যে ভয় যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে বা ক্ষমতা শূন্য করে দেয়া হলে নির্বাচনের আগেই হেরে যাওয়া হয়ে যাবে, সেটাও থাকবে না।



আওয়ামিলীগ বিএনপিকে সংসদে ১টা নির্দিষ্ট দিনে আসার প্রস্তাব দিক যে দিন সমাধান ঠিক করা হব।ে যদি বিএনপির সাথে সংলাপ নাও করতে পারে, তারা ইচ্ছা করলে বিভিন্ন বিকল্প (বিএনপির দাবি এবং আগের নিয়ম সহ) গনভোটে দিক। যাই হোক না কেন আওয়ামিলীগের উচিত হবে ১০০ ভাগ স্বচ্ছ ও বির্তকের উর্দ্ধে একটা ফর্মূলা জনগনের সামনে তুলে ধরে, সেই অনুযায়ি দরকার হলে নিজেরাই সংবিধান সংশোধন করা।



আমরা বাংলাদেশের কোটি কোটি লোক ১ টা ফর্মূলা বের করতে পারবো না যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নি সংশয়ের অবসান হয় ? পারবো না !?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

নিজাম বলেছেন: অতি উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টিটা বাধবে কে?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: মানুষ যদি চায় তাহলে হবে, মানুষ তো যার সমথনের জায়গায় খুটা গাড়তে ব্যস্ত, মোহমাডান - অাবাহনী !

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

ফাহাদরক্স বলেছেন: প্রস্তাব ভালো, বল্গারের প্রস্তাব ত কেও মানবেনা, সাহবাগ ইস্যু মনে কইরা পাব্লিকে ইডা মারব।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

সাইফুল আলম শাহিন বলেছেন: মানার চেয়ে যদি সন্ত্রাস, দেশ-গনতন্ত্রের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা ভাল হয়- তবে তাই হোক... ২ জন উপ/প্রধামন্ত্রী হলে কি কোন সমস্যা আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.