![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উভয় দলের একটি কথা, তারা বাংলাদেশের দুর্নীতি রেট কমিয়েছে। আর মানুষও যাচাই বাছাই না করে বাহবা বলছে। মূলত তারা আমাদের করছে অপব্যাখ্যা।
যেমন- একটি রেসিং ট্র্যাক বাংলাদেশ নামক দৌড়বিদ শেষ করে ২৫ সেকেন্ডে। কিন্তু মিয়ানমার নামক দৌড়বিদ নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলল যে সেই ট্র্যাক শেষ করতে তার সময় লাগে ২২ সেকেন্ড। অর্থাৎ বাংলাদেশর অবস্থান পরিবর্তন হয়নি কিন্তু মিয়ানমার তার অবস্থান পরিবর্তন করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।
এমন অপব্যাখ্যা ভিন্নভাবেও হয়ে থাকে। যেমন- একটি বইয়ের সামনের অংশ দেখলে প্রস্থ অনেক বড় দেখায়। কিন্তু যদি শুধু এর পাশ দেখানো হয়, প্রস্থ দেখাবে খুবই অল্প।
অনেকে আবার অপব্যাখ্যা করে পুরো অংশ উল্লেখ না করে। যেমন- এক লোক অসাধু ঔষধ বিক্রেতার নিকট গেল এবং তার রোগের উপসর্গ বলল। বিক্রেতা ঔষধের অর্ধেক ম্যানুয়াল দেখিয়ে বলল আপনার এই রোগের ঔষধ হল এই। কিন্তু পরের পৃষ্ঠাই যে লেখা আছে, রোগী যদি গরু হয় তা আর দেখাল না।
আবার অনেকে অপব্যাখ্যা করে থাকে সময় এবং প্রেক্ষাপট তুলে না দিয়ে। যেমন- আমেরিকার জেনারেল বলল যেখানে ভিয়েতনামি পাও, দেখা মাত্র হত্যা কর। কিন্তু বলে না যে, এই কথাটি ছিল যুদ্ধের সময়ের কথা। বর্তমানের না।
আরো একভাবে করা হয়ে থাকে তা হল সঠিক প্রতিশব্দ বা অর্থ ব্যবহার না করে। সামান্য বিরামচিহ্নের ব্যবহার একটু এদিক সেদিক হলেই পুরো অর্থই পাল্টে যেতে পারে।
এক বন্ধু গোপন সূত্রে খবর পায় যে, তার অপর বন্ধুর বাসায় আজ আক্রমণ করা হবে। বন্ধু কে বিরামচিহ্ন ব্যতীত চিঠি লিখল- “বাসায় আজ থেকো না থাকলে সমস্যা হবে”। আর বন্ধু বেচারা কমা (,) না এর আগে বসায় আবার পরেও বসিয়ে চিন্তা করে। তাই কিচ্ছুক্ষণ বাসায় থাকে আর কিচ্ছুক্ষণ থাকে না। বেচারার এমন ভাগ্য যে সময় সে বাসায় ছিল সেই সময় আক্রমণ করা হল।
ঠিক একইভাবে কোন অনুবাদ করতে যদি সঠিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করা না হয় তার অর্থ বিকৃত হয়ে যায় অনেক সময়। একই ব্যাপার হয়ে থাকে মনের ভাবার্থ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা প্রকাশ করা হয়েছিল অন্য অর্থে।
এভাবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টা করে বা অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ঠকাচ্ছে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পত্রিকা বা মিডিয়া পর্যন্ত প্রায় সকলেই। এবং এই অপব্যাখ্যার সুযোগে মানুষ যেমন ঠকানো হয় তেমনি এরই সুযোগ নিয়ে অন্যায়কে দেয়া হয় বৈধতা। আর যাচাই না করাই বোকা বনে যাচ্ছি আমরা।
#সাদ
২৭-ফেব্রু-১৬
#Saad
ফেসবুক পোষ্ট
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১০
সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার পরামর্শের জন্য। আপনার পরামর্শ অনুযায়ী আরো বিশদ করে লিখালাম। জানি মজা চলে গিয়েছে। কিন্তু নতুন যারা পড়বে তারা নিশ্চয় পাবে। আবারো জানাই ধন্যবাদ।
অনেকে আবার অপব্যাখ্যা করে পুরো অংশ উল্লেখ না করে। যেমন- এক লোক অসাধু ঔষধ বিক্রেতার নিকট গেল এবং তার রোগের উপসর্গ বলল। বিক্রেতা ঔষধের অর্ধেক ম্যানুয়াল দেখিয়ে বলল আপনার এই রোগের ঔষধ হল এই। কিন্তু পরের পৃষ্ঠাই যে লেখা আছে, রোগী যদি গরু হয় তা আর দেখাল না।
আবার অনেকে অপব্যাখ্যা করে থাকে সময় এবং প্রেক্ষাপট তুলে না দিয়ে। যেমন- আমেরিকার জেনারেল বলল যেখানে ভিয়েতনামি পাও, দেখা মাত্র হত্যা কর। কিন্তু বলে না যে, এই কথাটি ছিল যুদ্ধের সময়ের কথা। বর্তমানের না।
আরো একভাবে করা হয়ে থাকে তা হল সঠিক প্রতিশব্দ বা অর্থ ব্যবহার না করে। সামান্য বিরামচিহ্নের ব্যবহার একটু এদিক সেদিক হলেই পুরো অর্থই পাল্টে যেতে পারে।
এক বন্ধু গোপন সূত্রে খবর পায় যে, তার অপর বন্ধুর বাসায় আজ আক্রমণ করা হবে। বন্ধু কে বিরামচিহ্ন ব্যতীত চিঠি লিখল- “বাসায় আজ থেকো না থাকলে সমস্যা হবে”। আর বন্ধু বেচারা কমা (,) না এর আগে বসায় আবার পরেও বসিয়ে চিন্তা করে। তাই কিচ্ছুক্ষণ বাসায় থাকে আর কিচ্ছুক্ষণ থাকে না। বেচারার এমন ভাগ্য যে সময় সে বাসায় ছিল সেই সময় আক্রমণ করা হল।
ঠিক একইভাবে কোন অনুবাদ করতে যদি সঠিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করা না হয় তার অর্থ বিকৃত হয়ে যায় অনেক সময়। একই ব্যাপার হয়ে থাকে মনের ভাবার্থ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা প্রকাশ করা হয়েছিল অন্য অর্থে।
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: অপব্যাখ্যা করা ঠিক না।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১
সাদ ৭ বলেছেন: এই অপব্যাখ্যা কখনোই বন্ধ হবে না। তাই মানুষকে সচেতন করতে হবে আমাদের।
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, এমন অপব্যাখ্যা তো হচ্ছেই।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২
সাদ ৭ বলেছেন: এমনও হচ্ছে-
অনেকে আবার অপব্যাখ্যা করে পুরো অংশ উল্লেখ না করে। যেমন- এক লোক অসাধু ঔষধ বিক্রেতার নিকট গেল এবং তার রোগের উপসর্গ বলল। বিক্রেতা ঔষধের অর্ধেক ম্যানুয়াল দেখিয়ে বলল আপনার এই রোগের ঔষধ হল এই। কিন্তু পরের পৃষ্ঠাই যে লেখা আছে, রোগী যদি গরু হয় তা আর দেখাল না।
আবার অনেকে অপব্যাখ্যা করে থাকে সময় এবং প্রেক্ষাপট তুলে না দিয়ে। যেমন- আমেরিকার জেনারেল বলল যেখানে ভিয়েতনামি পাও, দেখা মাত্র হত্যা কর। কিন্তু বলে না যে, এই কথাটি ছিল যুদ্ধের সময়ের কথা। বর্তমানের না।
আরো একভাবে করা হয়ে থাকে তা হল সঠিক প্রতিশব্দ বা অর্থ ব্যবহার না করে। সামান্য বিরামচিহ্নের ব্যবহার একটু এদিক সেদিক হলেই পুরো অর্থই পাল্টে যেতে পারে।
এক বন্ধু গোপন সূত্রে খবর পায় যে, তার অপর বন্ধুর বাসায় আজ আক্রমণ করা হবে। বন্ধু কে বিরামচিহ্ন ব্যতীত চিঠি লিখল- “বাসায় আজ থেকো না থাকলে সমস্যা হবে”। আর বন্ধু বেচারা কমা (,) না এর আগে বসায় আবার পরেও বসিয়ে চিন্তা করে। তাই কিচ্ছুক্ষণ বাসায় থাকে আর কিচ্ছুক্ষণ থাকে না। বেচারার এমন ভাগ্য যে সময় সে বাসায় ছিল সেই সময় আক্রমণ করা হল।
ঠিক একইভাবে কোন অনুবাদ করতে যদি সঠিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করা না হয় তার অর্থ বিকৃত হয়ে যায় অনেক সময়। একই ব্যাপার হয়ে থাকে মনের ভাবার্থ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা প্রকাশ করা হয়েছিল অন্য অর্থে।
অনেকে আবার অপব্যাখ্যা করে পুরো অংশ উল্লেখ না করে। যেমন- এক লোক অসাধু ঔষধ বিক্রেতার নিকট গেল এবং তার রোগের উপসর্গ বলল। বিক্রেতা ঔষধের অর্ধেক ম্যানুয়াল দেখিয়ে বলল আপনার এই রোগের ঔষধ হল এই। কিন্তু পরের পৃষ্ঠাই যে লেখা আছে, রোগী যদি গরু হয় তা আর দেখাল না।
আবার অনেকে অপব্যাখ্যা করে থাকে সময় এবং প্রেক্ষাপট তুলে না দিয়ে। যেমন- আমেরিকার জেনারেল বলল যেখানে ভিয়েতনামি পাও, দেখা মাত্র হত্যা কর। কিন্তু বলে না যে, এই কথাটি ছিল যুদ্ধের সময়ের কথা। বর্তমানের না।
আরো একভাবে করা হয়ে থাকে তা হল সঠিক প্রতিশব্দ বা অর্থ ব্যবহার না করে। সামান্য বিরামচিহ্নের ব্যবহার একটু এদিক সেদিক হলেই পুরো অর্থই পাল্টে যেতে পারে।
এক বন্ধু গোপন সূত্রে খবর পায় যে, তার অপর বন্ধুর বাসায় আজ আক্রমণ করা হবে। বন্ধু কে বিরামচিহ্ন ব্যতীত চিঠি লিখল- “বাসায় আজ থেকো না থাকলে সমস্যা হবে”। আর বন্ধু বেচারা কমা (,) না এর আগে বসায় আবার পরেও বসিয়ে চিন্তা করে। তাই কিচ্ছুক্ষণ বাসায় থাকে আর কিচ্ছুক্ষণ থাকে না। বেচারার এমন ভাগ্য যে সময় সে বাসায় ছিল সেই সময় আক্রমণ করা হল।
ঠিক একইভাবে কোন অনুবাদ করতে যদি সঠিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করা না হয় তার অর্থ বিকৃত হয়ে যায় অনেক সময়। একই ব্যাপার হয়ে থাকে মনের ভাবার্থ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা প্রকাশ করা হয়েছিল অন্য অর্থে।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
কাজী নায়ীম বলেছেন: এজন্য প্রয়োজন সব ব্যাখ্যারই যুক্তি খোজা। ব্যাখ্যার পেছনেও ব্যাখ্যা থাকে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৩
সাদ ৭ বলেছেন: প্রত্যেক বিবেকবানের উচিৎ যাচাই করে দেখা।
৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক একইভাবে কোন অনুবাদ করতে যদি সঠিক প্রতিশব্দ ব্যবহার করা না হয় তার অর্থ বিকৃত হয়ে যায় অনেক সময়। একই ব্যাপার হয়ে থাকে মনের ভাবার্থ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যা প্রকাশ করা হয়েছিল অন্য অর্থে।
একদম ঠিক কথা। যেমন, আমি একটা সায়েন্স ফিকশন অনুবাদ করতে গিয়ে আটকে গেছি আজ। এর কারণ সঠিক বাংলা শব্দটা পাচ্ছি না।
ধন্যবাদ রইল, যৌক্তিকভাবে উত্তর দেয়ার জন্য।
৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭
সাদ ৭ বলেছেন: বাংলা ভাষার বয়স বেশি না। এখনো এটি উন্নতির পর্যায়ে আছে। তাই সবসময় উপযুক্ত শব্দ পাওয়া কঠিন। আমি মনে করি।
আমার জানা মতে জার্মান ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে যা এক শব্দে অনেক বড় ভাবার্থ প্রকাশ করতে পারে। বাংলা ভাষা এখনো সে পর্যায়ে পৌঁছেনি বিঁধায় এই সমস্যা বলে আমি মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক কথা। তবে আরো বিশদ লেখলে ভাল হতো।