নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

saamok

saamok › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাগত রায়ের বক্তব্য এবং সত্যটা কি?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

মৃত জিহাদিদের শরীর গুলো শুয়োরের চামড়া জড়িয়ে মুখে শুয়োরের বিষ্ঠা ঢুকিয়ে জ্বালিয়ে দাও ---ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় এ কথা বলেছেন।


তথাগত রায় এবং তার বক্তব্য সমর্থনকারী এদের মধ্যেই স্ববিরোধীতা রয়েছে। সমস্যাটা সেইখানেই। এতদ্বতীত এটা শুধু একটা নির্দিষ্ট বিষয়কে টার্গেট করে নয়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে হিডেন টার্গেট রয়েছে।

তথাগত রায় বলেছেন, মৃত জিহাদিদের শরীর গুলো.....// উনি জিহাদিদের টার্গেট করেছেন। উনি জিহাদি না বলে সন্ত্রাসী অথবা দেশদ্রহী বা এই জাতীয় কিছু বলতে পারতেন। কারন ভারতে কোন জিহাদী আক্রমন করেনাই এবং সেখানে কোন জিহাদ হচ্ছেও না। ভারতের সন্ত্রাস হচ্ছে আন্তমহাদেশীয় ক্ষমতার ভারসাম্য কেন্দ্রিক। পাকিস্তান-ভারত জন্ম শক্র আর তাতে ইন্ধন দেওয়ার জন্য আছে পুজিপতি বিশ্ব। ভারত আক্রান্ত হয় পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্বারা। ভারত তা তারস্বরে চেচিয়ে সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে যাচ্ছে।
তথাগত রায় চেচনিয়ার কথা বলেছেন। চেচেন যোদ্ধারা স্পষ্টতই স্বাধীনতা ডিমান্ড করেছে এবং স্বাধীনতা চেয়ে তার জন্য যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছে।

নেতাজি সুবাস বসু যেমন ভারতীয়দের কাছে একজন দেশপ্রেমী বীর তেমনি বৃটিশদের কাছে একজন দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী।
অবস্থানগত পার্থক্য দৃষ্টিভংগি বদলায়। নেতাজি বসুকে নিশ্চয়ই কোন ভারতীয় তথাগত রায়দের বক্তব্যের সমার্থক কোন বক্তব্য দিয়ে হেয় করার কথা স্বপ্নেও ভাববে না। কিন্তু ততকালীন বৃটিশ সরকার মহাত্না গান্ধী, নেতাজি বসু এদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসী হিসাবেই মার্কিং করেছিল। ভারত যদি স্বাধীনতা না পেত আজও এই সব মহান নেতৃত্বের গায়ে দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীর তকমাই লেগে থাকত।

এটাই আমি বলছি। রায় সাহেবদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। মহান নেতাজিদেরকে আমি কখনই অসম্মান করছিনা, করবও না। অবশ্যই আমি তাদেরকে, তাদের ত্যাগকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি।

1400 বছর আগে অবশ্যই কোন জেহাদী মতবাদ প্রচার করা হয়নাই, কখনওই না। মোহাম্মদ ( সাল্লাঃ ) কখনও আক্রমন করেননি। আক্রান্ত হয়ে প্রতিরোধ করেছেন। কখনওই তিনি যুদ্ধ করতে বা আক্রমন করতে বলেন নি, উতসাহিত করেননি। এমনকি আক্রান্ত হলেও ধৈর্যধারন করতে উতসাহিত করেছেন।

মোহাম্মদের ( সাল্লাঃ ) যারা সত্যিকারের অনুসারী, তারা কখনও কোনওপ্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ধার-কাছ দিয়েও যাবেনা।
জেহাদী হিসাবে ইহুদিবাদী পশ্চিমা বিশ্ব যাদেরকে প্রচার করছে অবশ্যই তারা কেউ মোহাম্মদের ( সাল্লাঃ ) অনুসারী নয়। মোহাম্মদের ( সাল্লাঃ ) কথা ও কাজের সাথে কি তাদের কোন সাদৃশ্য আছে? মোহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের সাথে বর্তমানের ততাকথিত জেহাদীদের কোন মিল বা কোন সম্পর্ক নেই।

দুগাছি দারি আর মাথার তালুর উপর একখানা টুপি লাগিয়ে মোল্লা মার্কা একখানা চেহারা বানিয়ে, হাতে একখান অস্ত্র নিয়ে বলল আমি মোহাম্মদের অনুসারী, আমি জেহাদী। ব্যাস হয়েগেল। মামা বাড়ির আবদার আরকি?

চিন উইঘুরু সম্প্রদায়ের মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় অধীকার হরন করে নিচ্ছে। তারা কোনপ্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত নেই, এখন পর্যন্ত সেরকম কোন প্রমান নেই। অথচ চীন শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ার কারনে তাদের অধীকার হরণ করে নিচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষি, যখনই কোন সম্প্রদায়কে তাদের অধীকার থেকে বিঞ্চিত করা হয়েছে তারা সময়ের আবর্তে স্বাধীকার আন্দোলন করেছে। চেচনিয়ায়র স্বাধীনতার আন্দোলনকারীরা পরাজিত হয়েছে কিন্তু এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীর সেনানীরা স্বাধীনতার সোনালী রক্তিম সূর্ষকে ছিনিয়ে এনেছে।

ফিলিস্তানের স্বধীনতাকামী যোদ্ধাদের পশ্চিমা বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। ভারতের কাশ্মিরের সাধীনতার আন্দোলনকারীদেরকে ভারতীয়রা সন্ত্রাসী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তথাগত রায় তাদের অনুসারীদের নিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে তাদেরকে সমগ্র মুসলমানদের প্রতিনিধী বানিয়ে জেহাদী তকমা দিয়ে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা ঘরে তুলছে।

জিহাদী শব্দটি মুসলমানদের নিকট একটি সম্মান জনক অবস্থান এবং ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়। জিহাদ এবং সন্ত্রাস এই দুটো এক নয়।
তথাগত রায় সন্ত্রাসীদের জিহাদী বলে জিহাদ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন অপরদিকে একঢিলে দুই পাখি মেরেছেন।
একদিকে তিনি তার কট্রর হিন্দুত্ববাদী মতবাদ প্রচারের জন্য মিডিয়া কাভারেজ পাচ্ছেন অন্যদিকে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
ধিক তার এই নোংরা রাজনীতিকে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: প্রতি শুক্র বার নামাজের পরে "হে আল্লাহ কাফির দের উপর জয় হাসিল করে দাও " ইটা বলেন কি ?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

saamok বলেছেন: এটাই আমি বলছি। দৃষ্টি-ভঙ্গির মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। আপনিকি তাহলে বলতেচাচ্ছেন যে, কাফিররা ধর্মীয় অবস্থান থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে?

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আপনি তো আজব লোক । প্রতি শুক্রবার আপনারা কাফের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবেন ,আবার নিজেদের ভিকটিম হিসাবে দেখাবেন ,দুটো একসাথে হয় না ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

saamok বলেছেন: মন্দির বা মসজিদে কি আলোচনা হচ্ছে আমার টপিকটা তা ছিলনা। আর আপনাকে কে বলল প্রতি শুক্রবার মসজিদে কাফেরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করা হয়? মসজিদে নিশ্চয় আপনি প্রতি শ্রক্রবার জাননা। গেলে এইরকম আজগুবি কথা বলতেননা। আর ভিকটিম। হাসালেন মশায়। পৃথিবীর কোথায় কোন জায়গায় মুসলিমরা আপনার ভাষায় কাফেরদের উপর অত্যাচার করতেছে, কাফেরদের যায়গা যোর-জবরদস্তি দখল করে রেখেছে?

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন
"Ante mawlana, fanSurna ‘ Alal Qawm al Kafiryun." এই দোয়াটা শুক্রবার পড়া হয় না ?

কোথায় থাকেন আপনি ?সারা পৃথিবীতে শুক্রবার এই দোয়াটা পড়া হয় ।

আমি মসজিদ যাই না ,কিন্তু ওখানে কি হয় ,তা ভালোকরেই জানি ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

saamok বলেছেন: আপনার বক্তব্য পড়ে হাসব না কাশব তাই বুঝতে পারছিনা। মসজিদে যে আপনি যাননা তাতো আপনার বলার পূর্বেই আপনার বক্তব্যে প্রমানীত হয়েছে।

আমার প্রসঙ্গটি মোটেই মসজিদে কি হয় তা নিয়ে ছিল না। এটা নিয়ে বলতে গেলে একটা পোস্টই দিতে হবে অতএব সেদিকে এখন যাচ্ছি না বরং সংক্ষিপ্ত পরিসরে আপনার বক্তব্যের জবাব দিচ্ছি।
ক। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সৌদি আরবের ভাষা আরবি। ওখানের জুতার দোকানের জুতাগুলোর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম জুতার মধ্যে আরবীতেই লেখা থাকে।
কিন্তু বাংলাদেশে যদি বাটা কোম্পানী বাটা লেখাটা ইংরেজীতে না লিখে আরবীতে লিখে বাটার জুতা বাজারে আনে তবে এদেশের অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত-মূর্খ হুজুরদের দর কি বেহুজুরে কান্ডটা বাধাবে একবার ভাবুনতো।
খ। আপনার উল্লেখিত দোয়া হা এটা একটা দোয়া যা মোনাজাতের সময়ে পড়া হয়ে থাকে তা এদেশের কয়জন মুসলিম তার অর্থ বুঝে পড়ে তা বলাই বাহুল্য।
গ। এটা পাড়ার এটাও উদ্দেশ্য নয় যে, মোনাজাত শেষ করেই মসজিদ ভরতি সকল মুসলিম কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে যাবে বরং সোয়াব প্রাপ্তি ঘটবে এই আশায়ই এটা পড়া হয়।
ঘ। ইসলাম ধর্মে শয়তানের নাম নিলেও পাপ মোচন হয় তবে তা অবশ্যই অবস্থানগত পার্থক্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ঙ। ইসলাম ধর্মের একটি মূল নীতি হচ্ছে, স্বচোখে নাদেখে বিশ্বাস স্থাপন করা। সেটাই স্বচোখে দেখা যায়না যেটা ভবিষ্যত। আমরা আমাদের নবী মোহাম্মাদ সাল্রাঃ এর উপর পূর্ণমাত্রায় বিশ্বাস রাখি তাই ভবিষ্যতের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এটা তারই অংশ বিশেষ।

অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত এবং মৌলিক বিশ্বাসে ক্রটিপূর্ণ এমন লোকেরা কিছু মুসলিমকে ভুল বুঝিয়ে বিপথে নিয়ে যায় এবং নিজেদের ও বৈশ্বয়ীক উদ্দেশ্য হাসিল করে। এরা শুধুই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস এবং ইসলাম কখনই এক নয়।

ধন্যবাদ

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ । আপনি আর যাই হোক সত্যটা স্বীকার করেছেন ।

"জিহাদ এবং সন্ত্রাস এই দুটো এক নয়। " আপনার এই লাইনটা থেকে মসজিদে কি হয় সেটা তুলে ধরেছি ।

আরবি যারা বোঝে না তাদের কথা বাদ দিন ,যারা বোঝে তারা কি এই পার্থনার সময় চুপ করে থাকে ?

তথাগত রয় আসলে মুসলিম বিদ্বেষ থেকে কথাটা বলেছেন ,আর আমি আপনাকে দেখাতে চেয়েছি মসজিদ থেকে কেমন ভাবে অমুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো হয় ।

"হে আল্লাহ কাফির দের উপর জয় হাসিল করে দাও " ।

এই পার্থনা যদি আপনার কাছে ভ্রষ্ট ,নিকৃস্ট ,এবং অমানবিক না মনে হয় তবে আমার কিছু করবার নেই । ধন্যবাদ এবং বিদায় ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

saamok বলেছেন: মহনবী মোহাম্মদ সাল্লাঃ এর একজন শতভাগ সঠিক অনুসারীর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর একত্ববাদ সম্পুর্ণ শান্তির মাধ্যমে প্রচার করা। সকল ধর্মের মধ্যেই এই প্রচার আছে। তবে ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে এই প্রচারের ফলে সেই ১৪০০ সাল পূর্ব থেকেই প্রচারকারীরা মারাত্নক নির্মম ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।

এই দোয়াটার দুটি উদ্দেশ্যে প্রথমটি হল ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে জয়ী হওয়া এবং এবং দ্বিতীয়টি হল প্রচারের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হলে জয়ী হওয়া।
আক্রান্ত হলে আত্নরাক্ষার জন্য করা প্রার্থনা আপনার নিকট ভ্রান্ত, নিকৃষ্ট এবং অমানবিক মনেহতে পারে তবে আমার নিকট অবশ্যই সম্পুর্ণ সঠিক।
ধন্যবাদ

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জিহাদী শব্দটি মুসলমানদের নিকট একটি সম্মান জনক অবস্থান এবং ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়। জিহাদ এবং সন্ত্রাস এই দুটো এক নয়।
তথাগত রায় সন্ত্রাসীদের জিহাদী বলে জিহাদ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন অপরদিকে একঢিলে দুই পাখি মেরেছেন।
একদিকে তিনি তার কট্রর হিন্দুত্ববাদী মতবাদ প্রচারের জন্য মিডিয়া কাভারেজ পাচ্ছেন অন্যদিকে মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
ধিক তার এই নোংরা রাজনীতিকে।

সহমত।
++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.