নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাব্বির আহমেদ শাওন

....।

সমালোচক মশাই

আমি দুনিয়ার আইলসা একটা ছেলে। সারাদিন খাই ঘুমাই। আর গেম খেলি। আর ইচ্ছা হলে মাঝে মাঝে লেখালেখি করি। আমার একখান ফেইসবুক আইডি আছে। নাম সাব্বির আহমেদ শাওন।

সমালোচক মশাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাগলের গাছ খাওয়া

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

জীবনের প্রথম কমিক টাইপের কিছু লিখার চেষ্টা করলাম। কেমন হবে জানিনা। আপনারা লিখা পড়ে ছবি গুলো কল্পনা করে নিবেন।

আমরা সবাই জানি মন্ত্রীর পঁচিশ হাজার টাকার গাছ খাওয়াতে ছাগল কে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। ছাগল সমাজের অবস্থা কি হতে পারে আসুন দেখে নেয়া যাক।

১/ সেই ছাগল রাতারাতি হয়ে গেছে বিখ্যাত সেলেব্রেটি।

প্রথম ছাগল- তুই তো সেলেব্রেটি র উপরে সেলেব্রেটি হইয়া গেলি রে।

গাছ খাওয়া ছাগল- ক্যান কি হইছে?

প্রথম ছাগল- ফেইসবুকের সকল সেলেব্রেটি তোরে নিয়া স্ট্যাটাস দিচ্ছে। তুই তো মহা সেলেব্রেটি।

২/ আমাদের সমাজে প্রচলিত বাগধারা "আঙুল ফুলে কলাগাছ" তা ছাগলদের সমাজে হবে "গাছ খেয়ে সেলেব্রেটি"

প্রথম ছাগল- কিরে তোর এতো পরিবর্তন কিভাবে আসলো? আগে খেতি কলার খোশা আর এখন আস্ত কলাই খাস!

দ্বিতীয় ছাগল- গাছ খেয়ে সেলেব্রেটি হয়ে গেছি বুঝলি।কিছুদিন পর শুধু কলা না আপেল কমলাও খাবো।

৩/ ছাগল সমাজে গাছ খাওয়া ছাগল হয়ে যাবে এক কিংবদন্তী।

প্রথম ছাগল - তুই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ভেতর থেকে ঘাস খেয়ে আসলি তোকে ধরতেই পারলো না?

দ্বিতীয় ছাগল - বুঝতে হবে! আমার দাদা হলো সেই বিখ্যাত গাছ খাওয়া ছাগল। আমি যদি ধরা খাই তাহলে দাদার মান ইজ্জত থাকবে নাকি?

৪/ বাচ্চা ছাগল দের তার মায়েরা শোনাবে দামী গাছ খেয়ে এরেষ্ট হবার সেই লোমহর্ষক ঘটনা।

মা ছাগল- তারপর সেই বীর ছাগল ধীরে ধীরে মহামূল্যবান সেই গাছের পাতা অবলিলায় চিবুতে থাকলো। তার সামনে কয়েক হাজার পুলিশ। তবুও সে ভয় না পেয়ে পাতা খেতে থাকলো।

বাচ্চা ছাগল- মা সে বীর ছাগল আংকেল তারপর কি করেছিলো?

মা ছাগল- তারপর সে একাই হাজার হাজার পুলিশের উপর ঝাপিয়ে পরেছিল। আর ভয় কে জয় করে পুলিশের আস্তানায় গিয়ে একরাত থেকে এসেছে।

৫/ গাছ খাওয়া ছাগলটি পেয়ে যেতে পারে জাতীয় সেরা সাহসী ছাগলের পুরষ্কার।

প্রথম ছাগল- এখন আপনাদের সামনে কথা বলবে আমাদের ছাগল সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সাহসী, বীর, অকুতোভয় সেই ছাগল।

গাছ খাওয়া ছাগল- প্রিয় ছাগল ভাই ও বন্ধুরা আমি যার গাছ খেয়েছি সে ভয়ে আমাকে ধরতে পারে নি। আমার সামনে আসতে পারে নি। পাঠিয়েছে কিছু পুলিশ। এবার চিন্তা করেন কি ভয়টাই না পেয়েছিল আমাকে।

৬/ সেই ছাগলটির তৈরী হবে মূর্তি, পোষ্টার ।এমনকি এলাকার নামকরন ও তার নামে হতে পারে।

শিক্ষিকা ছাগল- বাচ্চারা এই হলো সেই বিখ্যাত, বীর গাছ খাওয়া ছাগলের মূর্তি।

প্রথম ছাগল - ম্যাডাম ছাগল আংকেলের মুখে সেই গাছের একটা পাতা ধরিয়ে দিলে ভালো হতো।

দ্বিতীয় ছাগল - ম্যাডাম আমাদের বাসার পাশেই এই ছাগল আংকেলের বাসা ছিলো। সেই এলাকার নাম এখন "বীর ছাগল মহল্লা"

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: =p~ =p~ =p~ :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.