![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুনিয়ার আইলসা একটা ছেলে। সারাদিন খাই ঘুমাই। আর গেম খেলি। আর ইচ্ছা হলে মাঝে মাঝে লেখালেখি করি। আমার একখান ফেইসবুক আইডি আছে। নাম সাব্বির আহমেদ শাওন।
আজ মিরপুর গিয়েছিলাম খেলা দেখতে। আর ম্যাশের ক্যাপ্টেন্সি আজই আমার প্রথম সরাসরি দেখা।এর আগে যদিও বিপিএল এ দেখেছি তবে বিপিএল আর জাতীয় দলের ম্যাচ কোনদিন ই এক নয়। মাশরাফি যে কতো চতুর একটা ক্যাপ্টেন তা আসোলে সরাসরি না দেখলে টিভিতে ভালো করে বোঝা যায় না। অসাধারন ক্যাপ্টেন্সি তার। যেমন কিছু উদাহরণ দেয়া যায় জিম্বাবুয়ের ৩৯ রানে তিন উইকেট চলে যাবার পর স্পিন এটাক আনেন মাশরাফি ভাই। প্রথমে আরাফাত সানি কে দিয়ে বল করায়। তারপর আনা হয় সাব্বির কে। সাব্বিরের পর আবার আনা হয় সানি কে। সানির পর আসেন সাকিব। কিন্তু দেখা গেল সানি আর সাকিব যে প্রান্ত থেকে বল করছিলো সে প্রান্তে দুজন ই কিছুটা অস্বস্থি তে ছিলেন। তাই সাকিবের ওভারের পর বল করতে সানি ক্রিজে চলে আসার পরও ম্যাশ সানি কে দিয়ে না করিয়ে আবার বাউন্ডারি থেকে সাব্বির কে নিয়ে এসে একটা ওভার করিয়ে সানি আর সাকিবের বোলিং প্রান্ত পরিবর্তন করে দেয়। ব্যাস এর ফল পাওয়া যায় পরের ওভারেই। সানি উইকেট পায়। বল করে সানি উইকেট পেলেও মাইন্ড গেইমে আসল জয়লাভ টা করে আমাদের ক্যাপ্টেন।
তারপর টেইলরের আউট টার কথা বলি, টেইলর সাব্বিরের একটা ওভার খুব পেটাচ্ছিলো। বল গুলা দেখে দেখে মারছিলো। প্রথমে লেগ বাউন্ডারিতে ফিল্ডার ছিলো, তা দেখে টেইলর একটা চার মারেন অফ দিয়ে। একটা চারের সাথে সাথে ম্যাশ ফিল্ড চেঞ্জ করে ফেলে। এইবার লেইগ থেকে প্লেয়ার উঠিয়ে নিয়ে ম্যাশ নিজে চলে যায় অফে। তারপর আবার টেইলর লেইগে চার পেটান। ম্যাশ আবার উঠে এসে লেইগে ফিল্ডার পাঠায়। ম্যাশের ভাবটা এমন যেন যেদিক দিয়ে মারিস না কেন ওদিকেই আমি প্লেয়ার রাখবো। পারলে বার বার ব্যাট ঘুরিয়ে মার। ম্যাশের এমন বলে বলে ফিল্ড চেঞ্জ এর ফল পাওয়া যায় সাকিবের ওভারে। এলবি হয় টেইলর। এখানে ও সাকিব উইকেট পেলেও টেইলর কে মাইন্ড গেইমে পরাস্থ করেছে আমাদের ক্যাপ্টেন।
এবার আসি শেষ উইকেট নেবার কথায়। জিম্বাবুয়ের যখন নয় উইকেট চলে গেছে তখন ম্যাশ পুরাই রিয়েল টাইগার এর পরিচয় দিলো। ত্রিশ গজ বৃত্তের বাইরে একটা প্লেয়ার ও ছিলো না। নয়টা প্লেয়ের ঘিরে রেখেছিলো ব্যাটসম্যান দের। এমন এগ্রেসিভ ক্যাপ্টেন্সি আমি বাংলাদেশের আর কারো মাঝে দেখি নাই আগে।
তাছাড়া আরো টুকটাক অনেক কিছুই বলা যাবে। যেমন বার বার বোলিং চেঞ্জ করে ব্যাটসম্যান দের বিব্রতিকর অবস্থায় ফেলে দেয়া। দলের আট জনকে দিয়ে বল করানো । সামান্য একটা চার বাঁচানোর জন্য ঝাপিয়ে পরা, শর্ট কাভারে একটা ফিল্ডার সব সময় রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি হলফ করে বলতে পারি আজ যদি আমাদের ক্যাপ্টেন ম্যাশ না হয়ে অন্য কেউ হতো তাহলে আমরা জিততাম ঠিকি কিন্তু এতো বড় ব্যাবধানে নয়। ম্যাশ প্রতিটা প্লেয়ার কে চাঙ্গা রাখে সব সময়। একটু ঝিমিয়ে পরতে দেয় না। নিজে এগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যায় দলকে। প্রতিটা প্লেয়ার কে ক্ষণে ক্ষণে উজ্জীবিত করে যায়। একটা সত্যিকারের নেতার মতো একটা গ্রেট ক্যাপ্টেন এর মতো। আর সব শেষে একটা রিয়েল ফাইটার টাইগারের মতো।।।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
সমালোচক মশাই বলেছেন: হু ঠিকি বলেছেন। আর ম্যাশ হলো জাত বাঘ। তার গর্জনেই একটা বাঘ বাঘ ভাব আছে।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত। আমাদের এমন একজন ক্যাপ্টেন দরকার ছিল।
পোষ্টে প্লাস।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: সাহেব, ম্যাশ আর মুশি যাই বলেন তাদের আমি ও ভাল পাই। বিড়াল মারতে কামান দাগানোর দরকার নাই।
জিম্বা. দূর্বল দল, দেখা যাবে বড় দলের সাথে। ত
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
ভিটামিন সি বলেছেন: নেতাকে নেতার মতোই হতে হয়। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নেতা হলে তাকে বাঘের মতো হতে হয়। বিলাই দিয়ে হালচাষ হয় না্।