![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুনিয়ার আইলসা একটা ছেলে। সারাদিন খাই ঘুমাই। আর গেম খেলি। আর ইচ্ছা হলে মাঝে মাঝে লেখালেখি করি। আমার একখান ফেইসবুক আইডি আছে। নাম সাব্বির আহমেদ শাওন।
মেয়েটার নাম হাসি! নামের সাথে মেয়েটার কাজের ও অনেক মিল! সারাদিন সে খুব হাসি খুশি! যে কেউ দেখলে এক মুহূর্তেই বলে দিতে পারবে “ও শি ইজ হ্যাপি” সেই হাসি খুশি মানে হ্যাপি গার্লের সাথে একদিন পরিচয় হয় এক দুষ্ট বালকের! পরিচয়ের কিছুদিন পরেই প্রণয়। দুষ্ট বালক আর হাসির সুন্দর প্রেমের এক গল্প রচনা হয়। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে দুষ্ট বালক হাসির কাছে থেকে উড়ে যায় দূরে বহু দূরে! সেই হ্যাপি গার্ল দুষ্ট বালক কে হারিয়ে আনহ্যাপি হয়ে দুষ্ট বালকের নামে রাজার কাছে নালিশ ঠুকে দেয়! রাজাকে বলে “এই দুষ্ট বালক আমাকে আনহ্যাপি করেছে। আমি তার বিচার চাই। তার বিচার না হলে ভাববো এই রাজ্যে মেয়েদের কোন সম্মান নাই” রাজা পড়ে যায় চিন্তায়। রাজ-সেপাহী রা সেই দুষ্ট বালক কে ধরে এনে বন্দী করে ফেলে! এতে সেই আনহ্যাপী গার্ল আবার হ্যাপি হয়ে যায়!
কিন্তু হাসির হ্যাপিনেস আর বেশি দিন থাকে না। কারন দুষ্ট বালকের অনেক ক্ষমতা! সে রাজ বন্দিশালা থেকে বের হয়ে যায় তার ক্ষমতাবলে। তারপর দুষ্ট বালক দেশের হয়ে বিনদেশে যুদ্ধ করতে যায়! সেখানে গিয়ে তো দুষ্ট বালক নায়ক বনে যায়! একের পর এক বিনদেশের বড় বড় সেনাপতিদের নির্মম ভাবে কোঁপাতে থাকে! দুষ্ট বালকের ভয়াল থাবায় বড় বড় সেনাপতিরা একে একে প্রাণ হারাতে থাকে
এদিকে এতোদিন যারা হাসির পক্ষে ছিলো তারাও ধিক্কার জানাতে থাকে তাকে। আর হাসিও ঝোপ বুঝে কোপ মেরে, গিরগিটির মতো রঙ বদলে দুষ্ট বালকের পক্ষে চলে যায়! সে নিজেকে দুষ্ট বালকের প্রেমিকা দাবী করতে থাকে নতুন করে। এমন কি রাজার কাছে দেয়া নালিশ ও তুলে নেয় সে!
সে সবাইকে বলে বেড়ায় “আমার বাবু, আমার দুষ্ট বালক অনেক সাহসী, ও একাই রাজ্য কে জিতিয়ে দিয়েছে। উম্মাহ বাবু” বলে দুষ্ট বালকের জন্য একটা ফ্লায়িং কিস ছেড়ে দেয়! সবাই হা হয়ে তার কান্ডকারখানা দেখতে থাকে। বলতে থাকে মেয়েটার মাথা বুঝি গেলো হে! কিছু দিন আগেই তো দুষ্ট বালকের বিচার চাচ্ছিলো!
ব্যাপারটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পর হাসি দেখতে পেলো কেউ তাকে আর তেমন পাত্তা দিচ্ছে না। কেউ তার কথা শুনতে আসছে না! তাই মানুষের এটেনশন কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেই ফন্দি করতে থাকলো সে!
একদিন সকালে উঠে হাসি বিষের শিশিতে পানি ঢুকিয়ে কিছুটা পানি খেয়ে সকল কে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকলো “দুষ্ট বালক কে না পেলে আমি বাঁচবো না। তাই আমি বিষ খেয়ে ওপারে চলে যাচ্ছি। তোমরা কেউ আমাকে বাঁচাতে এসো না। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। হাসি নিজের চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললো আমি চলে যাচ্ছি দুষ্ট বালক। আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিয়ো”
সবাই ধরাধরি করে হাসিকে চিকিৎসালয় এ নিয়ে গেলো। হাসি চোখ বন্ধ করে মুখ টিপে টিপে হাসতে থাকলো! তারপর সবাই যখন হাসিকে রেখে চলে গেলো হাসি চোখ খুলে তাকালো। চোখ খুলতেই হাসি দেখলো এক মিষ্টি বালক সেন্ডু গেঞ্জি পরে হাসির সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইছে! গান শুনে হাসি দুষ্ট বালকের কথা ভুলে মিষ্টি বালকের প্রেমে পরে হাবুডুবু খেতে লাগলো!সে নিজের বিছানা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সেন্ডু গেঞ্জি বালকের হাত ধরে জনসম্মুখে বের হলো। সবাই হা হয়ে দেখতে লাগলো । সে বলে উঠলো “ আর নয় দুষ্ট বালক। এখন থেকে সে আমার মিষ্টি বালক। মিষ্টি সূরে গান গায় সে। আমাদের জুটি টা কেমন ?” এই কথা বলে হাসি ড্যাং ড্যাং করে হেটে চলে গেলো মিষ্টি বালকের হাত ধরে ! আর মনে মনে বলতে লাগলো “আই এম সো হ্যাপি
বিঃদ্র- ইহা নিছক ই একটা গল্প। বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই
©somewhere in net ltd.