![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পৌনে এক শতাব্দীর পুরনো এক রাজনৈতিক দল। এই দলটির ইতিহাস গৌরব আর সংগ্রামের। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশের। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। ১০ মে ২০২৫ তারিখে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরকারি ফরমানে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে। দখলদার সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে ১১ মে; ১২ মে নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে দিয়েছে।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয়। পরবর্তীকালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে এর নামকরণ করা হয় "আওয়ামী লীগ"। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের প্রতীকের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সাল থেকে দলটির নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী নির্বাচিত দল আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় ব্যাপক সংগ্রামের পরিণতি লাভ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সঙ্কটে পড়ে। পরে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ফের ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচন পর্যন্ত টানা চার মেয়াদে দেশ শাসন করে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ।
স্বাধীন বাংলাদেশে এবারই প্রথম নিষিদ্ধের মুখে পড়লেও স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার দুইবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেছিল। প্রথমবার ১৯৬৯ সালে; নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয় ছাব্বিশে মার্চ ১৯৭১। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই ইয়াহিয়া খান এক বেতার ভাষণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে। এর ফল দেখা গেল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে।
এবার তৃতীয়বার আওয়ামী লীগ যখন নিষিদ্ধের মুখে পড়ল, তখন কী ফল অপেক্ষা করছে ভবিষ্যতে? আবার ফিরে আসা কীভাবে হবে আওয়ামী লীগের?
গত বছরের জুলাই-আগস্টের কারণে যে রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছিল আওয়ামী লীগের, নিষিদ্ধের এই ঘোষণা কি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হয়ে গেল তবে? ইতিহাসই বলবে।
ইতিহাস যখন নিষিদ্ধের পর আওয়ামী লীগ ফিরে আসার কথাই বলে, তখন এবারের এই নিষিদ্ধ ঘোষণা আওয়ামী লীগের ফেরার পথই উন্মুক্ত করে দিল!
নিষিদ্ধের পর প্রত্যাবর্তনের যে গল্প লিখে এসেছে আওয়ামী লীগ, সেই গল্পের পুনরাবৃত্তি কবে হয়, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
২| ১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরকম করাপ্টেড, ক্রিমিনাল নেতা-কর্মী নিয়ে প্রত্যাবর্তন করে কি করবেন? আবার আগের আকাম-কুকাম করবে।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫
কাঁউটাল বলেছেন: আগে এইটা দেখেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:০১
কলাবাগান১ বলেছেন: আজ রাজু ভাস্কর্যতে সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের সমবেত জাতীয় সংগীত গাইতে দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখনও ১৯৭১ এ মনে প্রানে ধারন করে...