![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যজিৎ রায়ের পরিচয় নতুন করে দেবার কিছু নেই। তিনি একাধারে সাহিত্যিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ভালো আঁকিয়েও। তাঁর কাজের প্রশংসা করতে গেলে তা শেষ হবে না। তাই আমি সেদিকে যাচ্ছি না। আমি আসলে তাঁর লেখা সম্পর্কে আমার নিজস্ব কিছু মতামত প্রকাশ করতে চাইছি। আমি সত্যজিৎ রায়ের লেখার দারুন ভক্ত। তাঁর সমস্ত লেখা আমার ভীষণ প্রিয়। ফেলুদা সিরিজ,প্রফেসর শঙ্কু,ভৌতিক গল্প,ছোট গল্প- এ সমস্ত গল্পই যেন এক একটি নতুন জগৎ। প্রত্যেকটি গল্পই পরস্পরের চেয়ে আলাদা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ। প্রফেসর শঙ্কু সিরিজের সব গল্পই আমার অসম্ভব ভালো লাগে। সবকটি গল্পই অসাধারণ। অসাধারণ সব আইডিয়া। একজন বিজ্ঞানীকে নিয়ে কাহিনী। কিছুটা সায়েন্স ফিকশন,কিছুটা অ্যাডভেঞ্চার মিলে এক একটি গল্প গড়ে উঠেছে। কিছুটা ডিটেকটিভ গল্পের ছোঁয়াও আছে। সব মিলে গল্পগুলো সত্যজিৎ রায়ের অনবদ্য সৃষ্টি। এসব গল্প আমাকে এক স্বপ্নের জগতে নিয়ে যায়। এক অদ্ভুত অনুভূতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে, সত্যজিৎ রায় প্রফেসর শঙ্কুর গল্প লিখেছিলেন খুব কম। তিনি সম্ভবত তাঁর সাহিত্যিক জীবনের শেষ দিকে এ সিরিজটি শুরু করেছিলেন। আমার খুব আফসোস হয় এই ভেবে যে প্রফেসর শঙ্কুর গল্প এত কম কেন। আমার ইচ্ছে হয় আমার পড়া প্রফেসর শঙ্কুর গল্পগুলো ভুলে যেতে,যাতে আমি আবার নতুন করে গল্পগুলো পড়তে পারি এবং নতুন করে এক অদ্ভুত অনুভূতির জগতে হারিয়ে যেতে পারি। অনেক আগে প্রফেসর শঙ্কুর একটি অসমাপ্ত গল্প আমি পড়েছিলাম। নামটা অবশ্য মনে নেই। সেখানে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসের কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গল্পটা অসমাপ্ত হওয়ায় জানা গেল না যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিস বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। কীসের কথা ভেবেছিলেন তিনি ? আদৌ কী কিছু ভেবেছিলেন ? খুব জানতে ইচ্ছে করে আমার। কিন্তু আমরা তা কখনোই জানতে পারব না। কখনোই না।
এতো গেল প্রফেসর শঙ্কুর কথা। এবার অন্যান্য গল্পের কথায় আসি। সত্যজিৎ রায়ের ভৌতিক আর রহস্য গল্পগুলো অন্য সবার চেয়ে আলাদা। গল্পগুলো পড়ার পর এক অন্যরকম অনুভূতি হয়। ‘খগম’ নামের একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটার কথা ভাবলে আজও আমার গা শিউরে ওঠে। রূপকথার দিক থেকেও সত্যজিৎ রায় কম যান না। চমৎকার কিছু রূপকথা লিখে তিনি শিশু সাহিত্যে তার অবদান রেখেছেন। তার অনুবাদ করা কিছু ননসেন্স রাইম নিয়ে ‘তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম’ নামে একটি বই রয়েছে। প্রকাশকের ভাষায়- “এ-বই যতটা অনুবাদ,ততটাই নিজস্ব সৃষ্টি।”
তিনি তার নিজের ছেলেবেলা নিয়ে ‘যখন ছোট ছিলাম’ নামের স্মৃতিকথা লিখেছেন। এই স্মৃতিকথায় তার ছেলেবেলার নানা ঘটনা তিনি ভীষণ সুন্দর ভাবে সরস করে ফুটিয়ে তুলেছেন। নিজের স্মৃতিকথা এমন চমৎকার করে সবাই বলতে পারে না।
সত্যজিৎ রায়ের সাহিত্য সম্পর্কে আমি একান্তই নিজের কিছু অনুভূতির কথা প্রকাশ করলাম। সবার সাথে আমার অনুভূতি নাও মিলতে পারে।
২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৫
সাবু বলেছেন: একেই বলে শুটিং তো পড়া হয় নাই, হায় হায়!
২| ২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫০
জয় সরকার বলেছেন: সত্যজিৎ এর প্রায় সব বই পড়া।জীবনে অনেক বই পড়েছি, পড়ছি।কিন্তু সত্যজিৎ এর মত এমন সাবলীল, মেদহীন লেখা খুব কমই পেয়েছি।
অনুভুতিগুলো এমন চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা জন্য ধন্যবাদ।
সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ সত্যজিৎ রায়(একটি তথ্যমূলক পোষ্ট)
সত্যজিৎ হলিউডে এবং স্পিলবার্গের জোচ্চুরি!!!!!
২৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:১০
সাবু বলেছেন: আপনার লিংকগুলির জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩২
বড় বিলাই বলেছেন: সত্যজিতের প্রায় সব বই পড়েছি। সবগুলোই ভালো লেগেছে। বেস্ট অফ দ্য বেস্ট হলো ফেলুদা। ক্লাস সেভেন-এইটে ফেলুদা সিরিজ পড়ে গোয়েন্দা হবার স্বপ্ন দেখতাম। (স্বপ্ন মানে একেবারে সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেছি)।
তার আর একটা বই আছে খুব মজার, একেই বলে শুটিং। এখানে তার সিনেমার শুটিং এর নানান মজার ঘটনা খুব সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন।