নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবুজ পাহাড়ের ভেতরের ছোট্ট গ্রাম "রুমানা পাড়া"

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০


যে পাশটা দিয়া সিড়ি দিয়ে আমরা কেওকারাডাং উঠি তার বিপরিত পাশ দিয়া যদি পা পিছলে পড়ে পড়ে যাই তবে যেখানে পড়বো সেই গ্রামের নামই হবে রুমানা পাড়া (আমার ধারণা)। রুমানা পাড়া, একটা বম পাড়া। আগে নাম ছিল সানকুপ পাড়া, সেটা ছিল ‘সানকুপ’ নামক কারবারির নামে। রুমা খালের শেষে পাড়াটার অবস্থান বলে এর নাম রুমানা পাড়া হয়েছে পরে।

রুমানা পাড়াটা বম অধ্যুষিত হলেও “রুমানা” নামটা না বম, না বাংলা, বরং এটা মারমা ভাষা। মারমা ভাষায় “রুঃ” মানে হলো “পাগল” আর “মা” মানে হলো “মেয়ে”। অর্থাৎ পাকিস্তান আমলেই ‘রুমা খাল’ থেকে ‘রুমানা পাড়া’ নামকরণ হয়। এই ‘পাগল মেয়ে’ নামকরণে আছে দারুণ এক রোমান্টিক মিথ, একসময় রুমা খালে, বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ মারা যেত। যারা মারা যেত, তাদের মধ্যে নারী ছিল না, শুধু পুরুষরা মারা যেত। তাই রুমাকে, প্রকৃতিদেবী গণ্য করে আদিবাসীরা একে এক মেয়ে কল্পনা করে নেয়, আর সেই মেয়েই যেনবা ছেলেদের নিয়ে যাচ্ছে এভাবে। তাই সেই মেয়ে হয়ে যায় ‘পাগল মেয়ে’, মানে ‘রুঃমা’, যা থেকে হয় ‘রুমা’ অতঃপর রুমানা।


(২/৩) কেওকারাডাং এর সেকাল ও একাল। ২০১৩ সালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কেওকারাডাং যাওয়ার পর ওখানকার চুড়ার মিনারটায় বেশ কিছুটা আধুনিকতা চলে আসে, প্রথম ছবিটা আগের। রুমানা পাড়ায় যাওয়ার খুব সম্ভবত বিকল্প পথ আছে, তবে আমরা গিয়েছিলাম কেওকারাডাং এর পথ ধরেই।



(৪) কেওকারাডাং এর চূড়ায় দাঁড়িয়ে তোলা সুংসাং পাড়ার আর্মিদের ছাউনি, রুমানা পাড়ায় যেতে হয় ওখান থেকে অনুমতি নিয়ে।


(৫) কেওকারাডাং পেড়িয়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই পড়বে বাংলাদেশের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম পাসিং পাড়া।


(৬) পাসিং পাড়া থেকে বামে বাঁক নিয়ে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পথ ধরে নেমে যেতে হয় সুংসাং পাড়ার দিকে, তখন অভিযাত্রীদের অভয় দিয়ে থাকে এমন পাহাড়ি ফুলগুলো।


(৭) খাড়া পাহাড়ি পথটা পেরিয়ে কিছুটা সমতলে এসেই চোখে পড়বে একটা নরবড়ে কাঠের সেতু, নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে নাম না জানা পাহাড়ি একটা স্রোতধারা।


(৮) সেতু পেড়িয়ে ২০/২৫ মিনিট হাটলেই একটা চমৎকার পাহাড়ি গ্রাম, এর নাম সুংসাং পাড়া। এই গ্রাম থেকে বামে মোড় নিয়ে আরো ঘন্টা দেড়েকের পাহাড় ট্রাক করলেই আমাদের গন্তব্য রুমানা পাড়া।


(৯) সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্প, আর্মি ক্যাম্পের অনুমতি না নিয়ে রুমানা পাড়ার দিকে যাওয়া যাবে না।


(১০) অনুমতি সাপেক্ষে এক সময় আমরা চলে এলাম রুমানা পাড়ায়। রুমানা পাড়ায় কয়েকটা ঝর্ণা রয়েছে, এখানে এসে ওদিকে ঢু না মেরে যাওয়াটা চরম বোকামী হবে, এক দিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে অন্য দিকে আকাশ কালো করে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। তবু আমাদের ঝর্ণায় যেতেই হবে, কারণ রাতেই আবার আমাদের ফিরে যেতে হবে সুংসাং পাড়ায়।


(১১/১২) রুমানা পারায় ঢুকতেই গ্রামের আদিবাসীরা আমাদের উৎসুক নয়নে দেখছিলো, কিন্তু আমরা হাই হ্যালোর বেশী কিছু করার মতো সময় ছিলোনা। পাড়া থেকে নতুন গাইড নিয়ে ছুটে চললাম রুমানা ঝর্ণার দিকে।



(১৩/১৪) ঝর্ণায় যাওয়ার পথটা দূর্গম বললেও কম বলা হবে। বেশীর ভাগ পথই খাড়া বাঁশ বনের ভেতর দিয়া যেতে হয়েছিলো। কোথাও কোথাও হামাগুড়ি দিয়ে ছেচড়ে, ঝোপঝাড় কেটে নামতে হয়েছিলো।



(১৫) সেই সাথে আমাদের আপ্যায়ন করার জন্য ওনারা যেন এই দিন অনেক বেশী উম্মুখ ছিলো। মুসলধারে বৃষ্টিতে অন্ধকার রাতে বার বার পিছলা খেতে খেতে রুমানা ঝর্ণা দেখে ফেরার পর সবার শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত ঝড়ছিলো, কারো কারো গা থেকে সারা রাতই ব্লিডিং হচ্ছিল। জোঁকের কামড়ের রক্ত বন্ধ করার পাহাড়িদের চুলার ছাই দিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছিল না। আপুদের অবস্থা ছিল সব চেয়ে করুণ। এদিনের কথা আমি জীবনেও ভুলব না।


(১৬) এতো কষ্টের রুমানা ঝর্ণাটা এক সময় দূর থেকে আমাদের চোখে ধরা দিল, তবে কাছে যেতে যেন আরো সাত সমুদ্র পারি দিতে হলো।


(১৭) এক সময় জংলা পথ ছেড়ে আমাদের ধরতে হয়েছিলো ঝিরিপথ।


(১৮) ঝিরি পথের শেষ মাথাটা হঠাৎ খারা নেমে গিয়েছে, যার নিচে সৃষ্টি হয়েছে অন্য একটা ঝর্ণা।


(১৯) রুমানা ঝর্ণাটা উপর থেকে দুটি ধারা নামলেও নিচের দিকে এসে চারটা ধারা আছড়ে পড়ছিলো পাথুরে পাহাড়ের চাতালে।


(২০) অনেক ঘাম আর রক্ত ঝড়িয়ে রুমানার দুয়ারে এসে দাড়ালাম, সে নিমেষেই আমাদের সব ক্লান্তি দূর করে দিল তার আচলে ঢেকে নিয়ে।

রুমানা আমাকে আবারো ডাকছে তার শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ গায়ে অবগাহন করার জন্য। এ্যাডভেঞ্চারের নেশায় যারা ঘুরছেন তাদের আমি বলবো রুমানা পাড়াও তার ঝর্ণাগুলো ঘুরে আসুন ষোলকলা পূর্ণ হবে নিশ্চিৎ।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুমানা আমাকে আবারো ডাকছে তার শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ গায়ে অবগাহন করার জন্য।

অবগাহনের রোমাঞ্চকর দৃশ্যতো দারুন লোভী করে তুলল- রুমানার ডাকে সাড়া দিতে!!! ;)


অসাধারন! একেবারে রুমানার জলে ধুইয়ে প্রশান্ত করে দিলেন যেন :)

+++++++++++++++

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী, এই রুমানাদের ডাকে সাড়া দিতে হয় শরীরে শক্তি সামর্থ থাকতে থাকতেই, এক সময় হয়তো এসব রোমমন্থনেই মিলবে তৃপ্তি।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

গোফরান চ.বি বলেছেন: অসাধারণ !

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ভাই

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
দারুণ সব ছবি। পড়ে পড়বো। :|

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখন নয় কেন? এখন কি নিজেকে দিশেহারা মনে হচ্ছে :-B

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

রানা আমান বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা সবসময়ের মতই অসাধারন ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন রানা ভাই

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আপনি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে গেলেন রুমানা পাড়াতে!!!!! ;)
তারপরেও এত কাহিনী লিখে ফেললেন?
জবাব নেই আপনার!!!!! ;)


ঝুমকো লতা ফুলের শুভেচ্ছা!!!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রুমানার খাবর নিবো পরে, আগে কন এই চমৎকার ফুলের নাম কি? এটা তো ঝুমকো লতা হতেই পারে না!!

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গ্রামটা ছবির মতো। এইসব ছবি দেখলে 'পাগল মেয়ে' দেখার ইচ্ছা কার না হবে?

বর্ণনা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ কামাল ভাই। শেষ ছবিটাতে আপনাকে রেসলারদের মতো স্বাস্থ্যবান দেখাচ্ছে। ছবিটা দেখার জন্য আবার আসবো।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো সাস্থবান না হলে এই দুর্গমে যাওয়ার শক্তি পাবো কোথায় আশারাফাুল ভাই? :D

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উফফ! অসাধারন! যেমন সুন্দর ছবি, তেমন বর্ণনা। মনে হলো নিজেই ঘুরে আসলাম। আপনার কল্যানে বিনা খরচে কত সুন্দর সব জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছি! এজন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন সর্বদা।
শুভকামনা রাশি রাশি!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনিও ভালো থাকুন সদা সর্বদা

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই যে আবার রেসলার কামাল ভাইকে দেখতে এলাম। ১৫ নং ছবি-- জোঁকের বর্ণনা পড়ে আতংকের সাথে সাথে গা ঘিন ঘিন করছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি বলি জোঁকগুলোই এ্যডভেঞ্চারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ওদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য কতো কলাকৌশল, অথচ কেউও বাঁচতে পারে না।

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: জোঁকের চেহারা দেখে তো ভয় পাইলাম। আপনি ডরান নাই?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি থাকতে আমার ডরানের সময় কই?

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবিতে আর বর্ণনায় দেখে নিলাম রুমানা পাড়া।

কিন্তু জোক নিয়ে যা বললেন আর যে জোকের ছবি দিলেন আমি অন্তত এই ভয়েই যাবো না, তাই আপনাদের ভ্রমণ কাহিনীই আমার সম্বল।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শীতে পাহাড়গুলোতে জোঁকের উৎপাত কম হলেও বর্ষায় সীমাহীন........ওখানে গেলে এসব গা সওয়া হয়ে যায় আপু।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আগে কন এই চমৎকার ফুলের নাম কি? এটা তো ঝুমকো লতা হতেই পারে না!! ---------

এটা ঝুমকো লতাই, আমি বলছি!!! ;)
গুগোল মামুও বলেছে। এর ইংরেজি নাম passion flower!!

ঝুমকো লতা, মামুও কইলো!!!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাইতো দেখতাছি, মামুর বিরুদ্ধাচরণ করার ক্ষমতা আমার নাই।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবি নং-৮ গ্রামের নাম সুংসাং পাড়া। বাংলায় একটা শব্দ আছে, সুনসান। অর্থ নিরিবিলি। কাছাকাছি শব্দ বলে আমার মনে হচ্ছে এই সুংসাং পাড়া গ্রামটি বোধহয় বাস্তবেও নিরিবিলি। কী বলেন কামাল ভাই?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুংসাং পাড়া নামের মাহাত্ম্যটা আমার জানা নাই, ওবে পাহাড়ি সব গ্রামই সুনসান

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: এমন ডাক অগ্রাহ্য করা কঠিনঃ

//রুমানা আমাকে আবারো ডাকছে তার শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ গায়ে অবগাহন করার জন্য। এ্যাডভেঞ্চারের নেশায় যারা ঘুরছেন তাদের আমি বলবো রুমানা পাড়াও তার ঝর্ণাগুলো ঘুরে আসুন ষোলকলা পূর্ণ হবে নিশ্চিৎ।//

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ শামছুল ভাই, আপনিও ভালো থাকুন, সব সময়

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার তোলা ছবি আর চমৎকার বর্ননা পড়লে আসলে মন্তব্যে কি যে লিখবো সেটা ভেবে পাই না! এত সুন্দর করে সাজানো পোস্ট আসলেই সচারচর চোখে পড়ে না! খুব খুব ভাল লাগলো কামাল ভাই!

রুমানা ঝর্ণাতে অবগাহন করার হালকা পাতলা অভিজ্ঞতা আমার আছে! সুতরাং এতটা চড়াই উৎরাই পার হয়ে কত কষ্ট করে যে আপনি/আপনারা গন্তব্যে পৌঁচেছিলেন, সেটা আর বলে দেওয়া লাগে না! তবে সত্যিই, সব শেষে যখন সেই কাংখিত ঝর্ণার কাছে পৌঁছানো যায়; তাহলে কোন কষ্টই আর তখন মনে থাকে না!

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রুমানা ঝর্ণাতে অবগাহন করার হালকা পাতলা অভিজ্ঞতা থাকলে তো সত্যিই আপনি সাহসী সন্তান :D

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সুন্দর!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ভ্রমর

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবে যাবো পাহাড়ে
আহা রে !

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমিও তাই বলি, আবার কবে যাবো পাহাড়ে........

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: এ বড় সুন্দর পোষ্ট। যেমন সব সহজ সরল ছবি তেমনি অপুর্ব বর্ণনা, গোসল আর জোঁকের পার্টটা ভাল লেগেছে। আজকালও জোঁক আছে? প্রকৃতি এখনও সুন্দর আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, পাহাড়ে এখনো নির্মল প্রকৃতির স্বাদ পাবেন।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকার খৈয়াছড়া পাহাড়ি ঝর্ণা দেখেছেন কামাল ভাই? নয় ধাপের অনিন্দ্য সুন্দর পাহাড়ি ঝর্ণা। বাস্তবে তো আমার দেখার সুযোগ হয় না। আজ পত্রিকায় ঝর্ণাটির ছবি দেখে অবাক হয়ে গেলাম। অসাধারণ!

যেতে চাইলে বলুন। আমি পত্রিকার তথ্য থেকে পথ নির্দেশনা দিয়ে দেব। আপনি বেড়িয়ে এলে আমাদের লাভ। হে হে হে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ২০১১ সালের দিকে যখন প্রথম আবিস্কৃত হয়েছে তখনই খৈয়াছড়া ঝর্ণায় গিয়েছিলাম, ওদিকে আরো অনেকগুলো ঝর্ণা রয়েছে পরে আর যাওয়া হয়নি। খৈয়াছড়া ঝর্ণা নিয়া আমি পোষ্ট ও দিয়াছি, দেখি খুঁজে বের করতে পারি কিনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খইয়াছড়া ঝর্ণা

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরে, পোস্টটা থাকলে আবার দেন ভাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: লিঙ্ক দিছি, দেখে আসতে পারেন :)

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দেখলাম কামাল ভাই। ছবি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। খুব মজা করেছেন আপনারা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জীবন তো একটাই, স্বল্প সময়ের জীবনে পৃথিবীর যতোটা রূপ রস গ্রহণ করা যায় সেই চেষ্টাটা করতে দোষের কি? :-B

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

শুভ্র বিকেল বলেছেন: দারুণ অভিযাত্রা। এটাই আমার বাংলা। শুভকামনা কামাল ভাই। ভাল থাকুন সবসময়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমিও তাই বলি, এই আমাদের বাংলাদেশ, ধন্যবাদ ভাই

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১২

মাদিহা মৌ বলেছেন: জোঁকের কামড়ের কথা জীবনেও ভুলব না! এখন পর্যন্ত দাগ রয়ে গেছে।

আচ্ছা, বান্দরবানের মোট কয়টা জায়গায় গিয়েছেন আপনি? সবগুলির লিংক দিতে পারেন?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বান্দরবান এখনো প্রায় সবই আমার দেখা বাকী, সিপ্পী চূড়ার খুব কাছাকাছি গিয়েই সিপ্পী সামিট করতে পারিনি, সর্বোচ্চ চুড়া সাকা হাফং সামিট করেছি, কেওকারাডাং গিয়েছি কয়েক বার। তাছাড়া জাদিপাই ঝর্ণা, জোড়া ঝর্ণা, চিংড়ি ঝর্ণা, বাকলাই ঝর্ণা, আমিয়াখুম, নাফাখুম, সাইভাই খুব যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। এর ফাকে আদিবাসি অনেক গ্রামে দেখেছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশের ছাদে আমরা ক'জনা.............

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

সামিয়া বলেছেন: আমার তো আপনাকে খুবি হিংসা হচ্ছে! এত সুন্দর জায়গা থেকে ঘুরে এলেন ছবি তুলে এলেন। আপনি ভীষণ লাকি। ভালো লাগলো ছবিগুলো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার প্রতি শুভ কামনাটা এমন সব সময় চালিয়ে যাইয়েন আপু.......শুভেচ্ছা

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আহ সেই পুরানো কথা মনে পড়ে গেল । আমার যেতে ইচ্ছে করছে ছবি গুলো দেখে !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পাহাড়ে যে একবার গেছে তার আর নিস্তার নাই, পাহাড় ওদের সব সময় ডাকে, সে ডাকে সারা না দিয়ে কোন উপায়ই থাকে না......ধন্যবাদ

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াহ!!! একরাশ মুগ্ধতা। যদিও আমার কখনো এসব জায়গায় যাওয়া হবে না, তবুও লোভ হয়। আপনার লেখা অনেক ভাল হয়েছে কামাল ভাই। মনে হচ্ছিল সাথে সাথেই যাচ্ছি। রুমানা পাড়া ভাল লেগেছে, যাইতে মুঞ্চায়।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অসুবিধা নাই, আপনার স্পন্সরে আমি আরো বেশী বেশী ঘুরতে চাই, সব শেষে সামুতে পোষ্ট দিয়া দিমুনে :D

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রুমানা আমাকে আবারো ডাকছে তার শান্ত স্নিগ্ধ সবুজ গায়ে অবগাহন করার জন্য। এ্যাডভেঞ্চারের নেশায় যারা ঘুরছেন তাদের আমি বলবো রুমানা পাড়াও তার ঝর্ণাগুলো ঘুরে আসুন ষোলকলা পূর্ণ হবে নিশ্চিৎ।

লুল!!!

যাইতেই হইবে!!!!!!!!!!! আমারেও তো ডাকে!! ;)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমারে সাথে নিয়েন

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা কামাল ভাই। বেশ অকন পর ব্লগে এলাম। এসেই আপনার পোষ্ট, ছবি। আহা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কেমন আছেন মাসুদ ভাই, ব্লগিংটা আমাদের মজ্জায় প্রবেশ করেছে তাই এখন না আসলেও তখন ব্লগে ঢু মারতেই হয় :-B

২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: অসাধারণ ধারা বর্ণনা ও ছবির পর পর ছবি সাজিয়ে ঘুরিয়ে আনলেন রুমানা পাড়া। খুব ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ কাহিনী।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন মঈনুদ্দিন ভাই

২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ অনেকক্ষন লাগিয়ে এই মুল্যবান পোস্টের লিখা ও ছবি দেখলাম । পড়ার ফাকে ফাকে গুগল সার্চ করে ঐ পাহাড়ী এলাকার হাল হাগাদ আরো কিছু জীব বৈচিত্র বিষয়াদি জনার চেস্টা করলাম । এলাকার মানুষদের বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু ধারনা পাওয়ার চেস্টা করলাম । দেশের প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকা সম্পর্কে লিখালিখি তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে । নব্বই দশকের প্রথমভাগে একবার এর ধারে কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল ঐখানকার পাহাড়ি এলাকায় মালবেরী প্লানটেশনের সম্ভাতা যাচাই করে দেখার জন্য । কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে বেশী গভীরে যাওয়া যায় নাই, সাথের লোকজন সাহস করেনি বলে । যাহোক আপনার লিখায় সেখানকার অনেক বিষয় জানতে ও ছবিতে দেখতে পেলাম ভাল লাগল ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, পাহাড়ে যাওয়া মানুষরাই জানে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য কতটা উদার, ইদানিং আবার পাহাড়ের গহীনে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে সেনাবাহিনী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.