নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'
গুলমার্গ কাশ্মীরের অন্যতম আকর্যণীয় স্থান, এখানেই রয়েছে পৃথিবীর উচ্চতম ‘গণ্ডোলা’ তথা কেবল কার। আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণের একটা পার্ট ছিলো গুলমার্গে গিয়ে গন্ডোলায় চড়ে বরফ ঢাকা পীরপঞ্জাল রেঞ্জে পা রাখা। সকাল ১০টার দিকে সম্ভবত আমরা গুলমার্গে প্রবেশ করি। তাড়াতাড়ি হোটেলে চেকইন করার পরই গন্ডোলা রাইড বা কেবল কার বন্ধের দুঃসংবাদটা পাই হোটেল রিসিপশনিষ্টের কাছ থেকে। পরে আবার জানতে পারলাম ফেইজ ০১ চালু আছে, (ফেইজ ০১ যায় গুলমার্গ থেকে কংডোরি পর্যন্ত, ফেইজ ০২ যায় কংডোরি থেকে আফারওয়াত পিক পর্যন্ত। আর ফেইজ ০৩ তথা চেয়ার লিফট যায় কংডোরি থেকে মেরি সোল্ডার পর্যন্ত।) কি আর করা ভাবলাম ০১এ চড়ে কংডোরি পর্যন্তই যাই, যতটুকু দেখা যায় ততটুকুই লাভ। কিন্তু দুঃসংবাদের ষোল কলা পূর্ণ হলো গন্ডোলা রাইডের অফিসে গিয়ে জানতে পারলাম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩/৪ দিন বন্ধ থাকবে।
কি আর করা শেষে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ‘পনি রাইড’ অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে গুলমার্গ ঘুরে দেখব। পাহাড়ি পাথুরে পথে ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানোটা বেশ বিপদ জনক মনে হয়েছে আমার কাছে, তবে খুব মজা পেয়েছি। সব থেকে বড় কথা হলো ঘোড়ায় চড়ার বা ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণ করার বেশ কিছু কলাকৌশল শিখে এসেছি। ওদের সাথে আমাদের কন্ট্রাক্ট ছিলো ৬টা দর্শনীয় স্পট দেখাবে, কোনটা কি দেখিয়েছে বা কয়টা দেখিয়েছে তা আমার এখন আর মনে নাই, তবে সব কিছু যে অসম্ভব ভালো লেগেছে এটা বলতে পারি নির্দিধায়, এবার আমার ক্যামেরায় দেখি গুলমার্গের কিছু অংশ।
(২) গুলমার্গে যখন আমরা করি তখন তোলা ছবি, টেক্সি ড্রাইভাররা তাদের গাড়ি রেখে রোদ পোহাচ্ছে।
(৩) আলপাইন রাইড, গুলমার্গে আমাদের এক রাতের ঠিকানা।
(৪) স্বপ্নের গন্ডোলা রাইড, তবে স্বপ্ন সফল হয়নি।
(৫) ওই চুড়ার দিকে তাকিয়ে তখন আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা আমাদের।
(৬) শুরু হলো আমাদের পনি রাইড।
(৭/৮) পাইন বনের ভেতর দিয়ে পাথুরে চলতে চলতে যখন ক্লান্ত হচ্ছিলাম তখন নিজেরা নিজেদের কিছু স্মৃতিও এমন ভাবে ধারণ করে রেখেছিলাম।
(৯/১০) পাহাড়ের ভেতরে এমন কিছু অচেনা ফলও দেখেছিলাম, এগুলো সম্ভবত খাওয়া যায় না।
(১১/১২) এগুলো সম্ভবত গুলমার্গের প্রাশসনিক বাড়িঘর।
(১৩/১৪) অসম্ভব সুন্দর এই জায়গাটা সম্ভবত কংডোর বা কংডোরি উপত্যকা।
(১৫) কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী পোষাকে নিজেকে সাজানো যায় এখানে।
(১৬) দূরের বরফ ঢাকা ঐ চুড়া থেকে হিম বাতাস এসে আমাদেরকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল ক্ষণে ক্ষণে।
(১৭) এক সময় সূর্য্যি মামা তার বিদায়ী আলো বিলিয়ে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিলো।
(১৮) আমরা পাহাড়ি পথ ছেড়ে এবার পিচ ঢালা পথ ধরে আলপাইন রাইডের দিকে ছুটে চললাম।
(১৯/২০) রাতের তাপমাত্রা সম্ভবত ছিলো ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, পরদিন ভোরে উঠেই হোটেল লনে আমাদেরকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছিলো এই ফুলগুলো।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, ব্যস্ততা সেরে আসুন
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
হাসান রাজু বলেছেন: ছবি , বর্ণনা দুইই অসাধারণ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন রাজু ভাই
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্টের ভালোলাগা পরিমাপ করতে পারছিনা। অনেক অনেক ধন্যবাদ বিনে পয়সায় এত্তগুলা সুন্দর ছবি দেখানোর জন্য।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বিনে পয়সায় আর হলো কই, নেট ব্যবহার করতে তো খরচ হচ্ছেই
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২
সুমন কর বলেছেন: অল্প লেখা আর ছবি মিলিয়ে পোস্ট সুন্দর হয়েছে।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: লেখার দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টায় ছবি পোষ্ট
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহ! স্বর্গে যাওয়ার কী দরকার? গুলমার্গে গেলেই তো চলে।
(৯/১০) পাহাড়ের ভেতরে এমন কিছু অচেনা ফলও দেখেছিলাম, এগুলো সম্ভবত খাওয়া যায় না।
খেয়ে দেখতে পারতেন। ফলগুলোর রঙ আকর্ষণীয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আবার গেলে চেষ্টা করবো, আপনার কোন পোষ্ট না পেয়ে আমি কিন্তু হতাশ আশরাফুল ভাই।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমিও হতাশ কামাল ভাই। তবে আপনার এরকম পোস্ট দেখলে হতাশা কেটে যায়। সত্যিই অবিশ্বাস্য সুন্দর।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুড়ো মানুষের আবার হতাশা কি থাকতে পারে!! এখন তো আপনারা সবই গুছিয়ে নিয়েছেন, আমাদের তো সবই রয়ে গেলো বাকি।
৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (৪) স্বপ্নের গন্ডোলা রাইড, তবে স্বপ্ন সফল হয়নি।
এর আর এক নাম বোধহয় কেবল কার, তাই না?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জ্বী ভাই, গন্ডোলা হলো ক্যাবল কার, পনি রাইড হলো ঘোড়ায় চড়া, শিকারা রাইড হলো নৌকায় চড়া........এগুলো কাশ্মীরি ভাষা মনে হয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আর হ্যাঁ ক্যাবল কারে চড়াটা কিন্তু স্বপ্ন না, ওগুলোতে অনেক চড়েছি, স্বপ্ন ছিলো বরফ ঢাকা পর্বত চুড়ায় পা রাখা
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১
কালীদাস বলেছেন: সুন্দর ক্যাবল কারের ইটালিয়ান নৌকার নাম, হা হা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইটালীতে ক্যাবল কার কি পানিতে চলে
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বাহ! দারুন ছবি ব্লগ।
সামুর ব্লগার কামাল ভাইকে
এখন ঘোড়া চড়ে নবাবের মত
লাগছে ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি আসলে নিজের ছবি ব্লগে খুবই কম দেই, নিজের ছবি দেওয়াটা আমার কাছে হাস্যকরই মনে হয়, তবু কিভাবে যেন এই পোষ্টে দিয়ে দিলেন.......শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
ভাবনা পায়েল বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লেগেছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন পায়েল
১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যাওয়া হয়নি গুলমার্গে । তবে শুনেছি সেখানে যাওয়ার বেস্ট টাইম নাকি নভেম্বার হতে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত , এ সময়ে স্কায়ীং করে নাকি ভাল করে কাশ্মীর ভেলীকে দেখা যায় । গুলমার্গ মাউনটেন পিকটা তো বলতে গেলে ভারত পাকিস্তান সীমান্তে অবস্তিত , এখন সেখানে যেরকম যুদ্ধাবস্থা , তাই সেখানে কি এখন যেতে দিবে । জানালে খুশী হব , একটু ট্রাই করে দেখতাম যাওয়া যায় কিনা , আপনার ছবিগুলি দেখে বেশ লোভ হচ্ছে সেখানে একবার যাওয়ার জন্য ।
ধন্যবাদ , শুভেচ্ছা রইল ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এবার যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো কারগীল, লাদাখ, কিন্তু যুদ্ধের জন্য সব আশার গুড়ে বালি........এখন ওখানে যেতে দেওয়ার কোন কারণ নাই, স্থানীয় মানুষ জনই এখন ওখানে নিরাপদ নয়, পর=যটকরা তো আরো নয়।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওখানে স্কুল কলেজ চোখে পড়েছে?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দেখলাম না তো!!
১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
পার্থ ৯৫ বলেছেন: ছবি দেখে ভালো লেগেছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
চমৎকার। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান, শ্রদ্ধা জানবেন।
১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৯
জুন বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে অনেক পুরনো হিন্দী ছবি দেখি বিশেষ করে শাম্মী কাপুর জিতেন্দ্র দের শুধুমাত্র কাশ্মীরের অপার সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখার জন্য। সিনেমার কি গল্প কি কাহিনী তার দিকে আমার নজর নেই। চেয়ে থাকি সেই সুন্দরের দিকে যাকে নিয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীর বলেছিলেন : "Agar Firdaws ba roy-i zamin ast, hamin ast-u hamin ast-u hamin ast,” meaning, “If there is Paradise on earth, it is this, it is this, it is this."
আবারো মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম ছবিওয়ালা কে
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আবারও যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিলাম আপু, এবার লাদাখ যেতাম। কিন্তু ওখানের যুদ্ধভাবের কারণে আর যাওয়া হলোনা।
১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
মেহেরুন বলেছেন: বাহ! বাহ! দারুন তো। আমিও যেতে চাই। হয়তো কখনো যাবো। ভালো লাগলো।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই যাওয়া হবে, শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
১৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সুন্দর, সুন্দর, সুন্দর। আহা, মনে পড়ে গেল কত কি!!! ফিলিং নস্টালজিক। পোস্টে +++ উইথ লাইক।
ভাল থাকুন সবসময় প্রিয় ব্লগার এবং ভ্রমণসাথী।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি যেখানে আছেন সেখানে নো চিন্তা, সামনে হয়তো আরো এমন পোষ্ট আসবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ছবি ও বিবরন খুব সুন্দর হয়েছে ++++++++++
আবার এসে দেখব ভাল করে ।
শুভেচ্ছা রইল ।