নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬


চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার। ইরানের বিখ্যাত পার্সিয়ান সুফি বায়েজিদ বোস্তামীর নামে গড়ে উঠা এই মাজার চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষের পাশাপাশি চট্টগ্রামে আসা দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্যও একটি অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান। জনশ্রূতি অনুযায়ী বায়েজিদ বোস্তামীর চট্টগ্রামে আগমনের ইতিহাস শুনতে পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামে অবস্থানের পরে প্রস্থানকালে ভক্তকূল তাকে থেকে যাবার অনুরোধ করলে উনি তাদের ভালোবাসা ও ভক্তিতে মুগ্ধ হয়ে কনিষ্ঠ আঙ্গুল কেঁটে কয়েক ফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়ে যেতে দেন এবং ঐ স্থানে উনার নামে মাজার গড়ে তুলবার কথা বলে যান।

বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পাদদেশে একটি সুবিশাল দীঘি অবস্থিত। এর বাসিন্দা হিসাবে বোস্তামীর কাছিম সুবিখ্যাত। বোস্তামীর কাছিম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার প্রাঙ্গন ব্যতীত বিশ্বের আর কোথাও এদের দেখা মিলে না। মাজারের দেখাশোনার দ্বায়িত্বে থাকা মাজার তত্ত্বাবধায়ক কমিটির লোকদের দ্বারাই এদের প্রতিপালন করা হয়। বর্তমানে মাজার প্রাঙ্গন সংলগ্ন এই দীঘিতে দেড়শো থেকে সাড়ে তিনশো কচ্ছপের আবাস রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রজনন মৌসুমে মাজারের মূল পাহাড়ের পেছনে এদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে এদের ডিম পাড়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মাজারের ভক্তকূল ও আঞ্চলিক জনশ্রুতি অনুযায়ী মাজার প্রতিষ্ঠাকালে এই অঞ্চলে প্রচুর দুষ্ট জ্বীন এবং পাপীষ্ঠ আত্মার পদচারণা ছিলো। বায়েজিদ বোস্তামী তার এই অঞ্চলে ভ্রমনকালে এইসব দুষ্ট আত্মাকে শাস্তিস্বরূপ কাছিমে পরিণত করেন এবং আজীবন পুকুরে বসবাসের দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।


(২) নিচ থেকে পাহাড়ের উপর মাঝারে যাওয়ার জন্য এমন সিড়ি দেওয়া আছে।


(৩) মাঝারে দর্শনার্থী পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা দরজা রয়েছে।


(৪) মাঝারের বাসি ফুলগুলো চত্তরে রাখা আছে, মনের আশা বাসনা পূরণ হওয়ার জন্য ওখান থেকে অনেকেই বাসি ফুলের কিছু অংশ নিয়ে যাচ্ছে।


(৫) গাছগুলোতে লাল হলুদ রঙা সুতা বেধেই মনের আশা পূরণ করে নেওয়া যায়।


(৬) কাঠ গোলাপ গাছগুলো এমন সব আধ্যাত্মিক যায়গায় খুবই জনপ্রিয় কেন জানিনা।


(৭) বার আউলিয়ার আস্তানা শরীফ লেখা রয়েছে এখানে। এটা মাঝারের একেবারে পেছনের অংশে। এখানে বসে নাকি বায়েজিদ বোস্তামী অন্যান্যদের সাথে কথা বলতেন।


(৮/৯) এখানে আরো একটা মজার বিষয় হলো মানুষ ওদের কিছু টাকা পয়সা দান করলে একজন ঝাড়ু দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে ওনার মনের আশা পূরণ করার দোয়া করছেন বা মনের সব কালিমা ঝাড়ু দিয়ে দূর করে দিচ্ছেন।



(১০) বারান্দায় একজন ক্যাস বাক্স নিয়ে বসে আছেন, এখানে দানের টাকা ও অন্যান্য সামগ্রী গ্রহণ করা হয়।


(১১) এটা মুল মাঝার। এখানেও অনেকেই টাকা দিচ্ছে, আর একজন আবার সেই টাকা দানকারীকে ময়ুরের পালক দিয়ে বানানো ঝাড়ু দিয়ে ঝেড়ে দিচ্ছে। ক্যামেরা দেখে মাঝারের উপর থেকে টাকা ফেলে ঝাড়ু রেখে সে চলে যায়। অবশ্য আমাকে সে ছবি তুলতেও বাধা দিয়েছিল, কিন্তু আমার অনমনীয় ভাব দেখে নিজেই সরে পড়ে।


(১২) দক্ষিণ পাশের চত্ত্বরে নিরন্তর জ্বলে চলছে এমন আগর বাতি আর মোমবাতি।


(১৩) পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মাঝারের পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে তোলা একটা ছবি।


(১৪) সমাধি পাহাড়ের পাদদেশে এবং দীঘির পাড়ে একটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ঠ মোঘলরীতির আয়তাকার মসজিদ। স্থাপত্যশৈলী থেকে ধারণা করা হয় মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর আমলে মসজিদটি নির্মিত। বর্তমানে সামনে দিয়ে আরো নির্মান কাজ করে মসজিদটাকে সম্প্রসারন করা হচ্ছে।


(১৫/১৬) দীঘির পাড়ে বোস্তামী কচ্ছপের জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছে ভক্তকুল। এই কচ্ছপ যার খাবার খাবে তার মনের আশা পূরণ হবে।



(১৭/১৮) কোন একটা কচ্ছপ কাছাকাছি আসলে ওর মুখে খাবার ঠেকে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। মনের বাসনা পূরণ না করে কেউ যেন এখান থেকে যাবেনা।



(১৯) কেউ আবার হাতের নাগালে এলে ওদেরকে ডলে ডুলে গায়ের শ্যাওলা পরিস্কার করে দিচ্ছে।


(২০) আর কচ্ছপের খাবার বিক্রির ব্যবসাটাও এখানে বেশ জমজমাট।

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: চা দেন! :P


পাস্ট হইছি!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই মাজারে গিয়েছি। তবে কাছিমের সম্পর্কে যে কথা প্রচলিত আছে, সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রচলিত কথা হলো ওরা দুষ্ট জ্বীন ছিল, আমার কথা হল দুষ্ট জ্বীনেরা খাবার খালে মনের আশা পূর্ণ হয় কেম্নে? বাস্তব কথা হলো ওরা পৃথিবীর সব চেয়ে বিপন্ন জাতের কচ্ছপ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পুকুরের পানি তো মনে হয় ভয়ংকর অপরিস্কার!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অপরিস্কার না হয়ে উপায় আছে? প্রতিদিন কচ্ছপকে মানুষ যে পরিমান খাবার দিচ্ছে দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। কলা রুটি ডিম বিস্কিট দিয়ে পুরো পানিটাকে নোংড়া করে ফেলছে।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (৮/৯) এখানে আরো একটা মজার বিষয় হলো মানুষ ওদের কিছু টাকা পয়সা দান করলে একজন ঝাড়ু দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে ওনার মনের আশা পূরণ করার দোয়া করছেন বা মনের সব কালিমা ঝাড়ু দিয়ে দূর করে দিচ্ছেন।

কুসংস্কার।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ক্যামেরা দেখে ওনারা ঝাড়ু ফেলে পালিয়েছিল, আমি অবশ্য এই ছবি কয়টা অনেক দূর থেকে জুম করে আগেই ধারণ করে ফেলেছিলাম.........যাবেন নাকি কালিমা দূর করতে? :-B

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


চট্রগ্রাম শহরে দীর্ঘ সময় থাকার পরও যায়গাটা দেখা হলো না, আফসোস।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোন একদিন আফসোসটা ঘুচে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (১৯) কেউ আবার হাতের নাগালে এলে ওদেরকে ডলে ডুলে গায়ের শ্যাওলা পরিস্কার করে দিচ্ছে।


এই কেউ লুকটারে তো সাদা মনের মতো লাগে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওর মন সাদা বলেই তো চাচ্ছে কচ্ছপটাকে ডলে সাদা করতে, তয় ইমানে কইতাছি ঐটা আমি না, আমার সন্দ লাগতাছে আপ্নে নাতো?

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃখজনক হলো মাজারকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করে কিছু মানুষ আর পরিবেশ দুষণের দিকে কোন লক্ষ্য না রেখে বাকিরা ধুন্দুমার চালিয়েই যাচ্ছে!! আফটার অল মাজারের মত জায়গার সবকিছুই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওনারা টাকা কামানোর ধান্ধায় ব্যস্ত, পরিবেশ নামে কোন জিনিস আছে কিনা সেটা ওনারা একটু কমই খবর রাখে। ধন্যবাদ ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১

অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: সবটাই ত কুসংস্কার বলে মনে হচ্ছে। :(

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ১০০% তবে এসব দেখে আমি খুব মজা পাই, প্রতিবাদ করে কোন লাগ নাই। বা গলায় জোর পাওয়া যাবে না, শুভেচ্ছা জানবেন সাইফুল ভাই।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: ৩ নং চিত্রে এক দরবেশ আছে উনার কিছু দিয়ে দুআ নিয়েছিলেন??? :P :P :P
আমরা আসল যে বায়জীদ বোস্তামীর ইতিহাস জানি আসলে কি এনি?? মনে হয়না। বোস্তাম শহর থেকে চট্টগ্রাম!!!

যাইহোক যেই বায়েজিদ বোস্তামী হোক না কেন আপনার মাধ্যেমে ঘুুরে আসতে পারলাম। সাথে লেখা গুলোও সুন্দর হয়েছে।

এখন সন্ধ্যা আর রাতের মাঝামাঝি। আপনারা মনে হয় গ্রীন টি খান না :P :P :P

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নেন ভাই, আপনার গ্রীন টি রেডি :D

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ঝাটা পেটা হওয়ার পরেই কি (থুক্কু) ঝাড়ু বাবার দোয়ার পরেই কি আপনি সাদা মনের মানুষ হয়ে গিয়েছেন? :P এসব সবই শিরক আর বিদআত। এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষি হওয়া ইসলাম ধর্মেরই খেলাপ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন ঝাড়ু বাবাদের বাংলাদেশে অভাব নাই, কখন কার কপালে জোটে কে জানে?

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে।

তবে ঐতিহাসিকদের বেশির ভাগের মতে বায়েজিদ বোস্তামী (যদিও মাজারতা শতভাগ প্রতীকী) কখনই চট্টগ্রাম আসেন নি। যদিও অনেকে ধারণা করেন নবম -দশম শতকেও আরবদের সাথে চট্টলাবাসীর সাগর দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। সে সময় তিনি আসতেও আসতেও পারেন যা পুরোটাই ধারণাপ্রসূত যার কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।

আর বোস্তামী কাছিমের প্রজাতি বিপন্ন এটা সত্য। তবে এটা শুধু বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারেই সীমাবদ্ধ নেই। নিলসোনিয়া নাইগ্রিক্যানস নামের এই প্রজাতির কাছিম ভারতের আসামেও পাওয়া যায় বন্য অবস্থায়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, জেনা ভালো লাগলো।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩০

আবুল খায়ের সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে।
আর বায়েজীদ বোস্তামী (র.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গেলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্তু ওখানটায় যা হয় তা সত্যিই ভালো লাগার মতো বিষয় নয়, শুভেচ্ছা জানবেন রফিকুল ভাই।

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪১

সুমন কর বলেছেন: শুরুর কথা, লেখা আর ছবি মিলিয়ে দারুণ পোস্ট।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন দাদা, কেমন আছেন আপনি?

১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭

কালীদাস বলেছেন: শব্দটা মাজার না?
লাস্ট ঢুকেছিলাম এই জায়গায় ২১ বছর আগে। এরপর চিটাগাং আর যাওয়া হয়নি। কত তামশা যে দেখেছি তখন, আজকে আপনার ছবিগুলো দেখে মনে পড়ে গেল। গাছগুলার আসল রং-ই তো দেখা যায় না এখন!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শব্দটা মাজারও হতে পারে, বানানটা আমি সঠিক জানিনা। ২১ বছরে ঐ রং তামাশা একটুও কমে নাই, বেড়েই চলেছে ভাই।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: (৮/৯) এখানে আরো একটা মজার বিষয় হলো মানুষ ওদের কিছু টাকা পয়সা দান করলে একজন ঝাড়ু দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে ওনার মনের আশা পূরণ করার দোয়া করছেন বা মনের সব কালিমা ঝাড়ু দিয়ে দূর করে দিচ্ছেন।
--------- জঘন্য!!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঝাড়ুর বাড়ি খাওয়ার জন্য ওখানে তিনটা পয়েন্ট আছে, দান করলে ঝাড়ু পেটা হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। মনের আশা পূরণের জন্য মাঝারের বাসী ফুল আনা, ঝাড়ু পেটা হওয়া, গাছে লাল সুতা বাধা কিংবা কচ্ছপকে খাবার দেওয়া, এমন অনেকগুলো অপশন আছে।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর সুন্দর সুন্দর ছবি ও প্রাসঙ্গীক ইতিহাস ভাল লাগল ।

যতদুর জানা যায় হযরত বায়োজিদ বোস্তামি (র) একজন বিখ্যাত ইরানী সূফী সাধক। তিনি আবু ইয়াজিদ বোস্তামি, তায়ফুর আবু ইয়াজিদ আল-বোস্তামি অথবা সুলতান-উল-আরেফিন (৮০৪-৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ)[ (The Darvishes: Or Oriental Spiritualism By John Pair Brown, p. 141) নামেও পরিচিত। তার জন্ম ইরানের বোস্তাম শহরে (Walbridge, John. "Suhrawardi and Illumination" in "The Cambridge Companion to Arabic Philosophy" edited by Peter Adamson, Richard C. Taylor, Cambridge University Press, 2005. pg 206.) বায়েজিদকে (র) একজন অন্যতম প্রভাবশালী অলৌকিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ইরানের শাহরুদ এর কাছে হযরত বায়োজিদ বোস্তামির ( র) মাজার অবস্থিত বলেই জানা যায়। নীচে তাঁর মাঝারের একটি ছবি দেয়া হল


বোন আখেনাটেন যতার্থই বলেছেন । চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ সেনানিবাসের নিকটবর্তী দরগাহটি "বায়েজিদ বোস্তামির মাজার" হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করলেও এর স্বপক্ষে এখন পর্যন্ত কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি । বায়েজিদ বোস্তামি নামের কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব কখনো বাংলাদেশে এসেছেন , এমন সুস্পষ্ট ইতিহাসও নেই। চট্টগ্রামে তাঁর নামে পরিচিত মাজারটি হচ্ছে একটি প্রতিকৃতি বা অনুকৃতি মাত্র। তবে অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন যে, বায়েজিদ বোস্তামি বাংলাদেশে আগমন করেছিলেন। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর দিকে আরব বনিকরা চট্টগ্রাম উপকূলে আসা যাওয়া করত। সুতরাং নবম শতাব্দীতে বায়েজিদ বোস্তামির চট্টগ্রামে আগমন অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু এটি একটি ধারণা মাত্র। এর সপক্ষেও এখন পর্যন্ত কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

চট্টগ্রামের দরগার সংলগ্ন জলাধারে বেড়ে উঠা কচ্ছপগুলি অলৌকিকভাবে বন্দি কোন দুস্ট জ্বীন বা অসৎ অাত্মা কিনা তাও বুঝার উপায় নাই । এই দরগার কচ্ছপ গুলিকে আমি দেখেছি এবং অনুরূপ কিছু কচ্ছপ দেখা গেছে হযরত শাহ মিসকিন শাহ ( র:) এর মাঝারে । হযরত শাহ জালাল যখন শ্রীহটে আসেন তখন তার সঙ্গে শাহ মিসকিন শাহ নামে একজন সহচর ছিলেন। তিনি গফরগাঁও উপজেলার মূখী ও তার পার্শ্ববর্র্তী এলাকা সমুুহে ধর্ম প্রচার করার জন্য শাহজালাল (র:) কর্তৃক আদিষ্ট হন এবং এখানেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। এখানে তার মাজার শরীফ আছে। শাহ মিসকিনের মাজারে প্রতিবছর ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয় ও মেলা বসে। তাঁর মাঝার সংলগ্ন পুকুরে ঠিক সে রকম কচ্ছপ দেখতে পাওয়া য়ায় ।


মোট কথা হলো কচ্ছপ একটি দীর্ঘ জিবী প্রাণী । অনুকুল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় খাবার পেলে এরা ১৫০ হতে ২০০ বছর পর্যন্ত আয়ু পায় বলে জানা যায় এবং অনেক জাতের কচ্ছপ আকারেও বেশ বড়ও হয় । জানা যায় সেন্ট হেলেনা (St. Helena) দ্বীপে থাকা এখনও পর্যন্ত জীবিত Seychelles(সেশেল্‌স) Giant tortoise প্রজাতির Jonathan কচ্ছপের এর বয়স আনুমানিক ১৭৬ বা ১৭৮ বছর। যদি এটা সত্য হয় তবে সে হবে বর্তমানে পৃথিবীতে বসবাসরত সবথেকে দীর্ঘায়ু জীবিত প্রাণী।

আরো একটি কথা দেশ থেকে যে হারে কচ্ছপ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে তাতে বিপজ্জনকভাবে কমছে কচ্ছপের সংখ্যা। এই হার বজায় থাকলে অচিরেই দেশের মাটিতে অবলুপ্ত হয়ে যাবে কচ্ছপ। কচ্ছপের মাংসের ঔষুধি গুণ রয়েছে এই বিশ্বাস থেকেই মূলত বিদেশে পাচার হয়ে থাকে কচ্ছপ। গত ১২ জুলা্‌ই ২০১৫ এর দৈনিক ইত্তেফাকের সংবাদ ভাষ্যে দেখা যায় পাচারকালে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিন্মের ছবির মত প্রায় এক হাজার কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।


আপনি ঠিকই বলেছেন এই কচ্ছপগুলি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতীর। টাকা পয়সা দিয়ে ঝাড়ুর বাড়ী খেয়ে মাজার সেবা করার মানুষের অভাব নেই বলেই এই পোস্টে দেখা যাচ্ছে । অভাব হলো সারা দেশ জুরে কচ্ছপদেরকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মানুষের , কচ্ছপ ধরে ধরে যে হারে বিদেশে পাচার করা হচ্চে তাতে করে দেখা যায় এদের কে দেখতে হলে যেতে হবে চট্টগ্রামের সেই কথিত মাঝারেই । এর হাত হতে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন জন সচেতনতা । প্রতিবছর ২৩ শে মে আন্তর্জাতিক কচ্ছপ দিবস পালন করা হয় , বাংলাদেশে এটা কেমন করে পালন করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই । তবে বিরল প্রজাতীর কচ্ছপ রক্ষার জন্য সরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন ।

আপনার মুল্যবান এ পোস্টের লিখায় মন্তব্যের ঘরে বিলুপ্তপ্রায় এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপ রক্ষার বিষয়ে একটি জোড়ালো আবেদন রেখে গেলাম ।

মুল্যবান পোস্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

শুভেচ্ছা রইল ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শাহ মিসকিনের মাজারের কচ্ছপগুলোর সাথে সম্ভবত বোস্তামী কচ্ছপের মিল নাই, আমি শুধু আপনার দেওয়া ছবিটা দেখে বলছি। আমি অনেক যায়গায়ই বড় কচ্ছপ দেখেছি, কিন্তু বোস্তামী কচ্ছপ আমার চোখে আর কোথাও পড়েনি, ধন্যবাদ আলী ভাই।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: র লিখে সাথে দুই ফোটা দিয়ে পোস্ট করলে :) এটা এসে যায় তাই লিখার মাঝে আমার অজান্তেই এরম দুটো চিহ্ন এসেছে, ভুল বুঝবেন না যেন কিছুতেই ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই সমস্যায় পড়ার অভিজ্ঞতা আমারও অনেক হয়েছে, সুতরাং এটা দেখলে আমি বুঝতে পারি ব্যাপারটা কি। শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:২১

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: ইহা একটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম, পোস্ট নয় মাজারের কথা বলছি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: নিঃসন্দেহে তাই, ওখানে মানুষের সরলতাকে পুজি করে বিশাল বানিজ্য করে যাচ্ছে একটা গোষ্ঠি।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: মনের আশা পূরণের জন্য মাঝারের বাসী ফুল আনা, ঝাড়ু পেটা হওয়া, গাছে লাল সুতা বাধা কিংবা কচ্ছপকে খাবার দেওয়া, এমন অনেকগুলো অপশন আছে। ----------

মনোকামনা পূরণের জন্য আপনি কোনটা বেছে নিয়েছিলেন? :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি তো সব সময় একটাই বেছে নেই, আমার ক্যামেরা :D

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ক্যামেরা তো আপনি সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন, ওখান থেকে কি আশীষ নিয়ে এসেছিলেন?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওই তো ছবি উঠিয়ে নিয়ে এলাম :D

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

জুন বলেছেন: অনেক ছোটবেলায় একবার গিয়েছিলাম। মনে আছে শুধু ছোট পাহাড়ের উপর মাজার আর কাছিম এর পুকুরের কথা। মুরগীর কলিজা ফুসফুস খেতে দিচ্ছিলো লোকজন। সেই সময়ই দেখেছিলাম অসহনীয় দুষিত পানি আর কাছিমের দূরবস্থা।
এটা দেখেছি সিলেটের শাহ জালাল রহ: এর মাজারের শোল মাছের পুকুরেও। এদিক দিয়ে খান জাহান আলীর কুমিরের দিঘী বেশ বড় আর পরিষ্কার। তবে কুমীরগুলো মানতের মুরগী খেয়ে আর নড়তে চড়তে পারে না।
আপনার ছবি স্মৃতি জাগিয়ে তুললেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে মনে হলো সাদা মনের মানুষ।
+

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, আপনার কথার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। এক মাত্র খানজাহান আলীর দীঘির পানিটাই পরিস্কার পেয়েছি, অন্যগুলোতে প্রাণীগুলো কিভাবে বেঁচে আছে সেটাই একটা বিষ্ময়।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অলি আউলিয়াদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আমাদের অন্তরে। কিন্তু প্রসিদ্ধ অলি আউলিয়াদের অনেকের কবরকে কেন্দ্র করে পাক ভারত উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে টাউট টাইপের বক ধার্মিক শ্রেনির যে জমজমাট ব্যবসার চিত্র অহরহ দেখা যায়, এটাও তারই অংশ। খোজ নিলে দেখা যাবে, এসব মাজারের অধিকাংশই অশ্লিলতা, বেহায়াপনা, নেশা জাতীয় দ্রব্যাদির আখড়া যেমন ঠিক, তেমনি শিরক, বিদআতসহ নানা প্রকার অজ্ঞতা কুসংস্কারেরও জীয়নকাঠি। ঈমান বিনষ্টকারী এই ক্রমবর্ধমান সমস্যার সমাধান কি আদৌ কখনও হবে?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খোজ নিলে দেখা যাবে, এসব মাজারের অধিকাংশই অশ্লিলতা, বেহায়াপনা, নেশা জাতীয় দ্রব্যাদির আখড়া যেমন ঠিক, তেমনি শিরক, বিদআতসহ নানা প্রকার অজ্ঞতা কুসংস্কারেরও জীয়নকাঠি। .......ঠিক তাই, আমি বাংলাদেশের অনেকগুলো মাঝার ঘুরেছি, প্রায় সবগুলোতেই দেখেছি এসবের পসার। সাধারণ মানুষদের বিশ্বাসকে পুজি করেই ওদের ব্যবসাটা ফুলে ফেপে উঠছে। আমাদের মুর্খতার কারণেই এমনটা হচ্ছে মুলত।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ডঃ এম এ আলী সাহেবের মন্তব্যটি নিঃসন্দেহে মূল্যবান। এই মন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানার আছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে ও জাতি মূল্যবান মতামত আশা করে B-)

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিবর্গের উপর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় মাজার ব্যবসা। সারা জীবন জানতাম কোন আধ্যাত্মিক মহাপুরুষকে যেখানে কবর দেয়া হয়, সেখানেই মাজার তৈরি হয়। কিন্তু এখানে তো অনুকরণে। বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ ব্যবসা হচ্ছে মাজার ব্যবসা। কাঁচামাল, ক্রেতা সবই বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য।

আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে। ছবির জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বাংলাদেশে সবচেয়ে সহজ ব্যবসা হচ্ছে মাজার ব্যবসা। কাঁচামাল, ক্রেতা সবই বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য। ........হুমম, আমাদেরকে ধর্মীয় লোভ লালসা দেখিয়ে ওরা ওদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে।

২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার কাছ থেকে ও জাতি মূল্যবান মতামত আশা করে


এই জন্যেই তো জাতির উন্নতি হলো না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই জন্যই জাতি যাতায় পড়তেছে আপনি বলতে চাচ্ছেন? :D

২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। সিলেটে হযরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজারের পুকুরেও তো কী ধরণের মাছ যেন আছে । তার ইতিহাসও তো সেইম। কথিত কথায় কান দিতে নেই । তাছাড়া এমন মাজার বানানোর নির্দেশনাও কোথাও লেখা নেই । যদি থাকতো তাহলেতো পুরা আরব নবী রাসূল সাহাবীদের মাজারেই ভরে যেত । কেউ আর সেখানে বসবাস করতো না !

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন মাজার ব্যবসা বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানে অর্থাৎ আমাদের উপমহাদেশেই বেশী জমজমাট......মূর্খতাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে হয়।

২৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

পৌষ বলেছেন: অনেক আগে গিয়েছিলাম এখানে। তবে এখানে যেসব ভণ্ডরা ভণ্ডামি চালায় তা দেখে খুব রাগ লাগে। আমাকে এক ভণ্ড বলেছিল ২০ টাকা দে। আমি না দিলে সে আমায় বলে তোর বিরাট একটা ক্ষতি হয়ে যাবে আরও কত কি বলে। চমৎকার ও সুন্দর ছবি ব্লগ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাকে সেটা বলার সুযোগ পায়নি, বরঞ্চ ওরা পালাতে পারলেই যেন বাঁচে এমন একটা অবস্থা হয়েছিল। কারণ আমরা দু'জন গিয়েছিলাম এবং দুটি বড় ক্যামেরা ছিল আমাদের হাতে, ধন্যবাদ।

২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি গিয়েছি বেশ কয়বার তবে দেখার জন্যই গিয়াছিলাম তখন এইজ ১৯ হবে। শেরশাহ কলোনীতে মেহমান হয়ে কয়েকদিন থাকায় যাওয়া। কচ্ছপগুলো বেশ লেগেছিল। সবাই এগুলোকে খাবার দেয় নিয়ত করে যে যার ইচ্ছা মতো। আমিও দিতে গিয়েছিলাম তবে তেমন কোন নিয়ত মনে ছিলনা। খাবার নিচ্ছে ১ বার ২ বার নিল হঠাৎ একটি দুষ্ট কচ্ছপ আমার আঙ্গুলে কামড় দিল। এমনিতে আমি হাত জারিদের উপরে ওঠে আসি।
তবে ঐ গাছটিতে সুতা বেধেঁ ছিলাম নিয়ত করে যে যাকে ভাল বাসি তাকে যেন পাই।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তারপর কি হল সেটা জাতি জান্তে চায়, মানে ভালোবাসার মানুষকে পেয়েছিলেন কি? :D

২৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কোন ক্ষেত্রে বাড়াবড়ি মেনে নেওয়া যায় না। তথাপি অনেক ক্ষেত্রে তা’ নিরিহ ভাবে মেনে নিতে হয়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওকানে তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কোনই করার নেই, এলাকার গুন্ডা আর প্রতাপশালীরা এর সাথে সব সময় জড়িত থাকে........আপনার ফটো কমেন্ট হঠাৎ নিরিহ হয়ে গেল ক্যান ফরিদ ভাই?

৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: আজ দুই বছর চট্টগ্রামে আছি। কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। দেখি সময় সুযোগ করে ঘুরে আসা যায় কিনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনোস্কামনা পূর্ণ করার জন্য আজই আপনার যাওয়া উচিৎ ;)

৩১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

শায়মা বলেছেন: মাথায় ঝাড়ু দিয়ে বাড়ি দিচ্ছে ভাইয়া? B:-)

বায়েজীদ বোস্তামীর মাতৃভক্তির কবিতা পড়ে আমি ছোটবেলায় মুগ্ধ হয়েছিলাম।

অনেক ভালো লাগা ভাইয়া!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুযোগ পায়নি, পেলে ওরা ছাড়ার পাত্র না.....শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

৩২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভ্রমন পোষ্টে ধন্যবাদ।

পূন্যত্মা বায়েজিদ বোস্তামীর প্রতি সালাম

+++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্তু এই পূন্যত্মাদের নাম নিয়ে ওদের আমরা বিক্রি করে খাচ্ছি নিরন্তর

৩৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র,) এবং হযরত মিসকিন শাহ (র,) এর মাঝার সংলগ্ন দিঘীর কচ্ছপগুলি এক নয় । রাত সারে তিনটার দিকে ঘুম চোখে এ মন্তব্য লিখতে গিয়ে একটি ছোট ভুল হয়ে গেছে তা ধরতে পারিনি । আসলে লিখতে
চেয়েছিলাম ঠিক এ রকম বড় কচ্ছপ কিন্তু ভূল বশত এ শব্দমালা হতে বড় শব্দটি বাদ পরে গেছে । মন্তব্যে কোন ভুল হলে তা এডিট করার কোন সুযোগ না থাকায় এই ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই বিধায় যা শুনার তা শুনা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা । এ কারণে কস্ট করে মন্তব্য লিখে কোন অনিচ্ছুক ভুলের জন্য পোস্ট লিখকের কাছ হতে অনেক সময় উচিত কিছু কথা শুনতে হয় । এ অবস্থার হাত হতে নিস্কৃতির জন্য সামু কতৃপক্ষ্ পোস্টের লিখার মত অনুরূপভাবে মন্তব্য লিখে তা প্রকাশ করার আগে অন্তত একবার এডিট করার সুযোগ দেয়ার একটি অপসন রাখা উচিত বলে মনে করি । তাহলে অনেক বিব্রতকর অবস্থা এড়ানো সম্ভব হতে পারে ।

যাহোক, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য । এটা আমাকে আরো সচেতন হতে সহায়তা করবে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, শ্রদ্ধা জানবেন।

৩৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঝাড়ুর বাড়ি খাইয়াও যদি মানুষ মনে করে সেইটাতে তার ভাগ্য বদল হইবে, তাইলে তাগো লাইগা একগাদা সমবেদনা জানানো ছাড়া আমার আর কিছু করার নাই! বুর্জুকি ক্যালমা মনে হয় বাংলাদেশের থেকে এতটা সহজলোভ্য অন্য আর কোন দেশে নাই!

পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুর্জুকি ক্যালমা মনে হয় বাংলাদেশের থেকে এতটা সহজলোভ্য অন্য আর কোন দেশে নাই!.......এক্কেরে হাছা কতা, অবশ্য এসব দেখে আমি খুবই মজা পাই :)

৩৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আজ দুই বছর চট্টগ্রামে আছি। কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। দেখি সময় সুযোগ করে ঘুরে আসা যায় কিনা।

সাইফুল্লাহ শামীম ভাইরে কই, না গেছেন তো কী হইছে? ষাট বছর আগ্রায় বাস কইরাও কত মানুষ তাজমহল দেখে নাই। কামাল ভাই যখন আবার এই মাজার দেখতে যাইব, তখন চুপে চাপে তার গাড়িতে উইঠা বসবেন। খানাপিনাসহ যাওয়া আসার খরচ ফ্রি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি তো ওখানে হাইটা যামু, রেল লাইন ধরে। এবার শামীম ভাইরে কি রেসিপি দিবেন কইছান দেহি :D

৩৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই মাজারের পাশে কচ্ছপের খাবার বিক্রির একটা দোকান দিতে চাই। কচ্ছপরা বাঁকি খায় না তো?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক্কেরে নগদ, তাছাড়া বাসি পচা সবই বিক্রি হয়ে যায়। কচ্ছপরা তো আর প্রতিবাদ করতে পারেনা :-B

৩৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সানহিমেল বলেছেন: ভাল লাগলো মাজারে না গিয়েও মাজার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। ধন্যবাদ ছবিসহ বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ হিমেল ভাই, শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: এই মাজারে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোন ছবি তুলে আনতে পারিনি। আপনার ক্যামেরায় আবার সেগুলো পুনরায় দেখলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আবার গেলে ছবি তুলে নিয়ে আইসেন আমির ভাই।

৩৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: মনের আশা পুরণ করার জন্য কচ্চপকে কি খাওয়াইছেন হেইডা কন আগে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কচ্ছপকে এবার খাইয়েছি, তবে আবার নয় আগের বার গিয়ে। আমি মনোবাসনা পূরণের জন্য ওদের খাওয়াইনি, এমনিতেই খাইয়েছিলাম।

৪০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: আর গাছে কয়টা সুতা বানছেন? গাছটার প্রতি আমার মায়া হয়। বেচারা গাছ সুতার বারে মরে যাওয়ার উপক্রম হইছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই নাজারে সুতা বাধি নাই, তবে অন্য কোথাও বাধার অভিজ্ঞতা আছে আমার, আপনি বেধেছেন কি?

৪১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট চলাকালীন সময়ে বন্ধুদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি।
তবে মাজারের ভিতর যাই নাই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভেতরেই তো চলে সব মজার খেলা, ঝাড়ুর বাড়ি, বাসী ফুল কুড়ানো, লাল সুতা বাধা........ :D

৪২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ........
না ভাই, আমার ওসবের দরকার নাই।
আমার মনোস্কামনা পূরনের জন্য একমাত্র আল্লাহই যথেষ্ঠ।
আর শ্রদ্ধাভাজন আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাইয়ের মন্তব্যে খুবই মজা পেয়েছি।
কিন্তু উত্তরটা ঠিক সাদা মনের মানুষের মতো হলোনা।
আমাকে খাওয়ানোর এবং যাতায়াতের খরচ থেকে বাঁচার জন্য হাঁটা ধরবেন?
তাহলে মরছেন কারণ আমার বাসা রেল লাইনের পাশে। ঠিকই আমিও পিছু পিছু হাঁটা ধরবো!!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রেল লাইনের পাশে কোথায় আপনার বাসা? আমি ঢাকা টু চিটাগাং রেল লাইন ধরে হাটার সময় তো আপনার দেখা পেলাম না :D

৪৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

জাহাজী বলেছেন: মনের খায়েশ নয় দর্শনীয় স্থান বলে ২০০৯ সালে যাওয়া হয়েছিলো। সেবারই প্রথম দেখেছিলাম মাজারে কি পরিমাণ টাকা মানুষ দান করে। একটা জিনিশ আমাকে অবাক লেগেছিলো হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান সবাই একসাথে মোনাজাত মানস করছে, সুতা বাধছে, ঝাড়ুর বারি খাচ্ছে।

আমি ঝাড়ুর বারি ফ্রিতে খাইছিলাম। কিপটা মানুষ তবে এক বিপত্তি ঘটেছিলো ফকির-মিসকিনদের দান করতে গিয়ে। এক-দু টাকা করেও দিয়েও দেখি পকেট খালি =p~

চমৎকার ছবি ব্লগ।
পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনের আশা পূরণ হওয়ার সখ কার না আছে, সবার আগে আমরা সবাই তো মানুষ। বারদী বাবা লোকনাথের আশ্রমেও আমি এই বিষয়টি লক্ষ করেছি।

৪৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

হাসান রাজু বলেছেন: মাজার ব্যাবসার চেয়ে বড় ব্যাবসা আর নাই । সিলেটে গেলে দেখবেন প্রবাসীরা (লন্ডনি আর আমেরিকান) বিদেশী আয় দিয়ে বিশাল সব অট্টালিকা গড়েছেন । আর শাহজালাল (রাঃ) মাজারের সংশ্লিষ্টরা নাকি এ দেশের টাকায় বিদেশে অট্টালিকা গড়েছেন। শুনা কথা । কিন্তু বাস্তবতা এর কাছাকাছি কিছুই হবে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, সত্যিই বলেছেন, শাহজালাল (রাঃ) মাজারে অনেক বার যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার আছে।

৪৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: এক ফোটা রক্ত থেকে মাজার!
কত যে কুসংস্কার মানুষের মাঝে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এর মাঝেই তো আমাদের বেঁচে থাকা.......শুভেচ্ছা জানবেন আপু

৪৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ........
আপনি আমাকে এতো বোকা ভাবেন?
আমি আপনাকে আমার বাসার লোকেশনটা বলে দিই আর আপনি যাওয়ার সময় সুকৌশলে আমার বাসাটা এড়িয়ে যান, তাইনা?
এবার কিন্তু ঠিকই আপনার পিছু নিবো। বাঁচার উপায় নাই!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনি বোকা না আমিই বোকা, নইলে আপনার এমন মিষ্টি কথা বিশ্বাস করলাম কেম্নে? B-)

৪৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪

আমির ইশতিয়াক বলেছেন: এই মাজারে সুতা বাধি নাই, তবে অন্য কোথাও বাধার অভিজ্ঞতা আছে আমার, আপনি বেধেছেন কি
না ভাই কোন মাজারেই সুতা বাধিনি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথের মন্দিরে বেধেছিলাম, বেধেছিলাম লালমাই পাহাড়ের আদিনা শরীফে :D

৪৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বায়েজিদ বোস্তামি (র) এঁর মাজার ও কচ্ছপের কথা এতোদিন শুনে এসেছি লোকমুখে। আজ আপনার পোষ্ট পড়ে ও ছবি পড়ে মাজারটি সম্পর্কে মোটামুটি একটা ভালো ধারণা হয়ে গেল। খারাপ লাগলো সেখানকার কচ্ছপ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে শুনে।
১৬ নং মন্তব্যে ডঃ এম এ আলী ভাইও ভালো ধারণা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো একটা পোষ্টের সন্ধান পেলাম। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য। নিত্যনতুন জায়গা সম্পর্কিত ধারণা ও ছবিসহ বর্ণনা আপনার কাছ থেকে পেয়ে যাচ্ছি সবসময়।

ভালোবাসা জানবেন ভাই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন ভাই, সাথে থেকে উৎসাহিত করলে এমন পেতেই থাকবেন :)

৪৯| ১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

হাফিজ রাহমান বলেছেন: বায়েজীদ বোস্তামীর মাজার ও তাঁর অলৌকিক ক্ষমতাবলে জিন-পরীকে কচ্ছপে রূপান্তরিত হওয়ার চটকদার কাহিনির সত্যতা ইতিহাস সমর্থিত নয়। ‘এ মাজারটি সম্পর্কে একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন পেশ করেছেন জনাব আবদুল মান্নান তালিব তার রচিত “বাংলাদেশে ইসলাম” নামক গ্রন্থে। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফউন্ডেশন বাংলাদেশ। সেই গ্রন্থে তিনি লিখেছেন যে, ‘প্রাচীন সুফী দরবেশদের মধ্য হতে খৃষ্টীয় নবম শতকে পারস্যের বায়েজীদ বোস্তামীর (মৃত্যু ২৬১হি.) চট্টগ্রাম অঞ্চলে আগমনের কথা শোনা যায়। চট্টগ্রাম শহরের পাঁচ মাইল উত্তরে নাসিরাবাদ গ্রামের পর্বত চূড়ায় তার স্মারক সমাধিও দেখা যায়। জনশ্রুতি আছে যে তৎকালে এ অঞ্চল গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। জঙ্গলে হিংস্র জানোয়ার ও জিনদের বসবাস ছিল। হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) এ অঞ্চলে আগমন করে ইসলাম প্রচার করেন। ফলে এখানে জনবসতি গড়ে উঠে। অবশ্য জনশ্রুতির সত্যতা প্রমাণ করার মত কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ আমাদের হাতে নেই। তবে একথা সবাই স্বীকার করেন যে, বায়েজীদ বোস্তামী (রহ.) এখানে ইন্তেকাল করেন নি। পারস্যেও বোস্তাম নগরে ২৬১ হিজরীতে তাঁর ইন্তেকাল হয় এবং তথায় তাঁর সমাধি বিদ্যমান। বাংলাদেশে ইসলাম পৃঃ ১১১ এই প্রতিবেদন থেকে প্রতিভাত হল বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.) এর মাজার নামে যে মাজার রয়েছে তা কবরশূন্য একটি কল্পিত মাজার।’ পয়গামে সুন্নত ১৪২৭-২৮ হি. পৃষ্ঠা ২১৫
পয়গামে সুন্নতে বাংলাদেশে ইসলাম গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে বায়েজীদ বোস্তামীর বাংলাদেশে আগমন সম্বন্ধে যে জনশ্রুত তথ্যটি তুলে ধরা হয়েছে তা নিছকই জনশ্রুত এবং উদ্ভট কল্পকথা। ইতিহাসের সাথে এর সামান্যতম সংশ্লিষ্টতা নেই। খিজির আ. (শুদ্ধ হলো খাজির) এর মাজার, খিজির আ. এর খলীফার মাজার, কালু-গাজীর মাজার নামে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বহু কাল্পনিক মাজার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বায়েজীদ বোস্তামীর মাজার ও এধরনের একটি কল্পিত মাজার। এর সাথে বাস্তবতার কোনো যোগসূত্র নেই। -খাইরুদ্দীন যিরিকলী, আলআ’লাম ৩/২৩৫, ইমাম যাহাবী, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ১৩/৮৯
তাছাড়া বায়েজীদ বোস্তামী রাহ. যে বোস্তাম শহরে মৃত্যু বরণ করেছেন তা ঐতিহাসিক সত্য। এতে ন্যূনতম সন্দেহ করার অবকাশ নেই।
• যাকারিয়া বিন মুহাম্মদ কাযভীনী রাহ. বলেন, আবুল ফাতহ মুহাম্মদ বিন ফযল ইসফারায়িনী রাহ. দীর্ঘ একটা সময় বাগদাদে কাটিয়েছেন। যখন তিনি খুরাসানে ফিরে যাওয়ার মনস্থ করলেন। তখন তার শিষ্যরা তার বিদায়ের ব্যাপারে অনুযোগ করল। তখন তিনি বললেন, সম্ভবত আল্লাহ তা‘আলা চাচ্ছেন, আমার সমাধি একজন সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তির পাশে হবে। যখন তিনি বিস্তাম নগরীতে পৌঁছালেন তখন তার ইন্তেকাল হয়। এবং আবু ইয়াযীদ বিস্তামী রাহ. এর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়। বিস্তামের সূফীবাদের পুরোধা ঈসা বিন ঈসা রাহ. বলেন, আমি স্বপ্নে আবু ইয়াযীদ কে দেখি, সে বলছে, আমাদের কাছে একজন মেহমান এসেছে। তাকে তোমরা সম্মান করো। সে সময় আবুল ফাতহ পৌঁছে গিয়েছিল। এবং মৃত্যু বরণ করে। আমি নিজের জন্য আবু ইয়াযীদ এর সমাধির পাশে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে রেখেছিলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে শায়খ আবুল ফাতহকে প্রাধান্য দেই। এবং তাকে আবু ইয়াযীদ এর পাশে সমাহিত করি।-যাকারিয়া বিন মুহাম্মদ কাযভীনী, আসারুল বিলাদ ওয়া আখবারুল ইবাদ ১/২০
• ইমাম যাহাবী রাহ. বলেন আবু ইয়াযীদ বিস্তাম নগরীতে ২৬১ হিজরীতে মৃত্যু বরণ করেন।-সিয়ারু আ’লামিন নুবালা ১৩/৮৯
• খাইরুদ্দীন যিরিকলী রাহ. বলেন, আবু ইয়াযীদ তাইফুর বিন ঈসা বিস্তামী ইরাক এবং খুরাসানের মধ্যবর্তী জনপদ বিস্তামের অধিবাসী ছিলেন। এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।-খাইরুদ্দীন যিরিকলী, আলআ’লাম ৩/২৩৫
উল্লেখ্য, বায়েযীদ বোস্তামীর মূল নাম হলো, আবু ইয়াযীদ তাইফুর বিন ঈসা আলবিস্তামী। কিন্তু লোক মুখে বায়েজীদ বোস্তামী হিসেবে প্রশিদ্ধ হয়ে গেছে। বোস্তামী মূলত বিস্তামী অথবা বাস্তামী হবে। বোস্তাম নামে পৃথিবীতে কোনো জনপদের নাম নেই। জনপদটি হলো বিস্তাম অথবা বাস্তাম। তবে অধিকাংশের মতে বিস্তামীই শুদ্ধ। বোস্তামী শব্দটি কায়েদায়ে বোগদাদীর মত ভুল পরিচিতি লাভ করে। অথচ শব্দটি হলো বাগদাদ। সুতরাং উপরোক্ত তথ্যবিবরণীতে প্রমাণিত হলো, চট্টগ্রামে বায়েজীদ বোস্তামী মাজার নামে যে মাজারটি রয়েছে তা একটি মিথ্যা এবং কাল্পনিক মাজার। এ মাজার যিয়ারতকে বৈধতা দেয়ার কোনোই সুযোগ নেই।
তবে আপনার পোষ্টটি পাঠ করে কিছু ধারণা পেলাম। এজন্য আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.