নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাপ্তাইয়ের লেকভিউ আইল্যান্ড

০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪


কাপ্তাই হৃদে নামলে প্রথমেই আমার যে কথাটা মনে হয় তা হল পবিত্রতা। ট্রলার নিয়ে কাপ্তাই হৃদে যারা ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা আশা করছি আমার সাথে একমত হবে। হৃদের পানি যেমন স্বচ্ছ তেমনি আশে পাশের টিলাগুলো, কোন ময়লা আবর্জনা নাই, সুনসান নিরবতা। মাঝে মাঝে কিছু আদিবাসী বাড়িঘর ও তার ঘাটে বাধা দু'একটি নৌকো থাকে, তাও যেন প্রকৃতিরই একটা অংশ। ভীষণ উপভোগ্য একটা যায়গা। সেই পবিত্র প্রকৃতির একটা অংশ হয়ে দুয়েক দিন কাটিয়ে দেওয়ার কথা আগে চিন্তাও করা যেত না। নেটের কোথাও থেকে নাম্বার নিয়ে এক বন্ধু ফোন দিয়েছিল, ওরা যেতে আহ্বান করায় একদিন সময় করে চলে গেলাম। দেখলাম ফোন ধরা ঐ লোক আসলে একজন সেনা অফিসার, এবং ওনার বাড়ি আমাদের নরসিংদীর বেলাব থানায়। ঘটনা চক্রে ওনার শ্বশুর বাড়ি আর আমার শ্বশুর বাড়ি একই গ্রামে। আর ওনাদের আথিথেয়তায় সত্যিই আমাদেরকে খুব মুগ্ধ করেছে।

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের পাহাড়ঘেরা কাপ্তাই ক্যাম্পটি কিছুদিন আগেও ছিল নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। সেখানে ছিল না সাধারণ লোকজনের অবাধ বিচরণ। পার্বত্য শান্তিচুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্যাম্পটি তুলে ফেলা হয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু লেকের পাড়ের ছোট ছোট টিলায় ক্যাম্প অফিসগুলো পরিত্যক্ত রাখা হয়নি। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেখানে তৈরি করা হয়ছে দৃষ্টিনন্দন বাহারী কটেজ। নাগরিক কোলাহল ছেড়ে আপনি ইচ্ছে করলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে কোন মুহূর্তে ঘুরে আসতে পারেন কাপ্তাই লেকের পাড়ের সদ্যবিলুপ্ত এ ক্যাম্প এলাকায়। কোন এক সময় এই এলাকার ছবি তোলাও নিষিদ্ধ ছিল, তখন ট্রলারের নিচে থেকে চুপি চুপি ছবি তুলেছিলাম। যেখানেই ছবি তোলা নিষেধ সেখানে ছবি তোলার জন্য আমার হাত নিষপিষ করে সব সময়। তো চলুন ঘুরে আসা যাক সেই লেকভিউ আইল্যান্ড থেকে।


(২) লেকভিউ আইল্যান্ডের অপর পাড়ে হিলটপ রিসোর্টের ঘাট থেকে বোটে চড়ে আসতে হয় এখানে, ইচ্ছে করলে কাপ্তাই জেটি ঘাট থেকেও এখানে আসা যাবে।


(৩) সেনা বাহিনী পরিচালিত জলকৌড়ি, জলকিন্নরী এমন বাহারি নামক নৌযান গুলো পর্যটকদের পৌছে দেবে লেকভিউ আইল্যান্ডে।


(৪) কাপ্তাই লেকের শান্ত নীল জলরাশি পার হয়ে যখন লেকভিউ আইল্যান্ডের দিকে বোট ছুটবে তখন নিজের অজান্তে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসবে এমন দেশটি কোথাও খুঁজে.......


(৫) ট্রলার থেকে নেমে কয়েকটি ধাপ বেয়ে উঠে যেতে হয় আইল্যান্ডে।


(৬) রিসোর্টের কাঠের রেলিং দিয়ে ঘেরা বারান্দায় বসে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায় চমৎকার ভাবে।


(৭) ইয়েলো জোন, এখানে রয়েছে এসি/নন এসি কটেজ, থাকা খাওয়ার সব রকম সুব্যবস্থা।


(৮/৯) "দাও ফিরিয়ে সেই অরণ্য" অরেঞ্জ জোনে যাওয়ার পথ। তৈরি করা হয়েছে কিডস কর্ণার, যাতে শিশুদের জন্য নানা ধরনের খেলনা রাখা আছে। আর বড়দের জন্য গাছের উপর তৈরি করা হয়েছে দুটি মাচা। একটি থেকে অন্য মাচায় যেতে তৈরি করা হয়েছে মিনি ঝুলন্ত সেতু। যার কিছু অংশ কাঁচ দিয়ে তৈরি। রয়েছে বড়শি দিয়ে লেকের জলে মাছ ধরারও সুব্যবস্থা।



(১০/১১) মিনি ঝুলন্ত সেতু। যার কিছু অংশ কাঁচ দিয়ে তৈরি, কাঁচের অংশটুকু পাড়ি দেওয়াটা খুবই ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।



(১২) এই অংশে রয়েছে মোটামুটি বেশ কিছুটা প্রসস্ত খোলা জায়গা।


(১৩) বাচ্চাদের জন্য এমন কিছু বাদরামির জায়গা।


(১৪/১৫) যারা তাবুতে থাকার এ্যডভ্যাঞ্চার ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে এমন ব্যবস্থা, এবং অবশ্যই নিরাপদ।



(১৬) যাদের প্রেসার হাই কিংবা টক খেতে ভালোবাসেন টাদের জন্য রয়েছে এমন প্রাকৃতিক ব্যবস্থা।


(১৭) অরেঞ্জ জোনের শেষাংশে রয়েছে এমন একটা জিরো, হয়তো বুঝানো হয়েছে এটাই লেকভিউ আইল্যান্ডের জিরো পয়েন্ট।


(১৮) সুমধুর কিছু গান শুনে তাকিয়ে হয়তো খুজে পাবেন এমন সাম্পানওয়ালাদের। পাহাড়ি ভাষা হয়তো ঠিক বুঝা যাবেনা, তবে সুরে মুগ্ধ হতে হবে নিশ্চিৎ।


(১৯) ইচ্ছে হলে এখানে বসে দুয়েকটি কবিতা লিখেই ফেলা যায়।


(২০/২১) এমন চমৎকার বজরায় আয়েশি ব্যবস্থা বাংলাদেশে একমাত্র লেকভিউ আইল্যান্ডেই সম্ভব।



(২২/২৩) কাপ্তাই বাধের সুন্দর রূপের ছবি তোলা এতোদিন সম্ভব ছিল না, এখন ইচ্ছে হলে অনায়াসেই তা করা যায়।



(২৪) লেকভিউ আইল্যান্ডে থেকেই দেখা যায় ওপারের কাপ্তাই জেটিঘাট বাজার, ইচ্ছে হলে আদিবাসী সংখ্যাগরিষ্ঠ এ বাজারটি থেকে ওদের তৈরি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বা ফল-মুল কিনে নিতে পারেন সুলভ দামেই।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

নিরব জ্ঞানী বলেছেন: চমৎকার সব ছবি। ১৬ আর ১৯ নাম্বার ছবি কিন্তু সেই রকম হয়েছে। B-)

০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বুঝছি আপনারও আমারই মতো রোগ আছে B-)

২| ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

এরশাদ রেনাটা বলেছেন: অসাধারন ভ্রমন পোস্ট। ছবিসহ এমন পোস্ট ব্লগের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দূর্দান্ত একটি কাজ সন্দেহ নেই।

০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ এরশাদ ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।

৩| ০১ লা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

নাগরিক কবি বলেছেন: বাহ! খুন সুন্দর। :) + ++

০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ কবি, শুভেচ্ছা জানবেন

৪| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

ssc বলেছেন: SSC Result 2017 will be published 4th may 2017

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: :(

৫| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

অপ্‌সরা বলেছেন: একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী!!!!!

সত্যিই মুগ্ধ করা ভাইয়া!

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমিও তাই বলি আপু, কেমন আছেন আপনি?

৬| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

অপ্‌সরা বলেছেন: একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী


:) :) :)

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অসাধারণ একটা গান, সত্যিই আমি মুগ্ধ হলাম শুনে, এখানে আমার মনের কথাগুলোই গানের মাঝে ফুটে উঠেছে।

৭| ০১ লা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এবং ছবি। +।

০১ লা মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা কেমন আছেন আপনি?

৮| ০১ লা মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

সুমন কর বলেছেন: এই তো , ভালো।

০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকাই কামনা।

৯| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার ছবি।

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

১০| ০২ রা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবিগুলো। ভালো লাগলো।

অনেক দিন পর পাইলাম সাদা ভাইরে!!!!

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খুব ব্যস্ততায় আছি ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।

১১| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:২২

সিগনেচার নসিব বলেছেন: বরাবরে মত সুন্দর ছবি ব্লগ
কেমন আছেন কামাল ভাই????




শুভেচ্ছা নিবেন অবিরত

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো আছি ভাই আপনাদের দোয়ায়, কিছুদিনের জন্য ব্যস্তটা বেড়েছে, সামনে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

১২| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

আশরাফুল আলম সানি বলেছেন: ছবিগুলো দেখে একই সাথে আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি,হৃদয়ের গহীনে কোথায় জানি হিংসার এক সূক্ষ খোঁচাও অনুভব করছি।এই মুহূর্তে আমায় সময় ফুঁড়ালে বাংলার এই অপরূপ রূপ দেখা হবে না।

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন কেন বলছেন ভাই, সময় তো যখন তখন যে কারো ফুরাতে পারে, তাই যতটুকু পারা যায় দেখে নেওয়াটাই ভালো।

১৩| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছবি গুলো অনেক সুন্দর ভাই। মন চাইছে এখনি চলে আসি প্রকৃতির এরুপ স্পর্শে।

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমারও মনটা সব সময় এমনই উরাল দিতে চায়, কিন্তু সংসারের অদৃশ্য রশির বাধন খোলাটা সত্যিই বড় কঠিন......শুভেচ্ছা জানবেন সুজন ভাই।

১৪| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


চমৎকার সব ছবি ,
দাও ফিরে সেই অনন্য ভাল লেগেছে ।
কারণ কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে গিয়ে এই অপরুপ সৌন্দর্য্যের হ্রদ সৃষ্টি হয়। হলেও অরণ্যের ক্ষতি হয় ভিষনভাবে । তবে প্রায়
২৫৬ বর্গমাইল আয়তনের দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত্ এই কৃত্রিম হ্রদ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। উঁচু-নিচু পাহাড়-পর্বত, পাহাড়ি ঝরনাধারা, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, অথৈ পানি আর সবুজের সমারোহ, গাঢ়-সবুজ বন, গাছ-গাছালি ফুল-ফল আর উপজাতিদের জীবনধারা কাপ্তাই লেকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, এর অপরূপ কিছু ছবি আমাদেরকে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ ।

নিরন্তন ভাল লাগার শুভ কামনা রইল ।

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ১৯৫৬ সালে কর্ণফুলি নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করা হলে রাঙামাটি জেলার ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে গিয়ে এই অপরুপ সৌন্দর্য্যের হ্রদ সৃষ্টি হয়। হলেও অরণ্যের ক্ষতি হয় ভিষনভাবে ।........এটা কি আমাদের জন্য লাভজনক হলো না ক্ষতিকর??

১৫| ০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দুই দিন অনলাইনে ছিলাম না। এর মধ্যেই পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন?

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, আবার তারও দুই দিন পর আপনার মন্তব্যের জবাব দিচ্ছি :D

১৬| ০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (৪) কাপ্তাই লেকের শান্ত নীল জলরাশি পার হয়ে যখন লেকভিউ আইল্যান্ডের দিকে বোট ছুটবে তখন নিজের অজান্তে মুখ দিয়ে বেড়িয়ে আসবে এমন দেশটি কোথাও খুঁজে.......

পাবে নাকো তুমি

পঙক্তিটা পুরা করে দিলাম। অর্ধেক পড়তে ভালো লাগে না।

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটা পুরো করার দায়িত্ব আপনার মতো গেয়ানী লুকদের জন্যই রেখেছিলাম B-)

১৭| ০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (১০/১১) মিনি ঝুলন্ত সেতু। যার কিছু অংশ কাঁচ দিয়ে তৈরি, কাঁচের অংশটুকু পাড়ি দেওয়াটা খুবই ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কাঁচের উপর দিয়া হাঁটলে মন কাঁচের মত পরিস্কার হইয়া যায়। ডরান ক্যান?

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ডরাই কেডা কইল? খালি একটু ভয় পাইছি, অন্য কিছুই না =p~

১৮| ০৩ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (১৩) বাচ্চাদের জন্য এমন কিছু বাদরামির জায়গা।


হে হে হে। আমি বাচ্চা না হইলেও এখানে বাঁদরামি করতে মুঞ্চায়।

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৯:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে হাফ পেন্ট পড়ে ঝুলে পরেন B-)

১৯| ০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

সালমান মাহফুজ বলেছেন: বেশ সমৃদ্ধ পোস্ট । ছবিগুলো সবচে ভাল্লাগছে , মনোরম !

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ মাহফুজ ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

২০| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,




এতো সুন্দর ছবির মাঝে ভালো লেগেছে সাইনবোর্ডের এই লেখাটুকু ----- দাও ফিরে সে অরণ্য ।

অরণ্য ধ্বংশই যেখানে সংস্কৃতি, সেখানে কে দেবে ফিরিয়ে সে অরণ্য ???????????????????

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দাও ফিরে সে অরণ্য.......শব্দটা আমাদের সবার মনে গেথে দিলে পারলে পৃথিবীতে কিচুটা পরিবর্তন আসতেই পারে, ধন্যবাদ জী এস ভাই।

২১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

সামিয়া বলেছেন: আপনি জীবনে এত এত সুখ পেয়ে নিলেন আমি তো হিংসায় জ্বলে যাচ্ছি ভাইয়া,
মজা করলাম :)
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সব ছবি আর তথ্য দিয়ে সবার সামনে আমাদের দেশকে তুলে ধরার জন্য, আর ভবিষ্যতে বেড়াতে গেলে আপনার এই পোস্ট অনেক উপকারে আসবে। সেই জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনের ইচ্ছেটা কঠিন থাকলে সব বাধা দূর হয়, আমিও তেমনটাই করার চেষ্টা করে থাকি সব সময়, ধন্যবাদ আপু, শুভেচ্ছা নিবেন।

২২| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: মনে হলো কাপ্তাই থেকেই যেন ঘুরে এলাম

০৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ তুহিন ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

২৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন:

০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৪| ০৫ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার পোষ্টে দাও ফিরে সেই অরণ্য এই সাইনবোর্ডে লেখা কথা কয়টি বিশেষ করে সেই অরণ্য কথা দুটি আমার দৃস্টি কেড়েছে বলে উল্লেখ করেছি । সেই অরণ্য যখন বলা হয়েছে তখন নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন বিশেষ কারণ রয়েছে , একটি পোষ্ট পাঠে নীজের কিছুটা সময় লাগিয়ে যখন দুএকটি কথা বলা হয় তখন তার উপরে যদি স্বয়ং পোষ্ট দাতাই একাধিক প্রশ্ন বোধক চিহ্ন রাখেন তখন একটু অবাক লাগে । আমার বক্তব্যে ভুল কিছু থাকলে এমন করে ডাবল প্রশ্ন বোধক চিহ্ন না দিয়ে আমার ভুলটা তুলে ধরলে অনেক বেশী খুশী হতাম । যাহোক জানতে যখন চেয়েছেন তখন শ্রদ্ধার সাথে সুত্র উল্লেখ করে কিছু তথ্য তুলে দেয়া হল নীচে ।

কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্ত্রের ভাল মন্দ দুটি দিকই আছে । নীজের কথা না বলে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমের কিছু কথা তুলে দিলাম , যদিও কালির কলমের সকল লেখাই যে সত্যি হবে এমন নয় তাই প্রকাশিত দুটি সুত্র হতে কিছু কথা মালা তুলে ধরা হলো , অবশ্য আপনি অতি কাছ হতে দেখেছেন আপনার মুল্যায়নটাই পাবে যতার্থতা , বিস্তারিত জানতে পারলে খুশি হব ।
প্রথমে এর ভাল দিকটা সম্পর্কেই কিছু তথ্য তুলে দেয়া হল নীচে:

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত স্বল্পমূল্যের বিদ্যুৎ শক্তির কারণে বাংলাদেশে শিল্প কলকারখানা স্থাপন ও সম্প্রসারণ গতিশীল হচ্ছে। বিদ্যুতের সহজলভ্যতার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের মাধ্যমে বিপুল এলাকায় সেচ সুবিধা অর্জন সম্ভব হয়েছে। জলাধারটি চট্টগ্রাম শহর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ আশপাশের অঞ্চলকে বন্যার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করে চলেছে। কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে যে মৎস্য শিল্প গড়ে উঠেছে তা থেকে বছরে ৭০০ টনেরও বেশি স্বাদুপানির মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। বাঁধের উজানে লেকের স্বচ্ছনীল জলরাশি বিসর্পিল রেখায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ময় নিসর্গের প্রতিটি প্রান্তর ছুঁয়ে বয়ে চলেছে। ফলে প্রত্যন্ত বরকল নদীপ্রপাত থেকে শুরু করে রাঙ্গামাটি হয়ে উত্তরে কাসালং-এর সংরক্ষিত বনভূমি পর্যন্ত এলাকায় যাতায়াত লঞ্চ, নৌকা ও অন্যান্য জলযানের মাধ্যমে খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। কাপ্তাইয়ে বৈদ্যুতিক রজ্জুপথের মাধ্যমে বাঁধের ওপর দিয়ে বিভিন্ন আকারের নৌকা ও অন্যান্য ভাসমান মালামাল লেক থেকে কর্ণফুলি নদীতে বা নদী থেকে লেকে পারাপার করা হয়। ( সুত্র বাংলা পিডিয়া হতে সংগৃহীত)

এবার এর ক্ষতিকর দিকটি সম্পর্কে কিছু কথা তুলে দেয়া হল নীচে ।
গত ৬ ই এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সাপ্তাহিক ট্রিবিউন প্রশ্ন রেখেছে কাপ্তাই জলবিৎদুত কেন্ত্রের জন্যে এ জন্যে কতটা লাভবান হয়েছিল দেশ? কতটা মূল্য দিতে হয়েছে দেশকে? তারা বলেছে কয়েক হাজার একর আবাদি জমি পানিতে ডুবে যায়। লক্ষাধিক পাহাড়ি পরিবার উদ্বাস্তু হয়। পাহাড়িদের বিদ্রোহের সূচনা এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই। স্বাধীন বাংলাদেশকে এর জন্যে কতটা মূল্য দিতে হয়েছে, তা আমাদের সবারই কম-বেশি জানা আছে। তারা এও বলেছে হিসেব করে দেখা যায়, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ আসে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে তার যা মূল্য আর আবাদি জমি-মানুষের দুর্ভোগের মূল্য বহুগুণ বেশি। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে তথাকথিত ‘উন্নয়ন’হয়নি। জমি হারানো পাহাড়িদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, তারা ‘নিঃস্ব’ হয়েছেন, । কেও কেও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন।

অপর আর কটি সুত্র বাংলা পিডিয়ায় (যদিও দুটু সুত্রের তথ্যের মধ্যে যথেষ্ট গড়মিল আছে তবে মুল সুরটি একই) দেখা যায় জলাধারটির কারণে বিশাল এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ অবশ্য এসকল জমির প্রকৃত মালিক ছিল না, কারণ পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েল অনুসারে এলাকার সব জমিই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল। তথাপি মানবিক কারণে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। প্রকল্পের দলিল-দস্তাবেজ অনুযায়ী লেকের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের সর্বোচ্চ ৩৩.২২ মিটার উঁচু পর্যন্ত এলাকাসমুহ নিমজ্জিত হওয়ার কথা। মূল লেকটির আয়তন প্রায় ১৭২২ বর্গ কিমি, তবে আশপাশের আরও প্রায় ৭৭৭ বর্গ কিমি এলাকাও প্লাবিত হয়। কাপ্তাই বাঁধের কারণে আনুমানিক ১৮,০০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ৫৪ হাজার একর কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যায় এবং প্রায় ৬৯০ বর্গ কিমি বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও সবাইকে নগদ ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।সুত্র : বাংলা পিডিয়া

যাহোক , এটা লাভজনক না ক্ষতিকারক কিংবা সাইন বোর্ডেই বা এরকম কথা লিখা আছে কি কারণে সে বিষয়ে শুনতে চাই এখন আপনারই কাছে , কারণ আপনি বিষয়টিকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন ।

ভাল থাকার অনেক শুভ কামনা রইল

০৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৩৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হওয়ায়। ইদানিং বেশ সময় স্বল্পতায় ভুগছি আমি। আমার প্রশ্নবোধক চিহ্নটা শুধুই আরো বেশী কিছু জানার জন্য। কারণ প্রতিটা পোষ্টেই আপনি মন্তব্যের মাঝে সেই বিষয়ে অনেক অজানা বিষয় সন্নিবেশিত করে পোষ্টকে আরো সমৃদ্ধশালী করে থাকেন। তবে ল্যাকভিউ আইল্যান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেও আমার ধারণা হয়েছে ক্ষতির পরিমাণটাই বেশী।

২৫| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল , ধন্যবাদ ।

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:২০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আন্তরিক শুভেচ্ছা আপনার জন্য

২৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

জুন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ আমি সেই বহু বছর আগে কাপ্তাই লেকের পানি যেমন দেখেছি অবিকল তেমনি দেখতে পেলাম আপনার ছবিতে । সেই স্বর্গীয় রূপ তার আজও বজায় আছে দেখে ভালোলাগলো । তবে এমন কোন ভবন দেখার সৌভাগ্য হয়নি । আপনার যাদুকরী হাতে তোলা ছবি দেখে আবার যেতে ইচ্ছে করছে ।
ছবি আর লেখায় ১২ তম প্লাস :)

১১ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক ডজন প্লাস পূর্ণ করায় আপনাকে ১০০ ডজন ধন্যবাদ আপু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.