নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখ পল্লীর নাম বানীশান্তা

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০৩


বানীশান্তা নামটা শুনেছি অনেক আগেই, তবে প্রথম যেবার সুন্দর বনে গেলাম, সেবার লঞ্চের সারেংকে জিজ্ঞেস করেছিলাম নদীর পারে ঐযে সারি সারি কুঁড়ে এটা কোন এলাকা। তিনি জবাব দিয়েছিলেন ওটা খারাপ এলাকা, নাম বানীশান্তা। হুট করে মনে পড়ে গেল বানীশান্তা নিয়ে কোথাও পড়েছিলাম। আর তারপর থেকে বানীশান্তার বাসিন্দাদের সাথে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছেটা মনের ভেতর পুষে রেখেছিলাম।
বানীশান্তা এক সময় দেশের সবচেয়ে বড় পতিতা পল্লী হিসেবে স্বীকৃত ছিল। ১৯৫৪ সালে যখন মংলা সমুদ্র বন্দর গড়ে ওঠে তখন থেকেই এই পতিতা পল্লীর যাত্রা। এটি তখন আজকের জায়গাটিতে ছিল না। ছিল মংলা শহরতলীর কুমারখালী খালের উত্তরে। প্রথমে ২০/২৫ যৌন কর্মী নিয়ে পতিতা পল্লীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। তারপর যখন ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে মংলা বন্দরের শহর বড় হয়, লোকসংখ্যা বাড়ে তখন পতিতা পল্লীটিও পশুর নদীর পশ্চিম পাড়ে স্থান্তরিত হয়।

তো আমার মনে কোথাও যাবার ইচ্ছে থাকলে সেটা কোন না কোন ভাবে পুরণ হয়েই যায়। বানীশান্তার ইচ্ছেটাও একদিন পুরণ হলো। বাগের হাটে গেলাম খানজাহান আলীর মাজারে তারপর গেলাম মংলা বন্দর দেখতে। মংলা থেকে ট্রলারে করে বানীশান্তা অনায়াসেই যাওয়া যায় জেনে আর দেরি করলাম না। ছুটলাম ট্রলার ভাড়া করে বানীশান্তার উদ্দেশ্যে। বানীশান্তা নিয়ে খুব বেশি তথ্য আমার কাছ থেকে পাওয়া যাবেনা, এটা মুলত একটা ছবি ব্লগ।


(২) মংলা থেকে ট্রলার নিয়ে ছুটছি বানীশান্তার উদ্দেশ্যে।


(৩) খাবারের সন্ধ্যানে একটা বক।


(৪) পশুর নদীতে জাল ফেলছে একজন জেলে।


(৫) দূর থেকে দেখা যাওয়া পানির তীরের এই গোল পাতায় ছাওয়া ঘরগুলোই আমাদের গন্তব্য।


(৬) কাছে আসতেই দেখা গেল তীরে উঠার জন্য বাঁশ কাঠের সেতু তৈরী করে রাখা আছে।


(৭/৮) আমাদের ট্রলার তীরের দিকে আসতে দেখেই কেউবা হাত ইশারায় কেউবা নেচে গেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।



(৯) অবশেষে আমাদের ট্রলার পৌছাল বানীশান্তার ঘাটে।


(১০/১১) প্রথমেই চোখে পড়ল বেশ কিছু ছোট ছোট দোকান ঘর। মূলত এই ঘরগুলো থেকে এই পল্লী পরিচালিত হয়। প্রতিটা দোকানীর আছে বেশ কিছু ছোট ছোট খুপরী ঘর, যাতে রয়েছে ছোট্ট একটা খাট, কমদামী কিছু প্রসাধনী, ছোট্ট একটা আয়না আর রয়েছে একটা স্যাতস্যাতে পরিবেশ। পশুর নদীর তীরে হলেও নদীর নির্মল বাতাসের ওখানে প্রবেশ নিষেধ।
কয়েকটি দোকানে বসে যা শুনলাম তার সারমর্ম হলো এরকমঃ এখানে এখন তীব্র মন্দাভাব। এক সময় এখানে প্রচুর বিদেশী জাহাজ আসত, তখন ওরা পেত কড়কড়ে ডলার আর বিদেশী বোতল। তখন তারা স্থানীয় জেলেদেরকে কমই পাত্তা দিত। এখন বিদেশীরা আর এদিকটা মারায় না, আর রাক্ষুসে নদীর ভাঙ্গনে ক্রমান্নয়ে ওদের স্থলভুমি কমে যাচ্ছে বলে অনেকে স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে।



(১২) নদীর পাড়ের রাস্তা ধরে এমাথা ওমাথা ঘুরে আরো কিছু ছবি তুললাম।


(১৩/১৪) অপেক্ষা কার জন্য এটা তাদের জানা নাই।



(১৫/১৬) জীবন কোথাও থেমে থাকে না।



(১৭) পৃথিবীর সর্বত্র মায়েরা একই রকম।


(১৮) ভাঙ্গন ঠেকিয়ে এই পল্লী আর খুব বেশী সময় টিকে থাকতে পারবে বলে মনে হয় না।


(১৯) পল্লীর পাশে পশুর নদীতে বিশাল জাহাজ ছোট কার্গোগুলোতে মাল খালাস করছে।


(২০) এবার ফেরার পালা। (আলোর বিপরিতেই সবগুলো ছবি উঠাতে হয়েছে বলে ছবিগুলোর মান ভালো হয়নি)।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: শুভ সকাল, ভাই! আপনিতো কামাল ভাই না কি?

মানুষের প্রতি আপনার ভালোবাসাকে সাধুবাদ জানাই। আমি ছবি প্রেমী। কিন্তু আজকের গল্পটা ছবিকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

ভালো থাকুক প্রান্তিক মানুষগুলো।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জ্বী নিজাম ভাই, আমি কামাল। আমিও আপনার মতোই ছবি প্রেমী, বুঝা যাচ্ছে আমাদের জমবে ভালো :)

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এইসব জায়গায় যেতে নেই ।এইডস এর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে ;)

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হে হে হে, তবু যেতে হয় মামা। পৃথিবীর সবটাই যে দেখার ইচ্ছা :-B

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০০

সঞ্জীব ব্যানার্জী বলেছেন: যাকে বলে পারফেক্ট পোস্ট। ভালো থাকবেন।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, আপনিও ভালো থাকুন, সব সময়।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: এই জায়গার নাম শুনছিলাম আপনার তোলা ছবিতে এবার স্বচক্ষে দেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে অবহেলিতদের ছবি তোলার জন্য।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এদেরকে পুনর্বাসনের সরকারি পরিকল্পনার কী হল?

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই সম্রাট ভাই

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জায়গাটার নাম বানিয়াশান্তা বলে জেনেছিলাম।
সুন্দর পোস্টে ভাল লাগা।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
এই সাইনবোর্ডে কিন্তু বানীশান্তা লেখা আছে লিটন ভাই

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
ছবিতে মানুষের মায়া মমতা ভালোবাসা হাহাকার ফুটে উঠেছে।

আমি এজাগাতে গিয়েছিলাম।

২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তাহলে তো ওদের কস্টের জীবনকে আপনি কাছ থেকেই দেখে এসেছেন রাজীব ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ছবিতে আর লেখাতে যা দেখলাম আর পড়লাম ওই জাগায় না গিয়েও অনেক কিছু দেখেশুনে এলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সচিত্র প্রতিবেদনটি উপহার দেওয়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ বরকতউল্লাহ ভাই, শ্রদ্ধা জানবেন।

৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

সুমন কর বলেছেন: আপনার পোস্টের মাধ্যমে ঘুরে নিলাম। ধন্যবাদ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা

১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৪৫

বরুন মালাকার বলেছেন: বাচতে হলে জানতে হবে!!!!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: জ্বী জনাব, আমি ওদের ভেতরের কিছু ছবির জন্যই শুধু গিয়েছিলাম, অন্য কিছু ভাবার কোন অবকাশ নেই।

১১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: আপনার নিজস্ব স্টাইল থেকে ভিন্নধর্মী ছবি পোস্ট নিয়ে আসলেন এবার। +++++

এর সত্যিকারের হাহাকার আরো অনেক গভীরে। বেশকিছু ডকুমেন্টারী দেখেছিলাম............ এতো বেশী খারাপ লেগেছিল যে, হায়রে কুৎসিত পৃথিবী!!!

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: খুব একটা ভিন্ন ধর্মী বলবোনা আমি, আসলে সব কিছুই দেখার জানার ইচ্ছে আমার, সেই সাথে ছবি তোলা। সামনে ইচ্ছে আছে দৌলদিয়া যাওয়ার। এসব নিয়া আমিও বেশ কিছু ডকুমেন্টারী দেখেছি, তাইতো স্বচক্ষে এসব দেখার ইচ্ছেটা মনের ভেতর পুষে রেখেছি..........শুভেচ্ছা জানবেন আপু।

১২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

কালীদাস বলেছেন: ব্যতিক্রমী ট্রাভেলগ আপনার সচরাচর প্যাটার্ণের তুলনায়। ছবি এবং লেখা সামন্জস্যপূর্ণ; সেই সাথে পুরনো প্রশ্ন আবার: পুনর্বাসনের পরিকল্পনা কোথায়!!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, আপনার প্রশ্নের কোন জনবাব আমার কাছে নেই দাদা

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কস্টের জীবন আপনার ক্যামেরার লেন্সে সঠিকভাবেই ধরা দিয়েছে । :( :(

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: তবে অধিকাংশ ছবিই লুকিয়ে তোলা, ধন্যবাদ বাবু ভাই।

১৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিগুলো দেখে মনের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে গেল। বিশেষ করে ১৭ নম্বর ছবিটা দেখে। কি নিষ্পাপ শিশু, পঙ্কে জন্ম নেয়া পঙ্কজ। এসব ভাগ্য বিড়ম্বিতদের বিচিত্র জীবন নিয়ে অনেক নাটক নভেল, যাত্রা পালা, সিনেমা ইত্যাদি তৈরী হয়েছে, তাদের জীবন প্রণালীর ইতিহাস তুলে ধরে অনেকে টু পাইস কামিয়েছেন, কিন্তু এদের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি।
মংলা বন্দরে কয়েকবার গিয়েছি। বানীশান্তার নামও শুনেছি, কিন্তু ঔৎসুক্য ততটা গভীর ছিল না বলে যাওয়া হয়নি। আর এসব পল্লীর সবগুলোর ইতিহাস তো একই!
গিয়াস উদ্দিন লিটন এর ৬ নং মন্তব্য প্রসঙ্গে বলছি, জায়গাটার নাম আগে বানিয়াশান্তাই ছিল বলে আমিও জানি। কালক্রমে লোকমুখে উচ্চারিত হতে হতে সেটা সংক্ষেপিত হয়ে বানীশান্তায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আরো দু'জন পাঠক যেমনটি বলেছেন, আমিও তেমনটি বলছি, এ ছবি ব্লগটি আপনার অন্যান্য ছবি ব্লগের চেয়ে বিষয়গত দিক থেকে একটু ভিন্নধর্মী।
১৯ নং ছবিটা সুন্দর হয়েছে। সাগরের বুকে ভাসমান এসব জাহাজ যেখানে নোঙড় ফেলে, সেখানেই প্রাকৃ্তিকভাবেই যেন এসব পল্লী গড়ে ওঠে।
শিরোনামটা যথার্থ হয়েছে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বিশ্লেষনী মন্তব্য অনুপ্রাণিত হলাম বড় ভাই। শ্রদ্ধা জানবেন।

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন পোস্ট দেখলাম, যেটাতে আবু হেনা ভাই এর কোন মন্তব্য নেই। ফলে, পোস্টটা অপূর্ণ রয়ে গেল বলে মনে হচ্ছে।
অনতিবিলম্বে এই পোস্টে ওনার মন্তব্য দেখতে চাই।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৩৮

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, ওনি সম্ভবত কোন ব্যস্ততায় রয়েছেন :)

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সারাফাত রাজ বলেছেন: মন খারপ করে দেয়া পোস্ট। :|

আমিও শুনেছিলাম জায়গাটার নাম বানিয়াশান্তা।


হুট করে মনে পড়ে গেল বানীশান্তা নিয়ে কোথাও পড়েছিলাম
বোধহয় তসলিমা নাসরিনের বইতে। রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এখানে যেত, সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছিলো তসলিমা।




আপনার পোস্ট বরাবরই অনবদ্য।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হতে পারে রাজ ভাই, ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রদীপের নিচের এই অন্ধকারকে আর কতোকাল জিইয়ে রাখিবে সভ্যতা ? গরিবকে যদি গরিব বানিয়ে রাখা অপরাধ হয় , পতিতাকে কেন পতিতা বানিয়ে রাখা অপরাধ হইবে না ? মানবতা অপরাধীদের কাছ হইতে মুক্তি পাক ! পঙ্কজদের পঙ্কে রাখিয়া পরিচর্যা করার চিন্তা সভ্যতার বিরাট এক কলঙ্ক। এই কলঙ্ক মোচন হোক। মানবতা রাজনীতিজীবী, বুদ্ধুজীবী আর এনজিওদের চাপাবাজিতেই মুক্তি না পাউক, এই পঙ্ক হইতেও মুক্তি পাউক ! ধন্যবাদ, যদিও এইসব ছবি দেখিলেই মন খারাপ হয়, সভ্যতার ভণ্ডামি, বুদ্ধুজীবীদের পতিতালয় রাখার পক্ষে কুম্ভীরাশ্রু দেখিলে গাছের গোড়া কাটিয়া আগায় পানি দেওয়ার কথাই মনে পরে ।

আঃ ! ইহাদেরও জীবন আছে , অধিকার আছে। দায়িত্বশীলরা মরার পরে কি জবাব দেবে ?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মরার পরের চিন্তা যদি দায়িত্বশীলরা করতো তাহলে তো প্রথিবী আরো অনেক সরেস হয়ে যেতো ভাই

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৭

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: বিড়ম্বিত ভাগ্যের জীবন বয়ে বেড়াতে হবে ওদের

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, তাই

১৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: চেয়েছিলাম আজ শুধু শুভেচ্ছা জানাবো কিন্তু আপনার পোস্ট মন্তব্য লিখতে বাধ্য করল, আমি ঐ স্থানে কখনও যায়নি তবে পাশের দাকোপ এলাকায় গেছি, জায়গার নাম আসলে বানিয়াশান্তা তবে স্থানীয়ভাবে বানীশান্তা নামে ডাকা হয়। এখানকার ইতিহাস খুবই মর্মামান্তিক অনেক মেয়ে বিদেশীদের সাথে ----- মারা পর্যন্ত গেছে বলে আমি শুনেছি ।এনজিও বা সরকার এদের কেন অন্য পেশায় নেওয়ার কথা ভাবে না? তাদের মৃত্য হলে লাশ এক সময় নদীতে ভাসিয়ে দিত এখন কি করে জানিনা।

অবশেষে একটু নবর্বষের মিষ্টি।
চেয়েছিলাম আজ শুধু শুভেচ্ছা জানাবো কিন্তু আপনার পোস্ট মন্তব্য লিখতে বাধ্য করল, আমি ঐ স্থানে কখনও যায়নি তবে পাশের দাকোপ এলাকায় গেছি, জায়গার নাম আসলে বানিয়াশান্তা তবে স্থানীয়ভাবে বানীশান্তা নামে ডাকা হয়। এখানকার ইতিহাস খুবই মর্মামান্তিক অনেক মেয়ে বিদেশীদের সাথে ----- মারা পর্যন্ত গেছে বলে আমি শুনেছি ।এনজিও বা সরকার এদের কেন অন্য পেশায় নেওয়ার কথা ভাবে না? তাদের মৃত্য হলে লাশ এক সময় নদীতে ভাসিয়ে দিত এখন কি করে জানিনা।

অবশেষে একটু নবর্বষের মিষ্টি।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার জন্যও নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ভাই

২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: নং ৪, পশু নদীতে কী পশু শিকার করন যায়?


নং ১৩/১৪ থেকে ১৮,
ওরা সরকারের জন্য অপেক্ষারত কিন্তু সেটা তারা জানে না, সরকার জানে বলেও মনে হয় না; জানলেও কিছু করবে না!

এই অসহায় মানুষগুলোর ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারের।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পশুর নদী কেন নাম করণ হল সেটা নিয়ে আমার মনেও প্রশ্ন রয়েছে তাজুল ভাই।

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

প্রামানিক বলেছেন: নতুন পোষ্ট দেন না কেন? আমি ব্লগে ঢিল দিছি দেখে আপনারাও ঢিল দিলেন তাইলে ব্লগ চলবে কেমনে?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চোখে চশমা লাগান নতুন কিছু দেখতে পাবেন :D

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রতিটি ছবি মানুষের জীবনের গল্প বলছে, সাথে দারুণ বর্ণনা। সমাজ যাদের দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় যাদের দুঃখ কষ্টের কথা শোনার মানুষ নেই। যারা শুধুমাত্র কিছু মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগায়। এই পোষ্টটা প্রিয়তে নিলাম।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রতিটি ছবি মানুষের জীবনের গল্প বলছে...........আসলে এই মানুষদের কাছাকাছি কিছু সময় থেকে ওদের জীবনের গল্পটা আরো ভালো জানার ইচ্ছে আমার ছিল, কিন্তু সময় ছিল না, ধন্যবাদ তারেক ভাই।

২৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই জায়গায় যাইতে আপনারে কেডা কইছে? ভাবী জানতে পারলে আপনার খবর আছে। অবশ্য আমি কমু না, ভয় নাই।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপ্নে আবার কইয়্যা দিবেন্না যেন =p~

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হেনা ভাই যেখানে আমিও সেখানে।
সকল কৌতহল মানুষকে আরো জাগ্রত করে। আপনার পোস্টটি অসাধারণ। ছবি ও বর্ণনাতে যাদের কথা বলতে চেয়েছেন তারা আর কেহ নয় আমাদের মতোই মানুষ। ওদের পূর্ণবাসনা হওয়া চাই।

২৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাল না থাকলে আলো মূল্যহীন!
তাইকি তারা জীবন দিয়ে কথিত আলোকিত মানুষদের আলো দিয়ে যাচ্ছে!!!??

একটা সময় প্রচন্ড যন্ত্রনা হতো। পূর্ণবাসনের বিশাল স্বপ্ন মহিরুহ হয়ে জেগে থাকতো!
বাস্তবতার কষাঘাতে আজ পাষাণ!
আপনার ছবিগুলো সেই পাষানে যেন জল বইয়ে দিল!

ব্যাতিক্রমি ভ্রমন পোষ্টে ভাল লাগা।

+++

২৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মানুষের এই অবস্থা দেখলে খুব খারাপ লাগে। জীবন যেন কেমন। মানুষ কেন যে মানুষ হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.