নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছিলাম বইয়ের পোকা, এখন ইন্টারনেটের ।

সাদা মনের মানুষ

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র --নানা ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবা রাত্র 'মুর্খরা সব শোন, মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন'

সাদা মনের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৈচিত্রে ভরা সাতছড়ি

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩০


সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক উদ্যান। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ/সংশোধন আইনের বলে ২৪৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে "সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান" প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই উদ্যানে সাতটি পাহাড়ি ছড়া আছে, সেই থেকে এর নামকরণ সাতছড়ি (অর্থ: সাতটি ছড়াবিশিষ্ট)। সাতছড়ির আগের নাম ছিলো "রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ফরেস্ট"। এই জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত। যাতে রয়েছে প্রায় ২০০'রও বেশি প্রজাতির গাছপালা।

জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ উদ্যানে ১৯৭ প্রজাতির জীব-জন্তু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির উভচর। আরো আছে প্রায় ১৫০-২০০ প্রজাতির পাখি। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পাখিদের একটি অভয়াশ্রম। বনে লজ্জাবতী বানর, উল্লুক (Gibbon), চশমাপরা হনুমান (Langur), কুলু বানর (Macaque), মেছোবাঘ, মায়া হরিণ (Barking Deer) ইত্যাদি; সরিসৃপের মধ্যে সাপ; পাখির মধ্যে কাও ধনেশ, বনমোরগ, লালমাথা ট্রগন, কাঠ ঠোকরা, ময়না, ভিমরাজ, শ্যামা, ঝুটিপাঙ্গা, শালিক, হলদে পাখি, টিয়া প্রভৃতির আবাস রয়েছে। এছাড়া গাছে গাছে আশ্রয় নিয়েছে অগণিত পোকামাকড়, ঝিঁঝিঁ পোকা তাদের অন্যতম।

সাতছড়ি অরণ্যের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে সময় কাটিয়েছি অনেক বার। কিন্তু সাতছড়ির অরণ্যে প্রবেশ করেছি মাত্র তিন বার, প্রথম বারের ছবিগুলোহারিয়ে গেছে, দ্বিতীয় বারে একটা পোষ্ট আছে "সাতছড়ির অরণ্যে" নামে। আর তৃতীয় বারের কিছু ছবি নিয়ে আজকের পোষ্ট।


(২) আগে এখানে কোন পাকা রাস্তা ছিল না, এবার দেখলাম বনের ভেতর পাকা রাস্তা করা হয়েছে, এবং টিলার উপর উঠার জন্য রয়েছে সিড়ি, আর সিড়ির শেষ মাথায় রয়েছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার।


(৩) সিড়ির শেষ মাথায় বাম পাশে দেখা যাচ্ছে ওয়াচ টাওয়ারের চুড়া।


(৪) নাম না জানা চমৎকার বেগুনী ফুল।


(৫) এই পাখির নাম সুই চোরা।


(৬/৭) বিশাল গাছের চুড়ায় ঝুলে থাকা এই ফলের নাম চাপালিশ, আমরা বলি পাহাড়ি ডেওয়া।



(৮) ভাবছেন কাঠাল খাচ্ছি? মোটেও না, এটা চাপালিশ ফল বা আমাদের ভাষায় পাহাড়ি ডেওয়া। উঁচু গাছগুলো থেকে পেকে মাটিতে পড়লে এগুলো আর খাওয়ার যোগ্য থাকে না। কিন্তু আমাদের ভাগ্য ভালো ছিল বলে একটা খেতে পেরেছি। এটার ভেতর কাঠালের মতোই কোষ, তবে খেতে টক এবং অত্যন্ত মজাদার।


(৯) মাকাল ফল যারা দেখেননি, তারা দেখে নিতে পারেন।


(১০) ডেওয়া ফল।


(১১/১২) দেখেন ডেওয়া খাওয়া কতো সহজ।



(১৩) বিরল প্রজাতির বক্স বাদাম গাছ, কিন্তু গাছে কোন বাদাম ছিল না।


(১৪) এই ফুলের নাম জানিনা।


(১৫) এটা যে বেত ফল সেটা নিশ্চয়ই বলে দেওয়ার দরকার নাই।


(১৬/১৭) এইগুলো কি ফল নাম জানিনা।



(১৮) ভাবছেন রক্তকাঞ্চন? মোটেও না, এগুলো জারুল ফুল।


(১৯) এটা পাম বাগান।


(২০) হনুমানের এই ছবিটা আমি আগের বার গিয়ে তুলেছিলাম।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: দারুণ

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন কবি

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: সুই চোরা পাখিটি, পাহাড়ী ডেওয়া ফল , মাকাল ফল কোনটাই আগে কখনও দেখি নাই। ধন্যবাদ এদের সাথে পরিচিত করিয়ে দেবার জন্য।

২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২১

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা কত কিছুই না দেখে নিলাম........ধন্যবাদ।

মাকার ফল আগে দেখিনি।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, মাকাল ফলটা এখন সত্যিই বিরল

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দারুন সব ছবি।
তবে, বেত ফল আমি আজকেই প্রথম দেখলাম।



কামাল ভাই,
আপনার পোস্ট কম হয়ে যাচ্ছে!!
আমাদের মুখের দিকে চেয়ে একটু বাড়ানো যায় না। অন্তত সপ্তাহে একটা.....

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: অবশ্যই বাড়ানো যায়, তবে ইদানিং সময়টা ব্যস্তায় ভরা যাচ্ছে, দুই মাস পর থেকে হয়তো সম্ভব.........ধন্যবাদ প্রতিক্রিয়া, ভালো থাকুন, সব সময়।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৬

সোলারিস বলেছেন: এমন পোস্ট আরো চাই।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পেয়ে যাবেন আশা করছি, শুভ কামনা।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক দিন বেচেঁ থাকবেন, আমি সাতছড়ি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলাম, সময় হয়ে উঠবে কিনা জানি না। তবে গন্তব্যের লিস্টে রয়েছে। :)

বর্তমান যাওয়ার আর সেখানকার ফিরিস্তিটা জানলে উপকার হতো আর কি। শুভ ব্লগিং

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাতছড়ির বন ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হলে, সাথে গাইড নিতে হবে, আর মোটামুটি একটা দিন। ধন্যবাদ রিফাত ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন রাজীব ভাই

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: মাকাল ফল তো দেখলাম, খাইতে কেমুন লাগে তা তো কইলেন না?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৪৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এক দিন আপ্নে খাইয়া আমারে জানায়েন :-B

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাকাল ফল এর কথা আগে বহুবার শুনলেও এখানেই প্রথম এর ছবি দেখলাম। ধন্যবাদ এই প্রবাদ খ্যাত ফলটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
হনুমানের ছবিটা দারুণ। আর ধ্যানী সূইচোরা পাখিটাকে দেখে জ্ঞানী মনে হয়েছে।
আপনার এ পোস্টে আপনার বন্ধু আবু হেনা ... ভাইকে দেখছিনা যে?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই, সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করলেন আপনি। হেনা ভাই খেয়ালি মানুষ, কখন কোথায় থাকে কে জানে? :)

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা ও ছবি !!!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন, সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.